২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
আজ বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস

এখনো কুকুরে কামড়ানো থেকে জলাতঙ্ক হচ্ছে

-

এখনো কুকুরে কামড়ানো থেকে জলাতঙ্ক হচ্ছে। এখনো দেশে বছরে দুই থেকে তিন শ’ মানুষকে জলাতঙ্কের ইনজেকশন দিতে হয়। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক নির্মূলের ঘোষণা দেয়া হলেও তা হচ্ছে না। হয়তো আরো দুই বছর চলে যাবে বলে মনে করছেন জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্টরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, কোভিডের দুই বছর কাজে মন্থর গতি ছিল। এখনো পর্যন্ত সারা দেশের সব কুকুরকে দুই রাউন্ড টিকাই দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রতিটি কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা দিতে হবে। এ অবস্থায় আজ বাংলাদেশে বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জলাতঙ্ক : মৃত্যু আর নয়, সবার সাথে সমন্বয়’।
বাংলাদেশে প্রায় ১৬ লাখ কুকুর আছে। এর মধ্যে ১৭ শতাংশ পালিত এবং অবশিষ্ট ৮৩ শতাংশ বেওয়ারিশ। একটা সময় বাংলাদেশে বছরে দুই হাজার মানুষ প্রধানত কুকুরের কামড়ে (৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে) জলাতঙ্কে আক্রান্ত হতো। এ ছাড়া বিড়াল, শিয়াল, বেজি, বানরের কামড়েও জলাতঙ্ক হয়। এখন অবশ্য এই সংখ্যা অনেক কমে গেছে। জলাতঙ্কের আধুনিক টিকা কিছু উপজেলা হাসপাতালসহ প্রতিটি জেলাসদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে দেয়া হয়। তা ছাড়া ওষুধের দোকানেও জলাতঙ্কের টিকা পাওয়া যায়। ঢাকার মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে জলাতঙ্কের রোগীদের চিকিৎসা ও টিকা পাওয়া যায়।
জলাতঙ্কগ্রস্ত প্রাণী কামড়ালে ক্ষতস্থান সাবান ও প্রবাহমান পানি দ্বারা ১৫ মিনিট ধুয়ে ফেলতে হয়। সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেললে সেখানে থাকা জলাতঙ্কের জীবাণু মরে যায় অথবা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। এভাবে ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে রোগটি প্রতিরোধ করা যায়।


জলাতঙ্ক শতভাগ বিপজ্জনক কিন্তু রোগটি শতভাগ প্রতিরোধযোগ্য। কুকুর বা সন্দেহভাজন বাংলাদেশে ২০০৯ সালে জলাতঙ্ক রোগে দুই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা দুইশতে নেমেছে। মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ২০০৯ সালে জলাতঙ্ক রোগে মৃত্যের সংখ্যা ছিল ১৪৮ জন। ২০১৮ সালে ৪৯ জনে নেমেছে।
র্যাবিস ইন এশিয়া ফাউন্ডেশনের, বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারপারসন এবং জলাতঙ্ক সম্পর্কিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা: বে-নজির আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে জলাতঙ্ক রোগটি নির্মূলের পথে। তবে দেশের সব কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা না দেয়া পর্যন্ত এর ঝুঁকি থেকেই যাবে। বাংলাদেশ জলাতঙ্ক নির্মূলের পথে থাকলেও এখনো বছরে তিন থেকে চার লাখ মানুষকে কুকুরে কামড়ায়। সব কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক হয় না। আগামী বছর দেশের ৩০ থেকে ৪০ জেলার কুকুরকে তিন রাউন্ড টিকা দেয়া সম্ভব হবে হয়তো। আগে ২০ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আসত। এখন ৮০ শতাংশ আসে। পাগলা কুকুরের মুখেই জলাতঙ্কের জীবাণু থাকে। পাগলা কুকুর কামড়ালেই জলাতঙ্ক হয়। সব কুকুরকে টিকা দেয়া শেষ হলে কুকুরে কামড়ালেও তখন জলাতঙ্ক হবে না।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশের সব জেলায় প্রথম রাউন্ড, ১৬টি জেলায় দ্বিতীয় রাউন্ড এবং ৬টি জেলায় তৃতীয় রাউন্ড সম্পন্ন করে প্রায় ২২ লাখ ৫১ হাজার কুকুরকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান জাতিসঙ্ঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থাকে আবার অর্থায়ন শুরু করবে জাপান শেখ হাসিনার অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে : ওবায়দুল কাদের রাশিয়া সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্টে ১৬.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে সিরিয়ায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৬ সেনা সদস্য দৌলতদিয়া ঘাটে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যুবকের মৃত্যু অ্যানেসথেসিয়ার পুরনো ওষুধ বাতিল করে কেন নতুনের জন্য বিজ্ঞপ্তি!

সকল