দাপুটে জয়ে শ্রীলঙ্কার প্রতিশোধ
আফগানিস্তান : ১৭৫/৬; শ্রীলঙ্কা : ১৭৯/৬ (১৯.১ ওভার)- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০৫, আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:৩১
চলতি এশিয়া কাপের শুরুটা হয়েছিল আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়ে। গতকাল সুপার ফোরের প্রথম লড়াইয়েও মুখোমুখি হলো উভয় দল। প্রথম দেখায় হারের কারণে শ্রীলঙ্কার জন্য ম্যাচটি হয়ে গেছে প্রতিশোধের। আর আফগানিস্তানের দাপট ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ। এমন সমীকরণে দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে দাপুটে জয়ে প্রতিশোধই নিলো শ্রীলঙ্কা। আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করলে জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করলে সুুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে জয়ী হয় দ্বীপরাষ্ট্রটি।
গতকাল টস জিতে শ্রীলঙ্কা ফিল্ডিং পছন্দ করলে ব্যাট করতে নামে আফগান ওপেনার হজরতুল্লাহ জাজাই ও রহমতুল্লাহ গুরবাজ। ৪.৫ ওভারে তাদেরকে আলাদা করেন মাদুশঙ্কা। ততক্ষণে আফগানদের দলীয় সংগ্রহ ৪৬। আর জাজাই বোল্ড হলেন ১৬ বলে দুই চারে ১৩ রান করে। অবশ্য এর আগে তার একটি উড়ন্ত বলে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ ধরেন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডার। ততক্ষণে তার পা স্পর্শ করে সীমানার দড়িতে। জাজাই তো বাঁচেনই সাথে পান ৬ রান। লাইফ পেয়ে স্কোর বড় করতে পারলেন না। এরপর সতর্ক শুরু রহমতুল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরানের। দু’জনে দেখেশুনে খেলার পাশাপাশি বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাট চালিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। ৩৭ বলে দলীয় ৫০ রান করেন তারা। আর রহমতুল্লাহ হাফ সেঞ্চুরি করেন মাত্র ২২ বলে তিনটি চার ও চারটি ছক্কায়, যা আফগানিস্তানের টি-২০ ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। তার আগে মোহাম্মদ নবী ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন।
তারা দু’জন ১৫.৩ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেন। এই সময়ের মধ্যে ৬৪ বল মোকাবেলা করে ৯৩ রানের জুটি গড়েন। তাতে দলীয় সংগ্রহ পেরিয়ে যায় ১৩৯। গুরবাজ মাত্র ৪৫ বল মোকাবেলা করে ৪টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৪ রান করেন। ১৫১ রানের মাথায় ফেরেন ইব্রাহিম জাদরান। তিনি ৩৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন। এরপর নাজিবুল্লাহর ১৭ ও রশিদ খানের ৯ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৫ রান করে আফগানরা। শ্রীলঙ্কার দিলশান মাদুশঙ্কা ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন মাহিশ থিকশানা ও আসিথা ফার্নান্দো।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তের পেছনে রান তাড়ায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধের কথা বলেছিলেন দাসুন শানাকা। সুপার ফোরে ওঠার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আরব আমিরাতের মাটিতে রেকর্ড ১৮৪ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের কীর্তি তাদের তাজা স্মৃতি, তাই আফগানদের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাদের জন্য ভীতিজাগানিয়া নয় মোটেই। হলোও তাই মাঝে মধ্যে একটু দোটানায় থাকলেও দলের সদস্যরা দেশের সম্মান রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলেন। যে কারণে শেষের দিকে কোনো ভয়ভীতি ছাড়াই লঙ্কান ব্যাটাররা উতরে গেলেন আফগান বাধা।
জবাবে খেলতে নেমে দলীয় ৬২ রানে ওপেনিং জুটি আলাদা হয়। কুশল মেন্ডিজকে ১৯ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৩৬ রানে বিদায় করেন নভিন উল হক। দলীয় ৮০ রানে নিশাঙ্কাকে সাজঘরে পাঠান মুজিব উর রহমান। ২৮ বলে ৩ চার এক ছক্কায় ৩৫ রান করেন। আশালঙ্কাকে ৮ রানে নবি বিদায় করলেও গুনালিথাকা (৩৩) ও শানাকা (১০) দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দু’জনের বিদায়ের পর হাল ধরেন রাজাপাকশা ও হাসারাঙ্গা। ১৪ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় যখন রাজাপাকশা ৩১ রান করেন মূলত তখনই আফগানিস্তান ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়। ৫ বল বাকি থাকতেই করুনারত্নাকে (৫*) নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই মাঠ ছাড়েন হাসারাঙ্গা (১৬*)।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা