২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

করোনা শনাক্তের হার ২৯.৯৭ শতাংশ

আজ ঢাকায় ৭ আগস্ট সারা দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আবার শুরু
-

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এক দিনের ব্যবধানে গতকাল সারা দেশে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেনি। গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগে ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩১ জন। একই সময়ের মধ্যে দেশে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৮৪৪ জন। গত শনিবার দেশে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ২১৮ জনের এবং শনাক্ত হয়েছিলেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪ জন।
এ দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা: মো: শামসুল হক জানিয়েছেন, আজ সোমবার থেকে ঢাকা মহানগরীতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেয়া শুরু হবে এবং ৭ আগস্ট থেকে সারা দেশে শুরু হবে। ইতোমধ্যে সরকারের কাছে জাপান সরকারে উপহার হিসেবে জাপানে তৈরি ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পৌঁছেছে। এই কোম্পানির আরো টিকা সামনে আসবে।
অন্য দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, হাসপাতাল থেকে টিকা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়া হবে। হাসপাতালে টিকা কেন্দ্র করার পেছনে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, টিকা নেয়ার পর পার্শ¦প্রতিক্রিয়া দেখা গেলে যেন হাসপাতালে চিকিৎসাটা দেয়া যায় সে কারণে হাসপাতালে টিকা কেন্দ্র করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে করোনার টিকা নিলে তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সে কারণে হাসপাতাল থেকে টিকা কেন্দ্র সরিয়ে সিটি করপোরেশন ও গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড পর্যন্ত টিকা কেন্দ্র সম্প্রসারণ করা হবে যেন আরো বেশি মানুষকে টিকা দেয়া যায়। হাসপাতালের স্বাভাবিক কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সে কারণে টিকা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহীত হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৮১টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ হাজার ৫২৯টি। এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ৪২৩টি। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৯ জন আর নারী ৯২ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৪ হাজার ১৪২ জন আর নারী মারা গেলেন ছয় হাজার ৭৭৪ জন।
তাদের মধ্যে বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৪৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৭২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তিনজন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে দুইজন।
মৃত ২৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ৭৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ৪৪ জন, বরিশাল বিভাগের ছয়জন, সিলেট বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ১৮ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ১১ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, মারা যাওয়া ২৩১ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৬৮ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৯ জন, বাড়িতে মারা গেছেন ১৩ জন আর হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে একজনকে।
করোনায় ও উপসর্গে রামেক হাসপাতালে আরো ১৮ জনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন ও করোনা উপসর্গে ১২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও সাতজন নারী। তাদের বেশির ভাগের বয়স ৩১ থেকে ৬৫ বছরের ওপরে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৮টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন তারা। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ফলে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা আবার বাড়ল। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের চারজন, নওগাঁর তিনজন, পাবনার তিনজন ও কুষ্টিয়ার একজন রয়েছেন। করোনায় মৃত ছয়জনের মধ্যে রাজশাহীর দুইজন, নাটোরের তিনজন ও পাবনার একজন রয়েছেন। আর রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর তিনজন, পাবনার দুইজন ও কুষ্টিয়ার একজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেক হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর মেশিনে ৩৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২৭ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবে মোট ৫২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৯১ জনের করোনা পজিটিভ ফল আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
রংপুর বিভাগে আরো ১৮ জনের মৃত্যু
রংপুর অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের সাত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন আরো ১৮ জন। এ নিয়ে এই বিভাগে করোনায় মারা গেলেন ৯৩৬ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬৭৯ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: মোতাহারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রোববার বেলা ১টা পর্যন্ত বিভাগের সাত জেলায় মারা গেছেন ১৮ জন। তাদের মধ্যে রংপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ছয়জন করে, দিনাজপুরে দু’জন এবং পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামে একজন করে মারা গেছেন। তিনি আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ২৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৭৯ জন। এই সময়ে শনাক্তের ৩০ দশমিক ৩১ ভাগ। শুক্রবার এই হার ছিল ২৬ দশমিক ৮৭ ভাগ। আক্রান্তদের মধ্যে রংপুরে ৩৮৭ জনের পরীক্ষায় ১৫৬ জন; পঞ্চগড়ে ২০৪ জনের মধ্যে ৬৩; নীলফামারীতে ৩১৩ জনের মধ্যে ৮০; লালমনিরহাটে ১৩১ জনের মধ্যে ৩৮; কুড়িগ্রামে ২৫৬ জনের মধ্যে ৯০; ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০৭ জনের মধ্যে ১০৭; দিনাজপুরে ৪০৮ জনের মধ্যে ৯৪ এবং গাইবান্ধায় ২৩৪ জনের মধ্যে ৫১ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন।
বগুড়ায় একদিনে ১৬ জনের মৃত্যু : বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় একদিনে সরকারি হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ সাতজন এবং উপসর্গে ৯ জন মারা গেছেন। করোনায় মৃতরা হলেন- বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার রহিমা বেগম, বগুড়া সদরের তৌহিদা খাতুন ও বিউটি বেগম, সোনাতলার জহুরুল ইসলাম। এ ছাড়া অন্য জেলার বাসিন্দা আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, একই সময়ে জেলায় ৫৭৭ নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরো ১৩৭ জন শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এদের মধ্যে সদরের ৮৮, কাহালুতে ১০ জন, শেরপুরে ১২ জন, ধুনটের ছয়জন, শাজাহানপুরে ছয়জন, নন্দীগামে পাঁচজন, আদমদীঘিতে চারজন, সারিয়াকান্দিতে দু’জন, শিবগঞ্জে দু’জন দুপচাঁচিয়া ও গাবতলীতে একজন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলার তিনটি কোভিড হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন ৫৮০ জন।
নীলফামারীতে ১ জনের মৃত্যু, ৪ চীনা নাগরিকসহ শনাক্ত ৮০ : নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে একজনের মৃত্যু ও ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গতকাল নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা: জাহাঙ্গীর কবির জানান, করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি হলেন জেলা শহরের সওদাগড় পাড়ার জসিম উদ্দীন। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১১টি নমুনা পরীক্ষায় চার চীনা নাগরিকসহ ৮০ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় করোনায় আটজনের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে একদিনে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত দু’জন ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ছয়জনের। গতকাল জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫২ জনের শরীরে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৬ জনে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে।
গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষিত ২১৪টি নমুনার ফলাফল প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৫২টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। বাকি ১৬২টি নমুনার ফলাফল নেগেটিভ আসে। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
গাইবান্ধা সংবাদদাতা জানান, গাইবান্ধায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৫১ জন। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ৯, সদরে ১৫, ফুলছড়িতে চার, সুন্দরগঞ্জে পাঁচ, সাঘাটায় দুই, পলাশবাড়ীতে ছয় ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ১০ জন। তবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নানা উপসর্গে সন্দেহজনক ৫১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। জেলায় সর্বমোট শনাক্তের সংখ্যা তিন হাজার ৮৫১ জন। এর মধ্যে ৩৫ জন মারা গেছেন।
কুষ্টিয়ায় করোনায় মৃত্যু ১৮ : কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৩৩টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ ভাগ। শনাক্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরে ৯৬ জন, কুমারখালীতে আটজন, দৌলতপুরে ৩১ জন, ভেড়ামারায় চারজন, মিরপুরে ২৯ জন ও খোকসায় ১৩ জন।
মানিকগঞ্জে শনাক্ত ৫০.৯৩ শতাংশ, মৃত্যু ৪
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, মানিকগঞ্জে ২৪ ঘণ্টা ৪৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫০ দশমিক ৯৩ শতাংশ। একই সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত চারজন মারা গেছেন। গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত এই শনাক্ত ও মৃত্যু হয়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রফিকুন নাহার বন্যা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরে ৮৪ জন, সিঙ্গাইরে ৬০ জন, শিবালয়ের ৪৩ জন, দৌলতপুরের ১৯ জন, হরিরামপুরের ১৫ জন, ঘিওরের ১২ জন এবং সাটুরিয়ার ১২ জন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে আরো ২১ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত রোববার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৫২৮ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইউসিইউতে আছেন ২২ জন। নতুন ভর্তি হয়েছেন ৯৪ জন। করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা: মহিউদ্দিন খান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৯ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ১৬ জন, জামালপুরে দুইজন, টাঙ্গাইলের দুইজন ও গাজীপুরে একজন রয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৮২ জন। তিনি আরো জানান, করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে নতুন ৯৪ জন ভর্তিসহ ৫২৮ জন এবং আইসিউতে ২২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সিভিল সার্জন ডা: নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরো ৩১২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্ত ১৫ হাজার ৫২ জন। সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৩৪৩ জন।
ফেনী হাসপাতালে উপসর্গে মৃত্যু ৫, শনাক্ত ১৫০
ফেনী অফিস জানায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। একদিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো ১৫০ জন। ৫১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। নতুন করে শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৮, ছাগলনাইয়ায় ৩৪, পরশুরামে ৩২, দাগনভূঞায় ১৮, সোনাগাজীতে ৯ ও ফুলগাজীতে ৯ জন রয়েছেন।


আরো সংবাদ



premium cement