১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ঢাকায় বিআরটি প্রকল্পের সব কাজ বন্ধ : আতিক

-

বিআরটি প্রকল্প কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই উত্তরার দুর্ঘটনা ঘটেছে মন্তব্য করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম বলেছেন, কমপ্লায়েন্স (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) নিশ্চিত না হওয়া পর‌্যন্ত ঢাকায় বিআরটি প্রকল্পের সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে।
বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলাকালে ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ঘটা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে গতকাল মেয়র এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষ আমার সামনে আছেন। আমি গতকালও তাদের সাথে কথা বলেছি। সচিবের সাথেও কথা হয়েছে। আমি বলেছি, বিআরটির কাজ বন্ধ করে দেব। আপনারা আমার সাথে পরশু বসবেন। শুধু এ প্রজেক্টই নয়, ঢাকা শহরে যতগুলো প্রজেক্ট চলছে, সবগুলো বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, এ প্রকল্প কাজ পরিচালনায় ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। ফলে কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটছে। জনদুর্ভোগ বাড়ছে। এভাবে উন্নয়ন কাজ চলতে দেয়া যাবে না। আগে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় বিআরটি, মেট্রোরেলসহ অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলছে। সব প্রকল্পের পরিচালকদের বৃহস্পতিবার নগরভবনে ডাকা হয়েছে। তারা নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করলেই কাজ শুরু করতে পারবে।


ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিআরটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ব্যস্ত সড়কে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে ভারী গার্ডার তুলতে হবে। একটি ক্রেন দিয়ে কাজ করার সময় যেকোনো ত্রুটি হতে পারে বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য বিকল্প আরো একটি ক্রেন প্রস্তুত রাখতে হবে। দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও থাকার কথা। বিআরটি এগুলোর কিছুই করেনি। তিনি আরো বলেন, ক্রেন দিয়ে গার্ডার তোলার সময় যান চলাচল বন্ধ রাখা বা বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবহিত করে তাদের সহায়তা নেয়া উচিত ছিল। আমি খোঁজ নিয়েছি বিআরটি প্রকল্প থেকে ট্রাফিক বিভাগের সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তাদের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না।
এ সময় উপস্থিত বিআরটি প্রকল্পের মহা ব্যবস্থাপকের উদ্দেশে মেয়র বলেন, প্রকল্প চলাকালে নিরাপত্তার বিষয়গুলো সাইনবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে। প্রকল্প কবে শেষ হবে সেটিও সাইনবোর্ডে উল্লেখ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ঢাকা শহরে প্রকল্পের কাজ চালানো যাবে না। আর একটি দুর্ঘটনাও যেন না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো নির্মাণ প্রকল্পে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকতে হবে। নির্মাণ প্রকল্প এলাকার কমপ্লায়েন্স, বিদ্যুৎ সংযোগের কমপ্লায়েন্স ও মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। শুধু বিআরটি প্রকল্প নয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো প্রকল্পের কাজ চলতে দেয়া হবে না।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমরা গত সপ্তাহেও ডিএনসিসিতে ঢাকা শহরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে জনগণের নিরাপদ চলাচলের বিষয় নিয়ে সভা করেছি। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কাজ চালানোর আহ্বান করেছি।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের সাথে উপস্থিত ছিলেন বিআরটি’র মহা-ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম, ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement