২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজে গুলি, নিহত ৬

-

যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজের সময় শিকাগোতে গুলি করে ছয়জনকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ওই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ধাওয়া করে ২২ বছর বয়সী রবার্ট-ই ক্রিমো থ্রি নামের ওই শেতাঙ্গ যুবককে আটক করে। ইলিনয়ের হাইল্যান্ড পার্কে স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে কুচকাওয়াজ শুরুর মিনিট দশেক পর কয়েকটি গুলির শব্দে অনুষ্ঠান অকস্মাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় একটি দোকানের ছাদ থেকে ভারী রাইফেল ব্যবহার করে প্যারেডের ওপর গুলি চালায় হামলাকারী। এ ঘটনায় আরো ২৪ জন আহত হয়েছেন, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বন্দুক হামলার সর্বশেষ ঘটনা এটি। চলতি বছর সেখানে প্রতি সপ্তাহেই অন্তত একটি গুলির ঘটনা ঘটেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, শিকাগোর ঘটনায় তিনি স্তম্ভিত।
পুলিশ বলছে, ক্রিমো নামের যে যুবককে তারা গ্রেফতার করেছে, গুলির জন্য সেই দায়ী বলে তাদের ধারণা। তবে তার বিরুদ্ধে এখনো মামলা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ক্রিমোর অ্যাকাউন্ট স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। ছদ্মনামের একটি আইডি থেকে রথ্যাপ ভিডিও পোস্ট করতেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসের এ আয়োজনে ব্যান্ড বাদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উৎসব আর আনন্দ মুহূর্তে পাল্টে যায় আতঙ্কের আবহে।
টেক্সাসের উভালদে আর নিউ ইয়র্কের বাফেলোর হত্যাকাণ্ডের ঠিক একমাসের মাথায় হাইল্যান্ডের পার্কের এই হামলা হলো। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বন্দুক হামলা ও হতাহতের ঘটনার পরই বন্দুক সহিংসতাকে মহামারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সাথে দেশে বন্দুক সহিংসতার ‘মহামারী’ শেষ করতে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
এই মর্মান্তিক গুলির ঘটনাকে ‘বিপর্যয়কর’ আখ্যা দিয়েছেন শিকাগোর মেয়র লোরি লাইটফুট। ইলিনয়ের গভর্নর জে রবার্ট প্রিৎজকার আক্ষেপ করে বলেছেন, গুলি করে মানুষ হত্যা যেন ‘আমেরিকার ঐতিহ্যে’ পরিণত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ আছেন, যারা এই পরিস্থিতিকেও অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার বন্ধের সঠিক সময় বলে মানতে চান না। আমি তাদের বলতে চাই, সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এর থেকে উপযুক্ত সময় আর হয় না।’
বন্দুকবাজির এই ‘মহামারী’ বন্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের বাইরে এক বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, ‘আমি হাল ছাড়ছি না।’ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে গত সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনে স্বাক্ষর করেন বাইডেন। তরুণদের কাছে অস্ত্র বিক্রির আগে তাদের পারিবারিক ইতিহাস ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়গুলো বিবেচনায় নিতে বলা হয়েছে ওই আইনে।


আরো সংবাদ



premium cement