২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেয়েছি সম্মানযুক্ত ভালোবাসা : ফজলে কবির

-

আমার দায়িত্ব নেয়ার ৬ বছর ৩ মাস পার হয়ে গেল। অথচ মনে হচ্ছে এই তো সেদিন দায়িত্ব নিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর যখন দেশে ফিরছিলাম। বিমানবন্দরে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন আপনার প্রথম কাজ কী হবে? আমি বলেছিলাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাবমর্যাদা পুনরুদ্ধার করা। এরপরে কর্মকর্তাদের মনোবল চাঙ্গা করা। আমি দেশের অর্থনীতির জন্য যা করতে পেরেছি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। আর তা হলো সম্মানযুক্ত ভালোবাসা।
গতকাল আবেগজড়িত কণ্ঠে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদায়ী গভর্নর ফজলে কবির এ কথা বলেন। গতকাল ছিল গভর্নর হিসেবে তার শেষ কর্মদিবস। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাচিত কর্মকর্তাদের সংগঠনের উদ্যোগে বিদায়ী অনুষ্ঠানে গভর্নর এ কথা বলেন। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন গভর্নরের সহধর্মিণী ও সাবেক সচিব মাহমুদা শারমীন বেনু, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
ফজলে কবির বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পারফরম্যান্স অসাধারণ। অন্য কোনো দেশে এমনটা পাওয়া যায় না। এখানে অনেক মেধাবীদের সমন্বয় আছে। দেশের অন্য কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেও এমনটা দেখা যায় না, যা আমি বাংলাদেশ ব্যাংকে এসে পেয়েছি।
করোনার চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে ফজলে কবির বলেছেন, করোনার সময় অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। সবার ধারণা ছিল টিকা কার্যক্রম শেষ হলে চ্যালেঞ্জ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জ তার কোনো সীমা নেই। আমি এক মেয়াদি চ্যালেঞ্জ রেখে বিদায় নিচ্ছি। আমার যোগ্য উত্তরসূরী যিনি গভর্নর হিসেবে আসছেন, তিনি মূল্যস্ফীতি ও ডলার রেটের মতো চ্যালেঞ্জ শক্ত হাতে মোকাবেলা করবেন।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হলরুমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের সভাপতি ও সংবর্ধনা কমিটির আহ্বায়ক এইচ এম দেলোয়ার হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা ও পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ মুহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, চাকরি জীবনে প্রশাসক হিসেবে গভর্নর ফজলে কবির যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার সংমিশ্রণে তিনি দক্ষতার সাথে আর্থিক খাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে আমি তার সাথে কাজ করেছি। ব্যক্তি ও কর্মজীবনে তিনি সবার জন্য অনুকরণীয় ব্যাক্তিত্ব ছিলেন।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, অসাধারণ একটি সময় পার করেছেন ফজলে কবির স্যার। যেটা নটআউট বলা যায়। করোনা মোকাবেলায় তার ব্যাংকিং খাতে অবদান ছিল অতুলনীয়।
নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির বলেন, গভর্নর স্যার অনেক কঠিন সময়ে দায়িত্ব নিয়েছেন। রিজার্ভ হ্যাকের মাধ্যমে যে ক্রান্তিলগ্নের আবির্ভাব হয় তা তিনি সুন্দরভাবে ও দক্ষতার সাথে গুছিয়ে নিয়েছেন। তিনি একজন মানবিক মানুষ। করোনাকালে ১৮৩ জন ব্যাংকার মারা গেছেন, তাদের পরিবারের পাশে ছিলেন তিনি। ব্যাংকারদের ন্যূনতম বেতনকাঠামো বাস্তবায়ন করেছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো: সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান স্যারের মতো ফজলে কবির স্যারের মানবিকতা দেখেছি। তিনি একজন ব্যতিক্রম ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। দেশের মানুষের জন্য তিনি যে কাজ করেছেন তাতে আমি অভিভূত।


আরো সংবাদ



premium cement
গণকবরে প্রিয়জনদের খোঁজ কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, স্বজনদের হাসপাতাল ঘেরাও বঙ্গোপসাগরে ১২ নাবিকসহ কার্গো জাহাজডুবি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশকে ‘নেট সিকিউরিটি প্রোভাইডার’ হিসেবে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি রাজশাহীতে টানা তাপদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা শরীয়তপুরে তৃষ্ণার্ত মানুষের মাঝে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ জামায়াতের এক শ্রেণিতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নয় : শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী নজিরবিহীন দুর্নীতির মহারাজার আত্মকথা ফতুল্লায় ১০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ, মারধরে আহত ২, মামলা পার্বত্যাঞ্চলে সেনাবাহিনী: সাম্প্রতিক ভাবনা

সকল