২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পরমাণু হামলা করলে রাশিয়াকে চরম পরিণতির হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

-

গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না কাজাখস্তান

সেনা সমাবেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার দাগেস্তানে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের

রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে মস্কোকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনের রুশপন্থীদের ভূখণ্ডগুলোকে গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সাথে যুক্ত করার পর সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সর্বশেষ মন্তব্যের পর গত রোববার এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে যুক্তরাষ্ট্র। রয়টার্স ও আলজাজিরা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড রক্ষার জন্য তিনি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে প্রস্তুত। বৈশ্বিক পরাশক্তি এই দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর এই ব্যক্তির এমন মন্তব্যে রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে ‘কৌশলগত’ পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দেয়।
জাতিসঙ্ঘে অনেকটা একই কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে মস্কোকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। রাশিয়ার সাথে যুক্ত করার লক্ষ্যে পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলে এখন ভোট চলছে। বলপ্রয়োগ করে দখল করা এসব অঞ্চলে রোববার তৃতীয় দিনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষ হওয়ার পর রাশিয়ান পার্লামেন্ট কয়েক দিনের মধ্যেই হয়তো এই সংযোজনকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে পারে।
পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক, দনেস্ক, খেরসন এবং জাপোরিজ্জিয়া- এই চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার পর সেখানে কোনো হামলা হলে সেটা রাশিয়ার ওপর আক্রমণ হিসাবে দেখাতে পারে মস্কো। আর এটি কিয়েভ এবং তার পশ্চিমা মিত্রদের জন্য একটি সতর্কতা। এ ছাড়া ইউক্রেনের দখলকৃত ভূখণ্ডকে রাশিয়ায় সংযুক্ত করা রাশিয়া এবং ন্যাটো সামরিক জোটের মধ্যে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। কারণ ইউক্রেনীয় সৈন্যরা পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে এই অঞ্চলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রোববার বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যেকোনো পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এটি মস্কোকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতির’ মুখোমুখি দাঁড় করাবে।
এনবিসির মিট দ্য প্রেস নিউজ প্রোগ্রামকে সুলিভান বলেছেন, ‘রাশিয়া যদি এই লাইনটি (পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সীমা) অতিক্রম করে তবে রাশিয়াকে বিপর্যয়কর পরিণতি ভোগ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বেশ স্পষ্টভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে।’


রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বুধবার এক ভাষণে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেন। স্থল অভিযানে ইউক্রেনের সাফল্যের পর ওই ভাষণে তিনি রিজার্ভ সৈন্য সমাবেশেরও ঘোষণা দেন। রোববার প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন পরমাণু যুদ্ধের সুস্পষ্ট পরিণতির ব্যাপারে রাশিয়াকে একান্তে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তা পাঠানোর খবরটি নিশ্চিত করেন। জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে নিউইর্য়কে সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে বেফাঁস কথা বন্ধে রাশিয়াকে সরাসরি এবং গোপনে একেবারে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘যেকোনো পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।’ রোববার পৃথক এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারের ‘ভয়াবহ পরিণতির’ কথা ‘অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে’ রাশিয়াকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
গণভোটকে স্বীকৃতি দেবে না কাজাখস্তান : তবে পূর্ব ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে মস্কোর সাথে যুক্ত করা হলে স্বীকৃতি দেবে না কাজাখস্তান। রয়টার্স জানায়,সোমবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে রাশিয়ার সোভিয়েত যুগের মিত্র কাজাখস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত ফেব্রুয়ারি থেকে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের খেরসন, লুহানস্ক, ডনেস্ক এবং জাপোরজ্জিয়ার একাংশ দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী। অঞ্চলটিকে মস্কোর সাথে যুক্ত করে নিতে শুক্রবার থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সেখানকার রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে জাতিসঙ্ঘের সনদ অনুযায়ী ইউক্রেন সঙ্ঘাত সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ। তিনি বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক সংলাপ প্রতিষ্ঠার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা আমাদের পক্ষ থেকে করা হবে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চলছে রাশিয়ার। যুদ্ধে গত মাস থেকে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। মূলত পশ্চিমা শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে ব্যাপক সামরিক সহায়তায় পাওয়ায় পাল্টা আক্রমণ জোরদার করেছে কিয়েভ।


