২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বিধিনিষেধ উপেক্ষা

মাওয়া শিমুলিয়া বাংলাবাজার ফেরি ঘাটে যাত্রীর ঢল

বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ফেরির অপেক্ষায় ঢাকামুখী মানুষ: নয়া দিগন্ত -

কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শুক্রবারেও মাওয়া শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। শিমুলিয়া-বাঙলাবাজার নৌরুটের ফেরিতে শুক্রবারও যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারের চাপ ছিল। আট দিন ধরে চলা বিধিনিষেধের প্রতিদিনই দেখা গেছে বিধিভঙ্গের একই চিত্র।
শুক্রবার সকাল থেকে নৌরুটের সচল ৯টি ফেরিতে বৈরী আবহওয়ার মধ্যেও পারাপার হচ্ছে শত শত যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি। শুধু মাত্র জরুরি ও লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারে ফেরি চালু থাকলেও একেবারে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়ম। ঘাটের অভিমুখে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। বাঙলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আসা ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে।
এ দিকে ফেরিতে যাত্রী চাপ ও জড়োসড়ো অবস্থানে উধাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব। শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট যানবাহনে ভেঙে ভেঙে রওনা হচ্ছে যার যার গন্তব্যে। এতে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই-তিন গুণ বেশি ভাড়া। যাত্রীদের দাবি- জীবিকার জন্য কর্মস্থলে আর নানা রকম প্রয়োজনের তাগিদেই ছুটছেন তারা।
লৌহজং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ঘাটে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, যাত্রীরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। অনেকে অসুস্থ, কেউ বিদেশ যাবে, কেউ টিকা নেবে, কারো পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয়েছে, কেউ সিম কোম্পানির নেটওয়ার্ক বিভাগে কাজ করছে। কিছু লোক বলছে তাদের অফিস থেকে কল আসছে তাই তারা যাচ্ছে। ফেরির বিষয়ে ফেরি কর্তৃপক্ষ দেখছে। যদি কেউ ঘুরতে আসে তাদের জরিমানা করা হচ্ছে, অযৌক্তিক কারনে নদী পারের চেষ্টা করলে তাদের পুশ ব্যাক করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক শাফায়েত আহমেদ জানান, নৌরুটে ছোট-বড় মিলিয়ে ৯টি ফেরি চলাচল করছে। শুধু জরুরি গাড়ি পারাপারেই ফেরি চালু রয়েছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারগামী যাত্রীর সংখ্যা কম। তবে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে আগত প্রতিটি ফেরিতেই উপচে পড়ছে যাত্রীর চাপে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় দেড় শতাধিক যানবাহন রয়েছে এর মধ্যে পণ্য বোঝাই ট্রাকের সংখ্যায় বেশি।


আরো সংবাদ



premium cement