২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান

বৈশ্বিক নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা সঙ্কট মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে

জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
বৈশ্বিক নিরাপত্তায় রোহিঙ্গা সঙ্কট মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে -

যুদ্ধ, অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ ধরনের বৈরীপন্থাগুলো কখনো কোনো জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনাই সঙ্কট ও বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোত্তম উপায় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিকে রোহিঙ্গা সঙ্কট বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসঙ্ঘ সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি করোনার প্রভাব, রোহিঙ্গা সঙ্কট, জলবায়ু পরিবর্তন, ইউক্রেন যুদ্ধসহ তার সরকারের নেয়া উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা বিশ্বসভায় তুলে ধরেন। এবার বাংলায় ভাষণ দেয়ার মধ্য দিয়ে জাতিসঙ্ঘে ১৬ বার বাংলায় ভাষণ দেয়ার রেকর্ড করেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতেই জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সভাপতি সাবা কোরোসিকে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের দায়িত্ব পালনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে মূল বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এ বছরের সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য ‘একটি সঙ্কটপূর্ণ সন্ধিক্ষণ : আন্তঃসংযুক্ত প্রতিকূলতাগুলোর রূপান্তরমূলক সমাধান’ বিষয়ে তিনি বলেন, এবারের প্রতিপাদ্যটিতে চলমান সব প্রতিকূলতা মোকাবেলায় এবং আমাদের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে শান্তিপূর্ণ ও টেকসই পৃথিবী গড়ে তোলার উপায় খুঁজে বের করার জন্য সবার ঐক্যবদ্ধ আকাক্সক্ষার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের এখনই সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের মহামারীর মারাত্মক প্রভাব বিশ্ব যখন সামলে উঠতে শুরু করেছে, তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্ঘাত বিশ্বকে নতুন করে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা, জ্বালানি ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আমরা এমন একটি সঙ্কটময় সময় অতিক্রম করছি, যখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি পারস্পরিক সংহতি প্রদর্শন করা আবশ্যক। আমাদের প্রমাণ করতে হবে, সঙ্কটের মুহূর্তে বহুপক্ষীয় ব্যবস্থার মূল ভিত্তি হলো জাতিসঙ্ঘ। তাই সর্বস্তরের জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জনের জন্য জাতিসঙ্ঘকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সবার প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, যুদ্ধ বা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মতো বৈরীপন্থা কখনো কোনো জাতির মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। পারস্পরিক আলাপ-আলোচনাই সঙ্কট ও বিরোধ নিষ্পত্তির সর্বোত্তম উপায়। তিনি আরো জানান, ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ’ গঠন করায় জাতিসঙ্ঘের মহাসচিবকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এই গ্রুপের একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে, আমি বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও সঙ্কটের গভীরতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি বৈশ্বিক সমাধান নিরূপণ করতে অন্য বিশ্ব নেতাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছি।


করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকে এ সঙ্কট মোকাবেলায় আমরা মূলত তিনটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রেখে কৌশল নির্ধারণ করেছি। প্রথমত, মহামারী সংক্রমণ ও বিস্তার রোধ করতে আমরা জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রসারিত করেছি; দ্বিতীয়ত, আমাদের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত রাখতে কৌশলগত আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করেছি; এবং তৃতীয়ত, আমরা জনগণের জীবিকা সুরক্ষিত রেখেছি। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মহামারী থেকে আমাদের নিরাপদ উত্তরণের মূল চাবিকাঠি হলো টিকা। এই টিকা সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও এর কোভ্যাক্স ব্যবস্থা এবং আমাদের সহযোগী দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানায়।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, একটি টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক শান্তিপূর্ণ সমাজ এবং সামাজিক সম্প্রীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল পাঁচটি অর্থনীতির মধ্যে অন্যতম। জিডিপির হিসাবে আমাদের অবস্থান ৪১তম। বিগত এক দশকে আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২০.৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আমাদের মাথাপিছু আয় মাত্র এক দশকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২,৮২৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক এক পাঁচ শতাংশ। মহামারী চলাকালেও ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হারে প্রসারিত হয়েছে।
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধেও বৈশ্বিক প্রভাব তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত এবং জ্বালানি, খাদ্যসহ নানা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে আমাদের মতো অর্থনীতি মারাত্মক চাপে পড়েছে। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার জন্য এবং ২১০০ সালের মধ্যে একটি সমৃদ্ধ ও জলবায়ু-সহিষ্ণু বদ্বীপে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
এ সময় সরকারপ্রধান বলেন, আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্ঘাতের অবসান চাই। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ ও গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সব মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসঙ্কটে পতিত হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব বিবেকের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, অস্ত্র প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ, স্যাংশন বন্ধ করুন। শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন।


এ সময় প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, গত মাসে ২০১৭ সালে স্বদেশ থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে তাদের গণহারে বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টিতে দ্বিপক্ষীয়, ত্রিপক্ষীয় এবং জাতিসঙ্ঘসহ অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সঙ্ঘাত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে আরো দুরূহ করে তুলেছে। আশা করি, এ বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বহুমাত্রিক প্রভাবের কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এ সময় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ পরিস্থিতি উগ্রবাদকেও ইন্ধন দিতে পারে। এ সঙ্কট প্রলম্বিত হতে থাকলে তা এই উপমহাদেশসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, খাদ্যনিরাপত্তা, মা ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, লিঙ্গ বৈষম্য, নারীর ক্ষমতায়ন, গড় আয়ুর উন্নতি, সামাজিক নিরাপত্তাব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি পদ্মা বহুমুখী সেতুসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্প এবং এর সুফল সম্পর্কেও আলোচনা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কথা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হলো জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের সাথে এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ঠ অর্জনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অসংখ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময় অন্তর্ভুক্তিমূলক জলবায়ু কার্যক্রমের প্রসারের জন্য তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রসম্পদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নেয়া গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, সামুদ্রিক সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য সমুদ্র আইন সম্পর্কিত জাতিসঙ্ঘের কনভেনশনের বিধানগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এ বিষয়ে যেকোনো দুর্বলতা উত্তরণের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার এবং জাতীয় এখতিয়ারের বাইরের অঞ্চলে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আন্তর্জাতিক আইন যা ‘বিবিএনজে’ নামে পরিচিত, সেটি প্রণয়নে আরো তৎপর হওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।


জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসঙ্ঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের বর্তমান সভাপতি হিসেবে আমরা সঙ্ঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহযোগিতার উদ্দেশ্যে বহুমাত্রিক অংশীজনদের একসাথে কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রপন্থার বিষয়ে আমরা ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতি গ্রহণ করেছি। এ সময় সাইবার-অপরাধ এবং সাইবার সহিংসতা মোকাবেলা করার লক্ষ্যে একটি আন্তর্জাতিক বাধ্যতামূলক চুক্তি প্রণয়নে একসাথে কাজ করার জন্য সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ফিলিস্তিন প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের ভিত্তিতে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান ও রাজধানী হিসেবে পূর্ব জেরুসালেমকে নির্ধারণ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি বাংলাদেশের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।
পরিশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধের ভয়াবহতা, হত্যা-ক্যু-সঙ্ঘাতে মানুষের যে কষ্ট-দুঃখ-দুর্দশা হয়, ভুক্তভোগী হিসেবে আমি তা উপলব্ধি করতে পারি। তাই যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই; মানবকল্যাণ চাই। আগামী প্রজন্মের জন্য শান্তিময় বিশ্ব, উন্নত-সমৃদ্ধ জীবন নিশ্চিত করতে চাই। এ সময় তিনি বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যুদ্ধ, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। সমুন্নত হোক মানবিক মূল্যবোধ। আসুন, সবাইকে একসাথে নিয়ে হাতে হাত মিলিয়ে আমরা একটি উত্তম ভবিষ্যৎ তৈরির পথে এগিয়ে যাই।
এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর জাতিসঙ্ঘে ভাষণকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা পরস্পরবিরোধী ব্যাপক শো ডাউন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

 


আরো সংবাদ



premium cement