সেনাসমাবেশের বিরুদ্ধে রাশিয়ার দাগেস্তানে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ : এদিকে আলজাজিরা ও বিবিসি জানায়, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের নতুন আংশিক সেনা সমাবেশের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাশিয়ার দাগেস্তানে বিক্ষোভে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ফুটেজে আঞ্চলিক রাজধানী মাখাচকালায় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয়দেরকে ধস্তাধস্তি করতে দেখা গেছে। সেখানে খুবই কঠোর এবং বেপরোয়াভাবে বিক্ষোভকারীদেরকে আটক করার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাশিয়ার স্বতন্ত্র মানবাধিকার গোষ্ঠী ওভিডি-ইনফো।
সম্প্রতি রাশিয়াজুড়ে বড় বড় শহরগুলোতে শুরু হওয়া বিশাল বিক্ষোভ এবং ব্যাপক ধরপাকড় অভিযানের মধ্যে (কেবল শনিবারেই আটক হয়েছে ৭০০-এর বেশি মানুষ) দাগেস্তানে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের চিত্র কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের বিরল সহিংসতাকেই সামনে নিয়ে এসেছে। স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, মাখাচকালায় বিক্ষোভকারীরা পুলিশ এবং অন্য কর্মকর্তাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। পুলিশ পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ওপর স্টান গান ব্যবহার করছে এবং লাঠিচার্জ করছে বলে জানিয়েছেন ওভিডি-ইনফো।
একটি ভিডিওতে আটক এক ব্যক্তিকে মরধর করতে দেখা গেছে পুলিশকে। আরেকটি ভিডিওতে একদল বিক্ষোভকারীর হাত থেকে বাঁচতে এক পুলিশকে দৌড়ে পালাতে দেখা যায়। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বুধবার ইউক্রেন যুদ্ধে আংশিক সেনাসমাবেশের ঘোষণা দেন। এতে দেশটির তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকা হচ্ছে।
তা ছাড়া কেউ এ নির্দেশ না মানলে, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করলে কিংবা পালিয়ে গেলে দ্বিগুণ শাস্তির বিধান রেখে একটি আইনও পাস করেছেন পুতিন। পুতিনের আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণার পর রাশিয়ায় যাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণে সক্ষম মনে করা হচ্ছে, তাদের বাড়িতে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। পুতিনের এই পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকে। এর জেরেই রাশিয়ার শহরে শহরে চলছে বিক্ষোভ।


দাগেস্তানে এক বিক্ষোভকারীর উক্তি, “আপনারা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাচ্ছেন কেন? কে আক্রান্ত হয়েছে? রাশিয়া আক্রান্ত হয়েছে? তারা আমাদের কাছে আসেনি। আমরাই ইউক্রেইনে হামলা করছি। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করেছে। এই যুদ্ধ থামান।”
এই দাগেস্তান থেকে এরই মধ্যে হাজার হাজার সেনা ইউক্রেনে লড়াই করতে গেছে বলে ধারণা করা হয়। বিবিসি রাশিয়ান সার্ভিসের সর্বসাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইউক্রেইনের লড়াইয়ে রাশিয়ার যেকোনো প্রদেশের তুলনায় এই দাগেস্তানেরই সবচেয়ে বেশি সেনা হতাহত হয়েছে। এ মাসের শুরুর দিককার এক পরিসংখ্যানমতে, যুদ্ধে দাগেস্তানের অন্তত ৩০১ সেনা নিহত হয়েছে, এ সংখ্যা রাজধানী মস্কোর সেনার তুলনায় ১০ গুণ বেশি। তবে সেনা নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হওয়ারও আশঙ্কা আছে।
ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ যুক্তরাষ্ট্রের : এরই মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পেয়েছে তার দেশ। রয়টার্স জানায়, রোববার তার দেয়া বক্তব্যটি সম্প্রচারিত হয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (এনএএসএএমএস) পেয়েছে ইউক্রেন। দীর্ঘদিন ধরে কিয়েভ এটি চেয়ে আসছিল।


গত মাসের শেষের দিকে ওয়াশিংটন এটি কিয়েভে পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছিল। আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠানোর ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এরই মধ্যে নেয়া ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। ইউক্রেন ভূখণ্ডে রাশিয়ার দখলদারিত্ব ঠেকাতে হাইমোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসসহ (হিমার্স) অন্যান্য যেসব রকেট সরবরাহ করেছে, সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জেলেনস্কি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক সহায়তা পাওয়ায় গত মাস থেকে খারকিভসহ বেশ কিছু অঞ্চলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। বেশ কিছু অঞ্চল ফের দখলে নেয়ার কথা এর আগে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
ইউক্রেন যুদ্ধের সাত মাস চললেও এতদিন এটি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এবার সেই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পেলো কিয়েভ। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম (নাসামস) পেয়েছে ইউক্রেন, যা দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল কিয়েভের। এই আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কিয়েভে সরবরাহ করতে গত মাসের শেষের দিকে অনুমোদন দেয় বাইডেন প্রশাসন। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করুন বেসামরিক অবকাঠামো, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়-স্কুল রক্ষা করার জন্য এটিই যথেষ্ট নয়।’
ইউক্রেন ভূখণ্ডে রাশিয়ার দখলদারিত্ব ঠেকাতে হাইমোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমসসহ (হিমার্স) অন্যান্য যেসব রকেট সরবরাহ করেছে তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া আধুনিক প্রযুক্তির সামরিক সহায়তা পাওয়ায় গত মাস থেকে খারকিভসহ বেশ কিছু অঞ্চলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা। হামলার মুখে বিপর্যস্ত রুশবাহিনী। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে পুতিনের বিশাল সামিরক বাহিনী। চলতি মাসের শুরুতে জেলেনস্কি দাবি করেন, বিদ্যুৎগতিতে সাড়ে ছয় হাজার কিলোমিটার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছে তার যোদ্ধারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement