উচ্চগতির ইন্টারনেট ফিরল ১২ ঘণ্টা পর
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০০:০৫
সারা দেশে ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবার সচল হয়েছে উচ্চগতির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট সেবা। এই সময়ে সারা দেশের মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন। বিঘ্নিত হয়েছে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন সেবা।
দেশের টেলকো কোম্পানিগুলোর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশে শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে তারা থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ রেখেছিলেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশেই বিকেল ৫টার দিকে ঢাকায় আবার সেই সেবা চালু করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে সিলেট, রাজশাহী, বরিশালেও তা সচল হয়। রাতেই সব অপারেটরের থ্রি ও ফোর জি সেবা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। বিডি নিউজ।
সোস্যাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়িয়ে দুই দিন আগে কুমিল্লাসহ কয়েকটি জেলায় দুর্গাপূজার মণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের পর বুধবার থেকেই ছয় জেলায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকে সারা দেশেই একই পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
তাদের একজন বলেছেন, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত’ এ সেবা বন্ধ রাখতে বলেছিল বিটিআরসি। তবে বিটিআরসি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে সকালে মন্ত্রী বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণেও এ সমস্যা হতে পারে, খুব দ্রুতই সমাধান হবে বলে আশা করি।’
দেশে সাড়ে ১৭ কোটি মোবাইল ফোন গ্রাহকের অর্ধেকের বেশি গ্রামীণফোনের সেবা নেন। গ্রামীণফোন সকালে গ্রাহকদের এসএমএস করে বলে, ‘বন্ধ ফোরজি ও থ্রিজি সেবা ফিরিয়ে আনতে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করছি। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত।’ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড তাদের গ্রাকদের এসএমএস করে সতর্ক করে। সেখানে বলা হয়, ফোরজি ও থ্রিজি সেবা বন্ধ থাকায় কার্ডের মাধ্যমে তাদের সেবাও বিঘ্নিত হতে পারে। বিকেলে মোবাইলে থ্রিজি, ফোর ইন্টারনেট ফেরার পর সেসব সমস্যাও কাটতে শুরু করে।
কুমিল্লায় বুধবার সকালে একটি মন্দিরে ‘কুরআন অবমাননার’ কথিত অভিযোগের ছবি-ভিডিও ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মন্দিরে হামলা হয়, যা থেকে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। এ ঘটনার জেরে চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, মৌলভীবাজার, গাজীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ আরো কয়েকটি জেলায় একই ধরনের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নজরে আসার পর সোস্যাল মিডিয়ায় ‘অপপ্রচার’ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। ‘ইতোমধ্যে ১০০-এর বেশি ফেসবুক লিংক বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, এগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।’
‘অপপ্রচারকারীরা’ যেন সুযোগ না পায়, সেজন্য কুমিল্লার ঘটনার পরপরই ওই এলাকার ইন্টারনেট গতিতে ‘নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে’ বলে সেদিন তিনি জানিয়েছিলেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাবে দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১২ কোটি ছাড়িয়েছে; এর মধ্য ১১ কোটি ৫৪ লাখ গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা