২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

স্থলভাগে উঠে গেছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব

-

ঘূর্ণিঝড় গুলাব স্থলভাগে উঠে গেছে। সাগর উত্তাল হওয়া ছাড়া বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। গতকাল বাংলাদেশের চার সমুদ্রবন্দরে ২ নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত জারি করা হয়। তবে আবহাওয়া অফিস থেকে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে থাকতে বলা হয়েছিল। একই সাথে গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির একটানা গতিবেগ ছিল ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা দমকা হাওয়া আকারে ৯৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের আবহ্ওায়া অফিস গতকাল জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি মধ্যরাতের দিকে উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করে শেষ করবে এবং স্থলভাবে উঠে যাওয়ার পর তার গতি হারিয়ে ফেলবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ভারতের উত্তর অন্ধ্র উপকূল ও দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের মাঝখান দিয়ে গুলাব স্থলভাগে উঠে যায়। তবে ঘূর্ণিঝড়টি এখানেই শেষ নয়। এটা ভারতের উত্তর উপকূল দিয়ে প্রবেশ করে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মধ্যভাগের ওপর দিয়ে অতিক্রম করে মুম্বাই অতিক্রম করে আরব সাগরে গিয়ে পড়বে এবং সেখানে আবারো শক্তিশালী হয়ে পাকিস্তানে আঘাত করে ইরানের দিকে অগ্রসর হওয়ার আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সঙ্কেত তখনই দেয়া হয় যখন দূরে গভীর সমুদ্রে ঝড়ের সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং সেখানে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে। এর আরো মানে হলোÑ এ সঙ্কেত দেয়ার সময় বন্দর ঝড়ের কবলে পড়বে না কিন্তু বন্দর ত্যাগকারী জাহাজ তার চলার পথে বিপদে পড়তে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement