২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ আজ

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথ শাবি শিক্ষার্থীদের

-

ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে শপথ গ্রহণ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে মোহাইমিনুল বাশার রাজ এই শপথ পাঠ করান।
শপথবাক্য পাঠ শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একাংশ অনশনরতদের অনশন ভাঙানোর জন্য আসেন। এ সময় সবাই সম্মিলিতভাবে অনশনরত শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার বিষয় বিবেচনা করে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান। পরে অনশনরত শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে কিছু সময় চান। মঙ্গলবার রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনশন ভাঙার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।
অর্থসহায়তার অভিযোগে পাঁচজন আটক : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন হচ্ছে সেখানে অর্থসহায়তার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি। গতকাল বিকেল ৫টায় তাদেরকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) জালালাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় এসএমপি’র কমিশনার নিশারুল আরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্দোলনে অর্থসহায়তা করা অপরাধের মধ্যে পড়ে কি না, এমন প্রশ্নে নিশারুল আরিফ বলেন, ‘এর মধ্যে ইনসাইড কোনো স্টোরি আছে কি না সেটি আমরা তদন্ত করে দেখব। এখানে সহায়তাকারী যারা থাকেÑ আইনে তো আছেÑ অনেকে কাছে থাকে না, (কিন্তু) অপরাধ সংগঠন যখন হয় তখন তাদেরকে সহায়তা করে বিভিন্নভাবে। তাহলে তারাও আওতার (অপরাধের) মধ্যে চলে আসে। অর্থ দিয়ে সহায়তা করে যদি কেউ অনিষ্ট ঘটায় সে ক্ষেত্রে তো তারাও আসামি হয়।’
নিশারুল আরিফ আরো বলেন, ‘তারা কিসের জন্য টাকা দিচ্ছে সেটা তো আমরা এখনি বলতে পারব না। খাবারের জন্য যে দিচ্ছে সেটিও তো বলা যাচ্ছে না। জঙ্গিরাও তো অর্থ সংগ্রহ করে, বিভিন্নভাবে সেগুলো নিয়ে কাজ হয়েছে অতীতে। এখন কিসের জন্য দিচ্ছে, এটা নিয়ে তারা কী করবে এখনি বলা যাচ্ছে না। আটকৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
আটককৃতরা হলেনÑ টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউজিং বি ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) এবং কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)। এর আগে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর ফার্মগেট ও উত্তরা এলাকা থেকে ওই পাঁচ সাবেক শিক্ষার্থীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ বিষয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের ধরতে সহায়তা করেছে সিআইডি।
কী শপথ পাঠ করলেন : মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন যেতে শপথ করলেন। শপথবাক্যে তারা বলেন, আমি শপথ করছি যে, স্বৈরাচারী ফরিদ উদ্দিনের পদত্যাগের আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের দাবি আদায়ের লড়াই অব্যাহত রাখব। অনশনরত ভাইবোনদের এত দিনের অকুতোভয় সংগ্রামের অনুপ্রেরণা বুকে ধারণ করে আরো দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। তবে এই দুর্বিষহ যন্ত্রণা আমরা বৃথা যেতে দেবো না। দিন হোক রাত হোক আমরা এই আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে যাবো না, আমরা আমাদের একদফা দাবি আদায় করেই তবে ঘরে ফিরব।
শপথবাক্য পাঠ করার পর শিক্ষার্থীরা তাদের অনশনরতদের অনশন ভাঙানোর জন্য আসেন। এ সময় সবাই সম্মিলিতভাবে অনশনরত শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করেন এবং অনশনরতদের উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান দাবি আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন; কিন্তু শারীরিক অবস্থার বিষয় বিবেচনা করে তারা যেন অনশন ভাঙেন। পরে অনশনরতরা অন্যান্য শিক্ষার্থী কাছে কিছু সময় চান।
মেডিক্যাল সাপোর্ট বন্ধ : শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মেডিক্যাল সাপোর্ট বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আয়োজিত জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়টি জানানো হয়।
এ সময় অনশনকারীদের জীবনঝুঁকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্দোলনকারীদের এক মুখপাত্র বলেন, অনশনরত শিক্ষার্থীদের সবার অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং তারা ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। তারা সবাই খিঁচুনি, ব্লাডে অক্সিজেন ও সুগার লেভেল কমে যাওয়া, ব্লাড প্রেশারসহ নানা শারীরিক জটিলতায় পড়ছেন। তারা অর্গান ড্যামেজের ঝুঁকিতে আছেন।
তিনি আরো বলেন, অনশনকারীদের মেডিক্যাল রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে সিনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অনশন দীর্ঘায়তি হলে যেকোনো মুহূর্তে হার্ট ফেইলিওরসহ কোমায় চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফের আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে শিক্ষকরা : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। বাসভবনে সাংবাদিক ও পুলিশ ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না তারা। ফের বাধার মুখে পড়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল ভিসির জন্য খাবার নিয়ে তার বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন শিক্ষকরা।
জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টায় শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসি কুমার দাশ, সাধারণ সম্পাদক মহিবুল আলম, সহসভাপতি ড. আশরাফুল ইসলামসহ কয়েকজন শিক্ষক ভিসির জন্য খাবার নিয়ে বাসভবনে প্রবেশ করতে চাইলে বাসভবনের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা তাদেরকে বাধা দেন। এ সময় আলোচনার টেবিলে বসে নিজেদের দাবিদাওয়া জানাতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান শিক্ষকবৃন্দ; কিন্তু শিক্ষকদের কোনো কথাই শুনতে রাজি হননি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যায় শাবির বেশ কয়েকজন শিক্ষক খাবার নিয়ে ভিসির বাসভবনে যেতে চাইলে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন। তখন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
মধ্যরাতে আবারো মশাল মিছিল : ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আবারো মশাল মিছিল করেছে শাবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাতে মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়। এ সময় ভিসিকে নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো এই দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল হয়েছে।
২৯ ঘণ্টা পর ভিসির বাসভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ : শাবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বাসভবনে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২৯ ঘণ্টা পর সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হয়। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অফিসার এডিসি বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ জানান, ভিসির বাসভবনের বিদ্যুৎ লাইনের সাথে অর্ধশতাধিক স্টাফের বাড়ির বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। স্টাফদের বাড়িতে অনেক মানুষ অসুস্থ রয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়। তাই মানবিক দিক বিবেচনা করে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয়া হয়েছে। এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভিসির বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ২৯ ঘণ্টা পর এ সংযোগ পুনরায় চালু করা হলো।
দেয়াল দেয়ালে স্লোগান-গ্রাফিতি, রোড পেইন্টিং : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে ক্যাম্পাসের প্রতিটি দেয়ালে ও রাস্তায় প্রতিবাদী স্লোগান, গ্রাফিতি ও রোড পেইন্টিং করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে অনেক প্রতিবাদী ভাষা এবং ভিসিবিরোধী ¯োাগান লেখা আছে। গতকাল দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ভবন, ভিসির কার্যালয়, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি ভবন গোলচত্বরসহ বেশ কিছু জায়গায় ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এই প্রতিবাদ করছেন শিক্ষার্থীরা।
গোলচত্বরের অর্ধেক অংশজুড়ে ‘পতন পতন পতন চাই, স্বৈরাচারের পতন চাই’, ‘যেই ভিসি মিথ্যা বলে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি বোমা মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, শাবিশ্রবি মুক্তি পাক’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা হয়।
আজ ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ : শাবিপ্রবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা থেকে সিলেট অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। ‘বিবেকবান নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে এ কর্মসূচি শুরু হবে। মঙ্গলবার ‘বিবেকবান নাগরিক সমাজ’-এর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানসহ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষ থেকে এ বিবৃতি পাঠানো হয়। আয়োজকরা জানান, ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, খেলোয়াড়, শ্রমজীবীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে লংমার্চ সফল করা হবে। বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন চলছে।
রাবি শিক্ষক নেটওয়ার্কের অবস্থান কর্মসূচি
রাবি সংবাদদাতা জানান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্ট, ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র অধিকার পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার বলেন, আমাদের লজ্জা লাগে, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করেছি। এমন সময়ে এসেও শিক্ষার্থীরা শোষিত, লাঞ্ছিত এবং হামলার শিকার হচ্ছে। শাবিপ্রবিতে অহিংস ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো হলো, মারধর করা হলো।
কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য দেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি শাকিলা খাতুন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের আহ্বায়ক হৃদম শাহারিয়ার, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আমানুল্লাহ আমান, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর রনজু হাসান প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement