১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনায় মৃত্যু ২১ হাজার

১ দিনে আক্রান্ত ১৫৯৮৯ মৃত্যু ২৪৬
-

করোনা আক্রান্তদের মৃত্যু গতকাল সোমবার ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৪৬ জনের। এই মৃত্যু নিয়ে সারা দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ১৬২ জনের। একই সময়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হলেন ১৫ হাজার ৯৮৯ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত হলেন ১২ লাখ ৮০ হাজার ৩১৭ জন। করোনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্য ১৩৭ জন পুরুষ এবং ১০৯ জন নারী। মৃতদের বেশির ভাগেরই বয়স ৫০ বছরের বেশি। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিচারে শনাক্তের হার ২৯.৯১ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৮২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১১ লাখ ৮ হাজার ৭৪৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে যত মৃত্যু হচ্ছে এর বেশির ভাগই ঢাকা বিভাগের। ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানীতে মৃত্যু সবচেয়ে বেশি এখানে জনসংখ্যা বেশি থাকার কারণে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১ আগস্ট সকাল ৮টা থেকে ২ আগস্ট সকাল ৮টা পর্যন্ত ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হয়ে মারা গেছেন ৭৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৬৩৪ জন। বাংলাদেশে করোনা মহামারীতে মৃতের অর্ধেকের মতো মারা গেছেন ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে। এরপরেই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের।
এদিকে ঢাকা মহানগরীর করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারি ১৭ হাসপাতাল রয়েছে। এই হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের সাধারণ সিট রয়েছে তিন হাজার ৯৩০টি। এর মধ্যে করোনার ১৫০টি সিট নিয়ে সর্বশেষ সংযোজন হয়েছে শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতাল)।
স্বাস্থ্য অধিদফতর গতকাল সোমবার বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরীর এই ১৭টি হাসপাতালে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৩৮৪টি সিট খালি রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এখন ঢাকা মহানগরীর সরকারি হাসপাতালগুলোতে সাধারণ রোগীরা গিয়ে সিট পাচ্ছে না। এমনকি যে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিট খালি নেই বলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নোটিশ টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে, সেখানেও গতকাল দু’টি সাধারণ সিট খালি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা মহানগরীর ১৭ সরকারি হাসপাতালে গতকাল ১৮টি আইসিইউ শয্যা খালি ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেডিসিনের শিক্ষক জানিয়েছেন, বিকাল ৫টার পর স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতালে আইসিইউ সিট খালি দেখেই একজন রোগীকে তিনি পাঠিয়েছেন আইসিইউ সিটের জন্য। কিন্তু তার রোগীর স্বজনরা তাকে জানিয়েছেন, সরকারি হাসপাতালের কোথাও আইসিইউ সিট না পেয়ে রোগীকে শেষ পর্যন্ত একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-এ ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের উচিত শুধুমাত্র খাতার হিসাব না দেখে কোন হাসপাতালে প্রকৃতপক্ষে কতটি সিট খালি তা ভালো করে খোঁজ নিয়েই উল্লেখ করা উচিত। তবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, একটু চেষ্টা করলেই রোগীরা হাসপাতালের সাধারণ সিট পেতে পারেন কিন্তু খালি থাকা সত্ত্বেও আইসিইউ সিট পায় না। কিছু আইসিইউ সিট রেখে দেয়া হয় ভিআইপিদের জন্য। নানা কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভিআইপিদের সন্তুষ্ট রাখতে এই কাজটি করে থাকেন।
রামেক হাসপাতালে আরো ১৫ জনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতজন ও করোনা উপসর্গে আটজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী। মৃত ১৫ জনের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন, নাটোরের একজন, নওগাঁর দুইজন, পাবনার পাঁচজন ও কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন। এ সময়ে রাজশাহীর দুই ল্যাবে মোট ৪৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১ জনের করোনা পজিটিভ ফল আসে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিলে আরো ১১ জন
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯৮৫ জনের। যাদের মধ্যে নগরের ৬৯২ জন এবং উপজেলা পর্যায়ের ২৯৩ জন। একই সময়ে করোনা কেড়ে নিল আরো ১১ জনের প্রাণ। এর মধ্যে ৪ জন মহানগরের এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা। এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন দুই হাজার ৭৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে ৯৮৫ জনের। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৪৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এর মধ্যে ২৮১ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৮১ জন নগরের এবং ২০০ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রামে প্রতিদিন যে হারে করোনা রোগী বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাচ্ছে না। এছাড়া গ্রামে সংক্রমণ বাড়ছে খুব দ্রুত। ফলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি নেই।
বগুড়ার ৩ হাসপাতালে ২৬ জনের মৃত্যু
বগুড়া অফিস জানায়, জেলায় করোনায় এক দিনে আবারো রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলায় করোনা পজিটিভ হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ১৮ জন এবং উপসর্গে আটজন মারা গেছেন। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন সোমবার জেলার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান। তিনি জানান, মৃত্যুর সাথে আবারো সংক্রমণ বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৭৮ নমুনায় নতুন করে আরও ১২৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ২৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
ময়মনসিংহে সংক্রমণে ভয়াবহ রূপ
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, জেলায় করোনা সংক্রমণ ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় সাতজন ও উপসর্গ নিয়ে ১৬ জন মারা গেছেন। করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা: মহিউদ্দিন খান খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা ১৫ জন, জামালপুরে তিনজন, নেত্রকোনায় তিনজন ও গাজীপুরে দুইজন রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৪০৪ জন। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ১৬০ জন, জামালপুরে ৮৪ জন, নেত্রকোনায় ৮৬ জন ও শেরপুরে ৭৪ জন মারা গেছে। এদিকে সিভিল সার্জন ডা: নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৬১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরো ৮৯৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬১ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্ত ১৫ হাজার ৫৪৭ জন। সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৫০৯ জন।
বরিশাল বিভাগে ৩১ জনের মৃত্যু
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৮ জন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন। গতকাল সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। তিনি জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮ জনের মধ্যে বরিশালে ৪ জন, পটুয়াখালীর ২ জন, ভোলায় ৬ জন ও পিরোজপুরে একজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪শ ৮৭ জনে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৮ জন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৬২৭ জনে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ৪৩৬ জন।
ফেনী হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু
ফেনী অফিস জানায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে আরো ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো ১৫৬ জন। শনাক্তের হার শতকরা ২৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। সরকারি হিসাবে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ৯৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭শ ৯০ জন।
নোয়াখালীতে দুইজনের মৃত্যু
নোয়াখালী অফিস জানায়, জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে একজন মারা গেছেন কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ও অপরজন সেনবাগ উপজেলায় হোমআইসোলেশনে। এদিকে গত ২৪ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আরও ১৭৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় নতুন শনাক্তের হার শতকরা ৩১ দশমিক ১৪ভাগ। গতকাল সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার ও কোভিড হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. নিরুপম দাশ।

টাঙ্গাইলে ৪ জনের মৃত্যু
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জন করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। অন্য দু’জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলায় মৃত্যু হয়েছে ২১৫ জনের। গত এক দিনে ৯৮৯টি নমুনা পরীায় ২৪৭ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে এ ভাইরাস। শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হলেন ১৪ হাজার ১৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৭৭৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক হাজার ২০১ জন। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
মানিকগঞ্জে শনাক্তের হার ৪৪ শতাংশ
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাসে মানিকগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যু ৮৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪৯টি নমুনা পরীায় শনাক্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। শনাক্তের হার ৪৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গতকাল সোমবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রফিকুন নাহার বন্যা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাবনায় সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু
পাবনা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ৭৩৩ হাজার নমুনা পরীা করে ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, এক দিনে হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মারা গেছেন ৯ জন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়াও সদরের আরও তিনজন উপসর্গে মারা গেছেন।
সাতক্ষীরায় কমেছে সংক্রমণ হার
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এনিয়ে জেলায় ১ আগস্ট রোববার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৫০ জন। এদিকে সাতক্ষীরায় কমেছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ৩৩৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গাইবান্ধায় নতুন শনাক্ত ৪৪
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সোমবার করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৪৪ জন। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৮, সদরে ২২, ফুলছড়িতে ৩, সুন্দরগঞ্জে ২, সাঘাটায় ২, পলাশবাড়ীতে ৩ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৪ জন। করোনায় মৃত জয়নব বেগমের (৬৫) বাড়ি সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নে। এদিকে জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯৫ জন। এর মধ্যে ৩৬ জন মারা গেছে।
নীলফামারীতে বৃদ্ধার মৃত্যু
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু ও ৬১ জন আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা: জাহাঙ্গীর কবির জানান, করোনায় মারা যাওয়া বৃদ্ধা হলো জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সুটিপাড়া গ্রামের সুফিয়া বেগম (৮৫)। গত ৩০ জুলাই ওই নারীর করোনা শনাক্ত হওয়ার পর নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০টি নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে।
সোনারগাঁওয়ে নারীর মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৯
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সোনারগাঁওয়ে করোনায় ৪৯ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। নতুন করে আরো ৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জনের ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৮ শতাংশ। গতকাল সোমবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার পলাশকুমার সাহা এ তথ্য জানান।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল