১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কান্দাহার বিমানবন্দরে রকেট হামলা : বিমান চলাচল বন্ধ

-

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার শহরের বিমানবন্দরে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। ফলে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। শনিবার রাতে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রধান জানিয়েছেন। তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। সরকারি বাহিনীর কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টায় আফগানিস্তানের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের তিনটি প্রধান শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে তালেবান যোদ্ধাদের তুমুল লড়াই চলার মধ্যে কান্দাহার বিমানবন্দরে হামলার খবর পাওয়া গেল। আলজাজিরা ও রয়টার্স।
কান্দাহার বিমানবন্দর প্রধান মাসুদ পাশতুন বলেন, ‘গত রাতে বিমানবন্দরে তিনটি রকেট আঘাত হানে এবং এর মধ্যে দু’টি রানওয়েতে আঘাত হানে। এর ফলে বিমানবন্দর থেকে সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।’ পাশতুন বলেন, রানওয়ে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। রোববারের মধ্যেই তা শেষ করে আবার বিমান চলাচলের উপযোগী করা যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা কান্দাহার বিমানবন্দরে হামলা চালিয়েছি, কারণ শত্রুরা আমাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাতে এটিকে একটি কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল।’ আফগানিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রকেট হামলায় বিমানবন্দরটির রানওয়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সব ফ্লাইট স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর হয়নি বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্যেই তালেবান দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়া শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে চাপ সৃষ্টি করেছে সংগঠনটি। ইতোমধ্যেই শহরতলির বিভিন্ন স্থান দখল করে নিয়েছে তালেবান যোদ্ধারা। তালেবান যোদ্ধাদের ঠেকাতে আফগান সামরিক বাহিনীকে সহায়তার জন্য কান্দাহার বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে।
তালেবান যোদ্ধারা কান্দাহার, হেরাত ও লস্কর গাহ শহরের অংশে ঢুকে পড়েছে। দুই পক্ষের তুমুল লড়াই চলছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিদেশী সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার ঘোষণা আসার পর তালেবান ক্রমশ গ্রামীণ এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। তবে দেশটির প্রধান শহরগুলোর ভাগ্য নিয়ে ভীষণ উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। উভয়পক্ষ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সরকারি সেনারা কতদিন নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারবে সেটাই বড় প্রশ্ন। স্থানীয়রাও বাড়িঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন। তালেবান যোদ্ধারা ইতোমধ্যে অর্ধেক আফগানিস্তান নিজেদের দখলে নিয়েছে। এর মধ্যে প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান ও ইরানের সাথে ‘বর্ডার ক্রসিং’ রয়েছে। তবে তালেবান অবশ্য দেশের ৯০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে।
কান্দাহারের এমপি গুল আহমাদ কামিন জানান, তালেবানের প্রধান মনোযোগ এখন কান্দাহার দখল। কারণ কান্দাহারকে তারা তাদের অস্থায়ী রাজধানী করতে চায়। যদি কান্দাহারের নিয়ন্ত্রণ পায় তাহলে এই অঞ্চলের আরো পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশের দখলও তালেবানের হাতে চলে যাবে। এদিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত দেশটির অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই-সংঘর্ষ আরো জোরালো হয়েছে। আরো অন্তত পাঁচটি পৃথক স্থানে লড়াইয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেলমান্দের রাজধানী লস্কর গাহ শহরের কেন্দ্র থেকে দুই কিলোমিটারের মধ্যে সরকারির বাহিনীর সেনাদের সাথে তালেবান যোদ্ধাদের লড়াই চলছে।

 

উপজেলার প্রকল্প প্ল্যানেও বিদেশ ট্যুর
কর্মকর্তাদের বিদেশ ট্যুরে খরচ ৩৩.৭৫ লাখ টাকা; ঢাকায় জাতীয় সেমিনারে খরচ ১০ লাখ টাকা
ষ হামিদ সরকার
দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের খরচে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হচ্ছে না। প্রকল্প মানেই বিদেশ ট্যুর। রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের অর্থেই সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছাগুলো পূরণ করছেন। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বিদেশ সফরে সরকারের বিধিনিষেধ আরোপের পরও প্রকল্প প্রস্তাবনা থেকে সেগুলো বাদ দিচ্ছে না উদ্যোগী মন্ত্রণালয়। উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্ল্যান তৈরিতেও বিদেশ সফর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে সেমিনারে খরচ ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা। এই বিদেশ ট্যুরের ব্যাপারে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগ থেকে আপত্তি জানিয়ে এই খাতকে বাদ দেয়ার জন্য বলেছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবনা থেকে জানা গেছে, পিরোজপুরের তিনটি উপজেলা যথাক্রমে নাজিরপুর, পিরোজপুর সদর ও নেছারাবাদ উপজেলার জন্য জলবায়ু স্পর্শকাতর কৌশল উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুতি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন খরচ ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, যা সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়ন। নগর উন্নয়ন অধিদফতর এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো, দেশের উন্নয়নের মূল ধারার সাথে পিরোজপুর জেলাকে সম্পৃক্ত করা। ভূমির রূপান্তরিত ব্যবহারকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে প্রয়োজনীয় গাইডলাইন প্রদান। কৃষিজমিতে অপরিকল্পিত পরিবর্তন থেকে রক্ষা করা। প্রকল্প এলাকার দুর্যোগঝুঁকি প্রশমন করা। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সম্ভাব্য অভিযোজন কৌশল হিসেবে বিভিন্ন পলিসি ও পরিকল্পনা সুপারিশ করা। গ্রোথ সেন্টার উন্নয়নের নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করা এবং সাব- রেজিওনাল প্ল্যান, স্ট্রাকচারাল প্ল্যান, আরবান এরিয়া প্ল্যান, রুরাল এরিয়া প্ল্যান ও অ্যাকশন এরিয়া প্ল্যান তৈরি করার জন্যই এই প্রকল্প।
প্রকল্পের আওতায় কাজগুলো হলো, ফিজিক্যাল ফিচার সার্ভে, আর্থসামাজিক জরিপ, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, পরিবহন জরিপ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর বেজলাইন জরিপ, হাইড্রোজিওলজিক্যাল জরিপ, পিআরএ, সেমিনার ওয়ার্কশপ, ওয়েবসাইট হোস্টিং, ইমেজ প্রসেসিং, থ্রিডি ডিজিটালাইজেশন ও ডাটাবেজ প্রস্তুতি, স্যাটেলাইট ইমেজ ও মৌজা ম্যাপ ক্রয় এবং পরিবহন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা।
প্রকল্পে ব্যয়ের প্রাক্কলন থেকে দেখা যায়, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বৈদেশিক সফরের সংস্থান রাখা হয়েছে ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আর এই খাতকে বাদ দিতে বলেছে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌথ অবকাঠামো বিভাগ।
ঢাকায় জাতীয় সেমিনারের জন্য ১০ লাখ টাকা এবং প্রকল্প এলাকায় তিনটি পরিকল্পনা কর্মশালার জন্য ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ প্রাক্কলন করা হয়েছে। পরামর্শক রাখা হয়েছে তিন ধরনের। তাদের মাঠপর্যায়ে ভ্রমণের জন্য আলাদা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই খাতে খরচ ১০ লাখ টাকা। ১৬৯ জনমাসের বেতন ধরা হয়েছে দুই কোটি ১০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আবার ওয়েব ডিজাইন ও হোস্টিংয়ের জন্য পরামর্শক খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
প্রকল্পটি নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান সারসংক্ষেপে বলছেন, কোভিড-১৯ চলাকালীন এই সময়ে বিদেশ সফর বাদ দেয়া যেতে পারে। গাড়ি ভাড়ার ক্ষেত্রে জ্বালানি ও লুব্রিকেন্টসহ একটি গাড়ি ভাড়ার সংস্থান রাখতে হবে। ভাড়া গাড়ির জন্য পৃথক জ্বালানি ও লুব্রিকেন্টের সংস্থান রাখা সমীচীন নয়। ডিপিপিতে বিভিন্ন অঙ্গের ব্যয় প্রাক্কলন প্রণয়নকারীদের স্বাক্ষর ও নামসহ সিল উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি প্রাক্কলনের ভিত্তিও উল্লেখ করা হয়নি। পরামর্শকদের ব্যাপারে মাসিক সম্মানীর হার উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়। আর স্যাটেলাইট ইমেজ কেনার ক্ষেত্রে সার্ভে অব বাংলাদেশের কাছ থেকে কেনা যায় কি না সেটাও পর্যালোচনা করা দরকার।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল