১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসায় সন্ত্রাসী হামলা, ৭ ছাত্র শিক্ষক নিহত

-

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি মাদরাসায় সন্ত্রাসীদের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর তিনজন মারা যায়। গতকাল শুক্রবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে উখিয়ার এফডিএমএন ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকে দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদরাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা সবাই ওই মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও সাতজন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদরাসায় এই হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা। এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলায় নিহতরা হলেন ক্যাম্প-১২, ব্লক-জে ৫ এর বাসিন্দা ওই মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ মো: ইদ্রিস (৩২), ক্যাম্প-৯ ব্লক-২৯ এর মৃত মুফতি হাবিবুল্লাহর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৪), ক্যাম্প-১৮ ব্লক-এইচ-৫২ এর স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থী আজিজুল হক (২২) ও মো: আমিন (৩২)। হাসপাতালে মৃতরা হলেন ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২ এর মাদরাসাশিক্ষক নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), এফডিএমএন ক্যাম্প-২৪ এর মাদরাসাশিক্ষক হামিদুল্লাহ (৫৫) ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এইচ ৫২ এর মাদরাসাছাত্র নুর কায়সার (১৫)।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার (এসপি) শিহাব কায়সার জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া বালুখালী ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় গোলাগুলি এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘটনাস্থলে চার রোহিঙ্গা নিহত হন। এ সময় আহত হন আরো ১০ থেকে ১২ জন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়।
এসপি শিহাব কায়সার আরো জানান, ঘটনার পরই এপিবিএন পুলিশ এবং জেলা পুলিশ বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিহতদের উদ্ধার এবং অস্ত্রধারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ কামরান হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়াহ মাদরাসায় রোহিঙ্গা দষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। ওই হামলায় মাদরাসায় অবস্থানরত চারজন রোহিঙ্গা সদস্য নিহত হন। এ ঘটনার খবর পেয়ে ময়নারঘোনা এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্প-১২-এর সদস্যেরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো তিনজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়।
মোহাম্মদ কামরান হোসেন আরো জানান, নিহত ব্যক্তিদের সবাই মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। তারা গুলিবিদ্ধ এবং ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ছয়টি গুলি ও একটি ছুরিসহ একজনকে হাতেনাতে আটক করতে সম হয়। তার নাম মুজিব বলে জানা গেছে। এদিকে উখিয়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে লাশের সুরতহাল এবং মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিব্বুল্লাহ। এ ঘটনার পর থেকেই পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশ এবং জেলা পুলিশ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত অর্ধশত সন্ত্রাসী আটক হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান পিছিয়েছে ডি মারিয়ার বাংলাদেশে আসার সময় ইরানে হামলা : ইস্ফাহান কেন টার্গেট? মাত্র ২ বলে শেষ পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড প্রথম টি-টোয়েন্টি জেলে কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দলের ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা তোকে যদি এরপর হলে দেখি তাহলে খবর আছে, হুমকি ছাত্রলীগ নেতার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা করা হয়নি : প্রধানমন্ত্রী দাওয়াতী ময়দানে সকল নেতাদের ভূমিকা রাখতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

সকল