মৃত্যু ২১২, শনাক্ত ১৩৮৬২ জন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ জুলাই ২০২১, ০০:০৫
করোনার ভারতীয় (ডেল্টা) ভ্যারিয়েন্টের নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণ চলছেই। এ ভ্যারিয়েন্টটি এখন বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এমনকি দুই ডোজ করোনা টিকা নেয়ার পর মানুষ এ ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অতি দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এখন নতুন করে তার নাগরিকদের মাস্ক পরে বাইরে বেরোতে উপদেশ দিচ্ছে। বাংলাদেশেও নিয়ন্ত্রণহীন সংক্রমণ চললেও এখনো মানুষকে রাস্তায় চলাচল করার সময় মাস্ক ছাড়াই চলাচল করতে দেখা যায়। লকডাউনের কারণে রাস্তায় চলাচল কম হলেও কাঁচাবাজারে গেলে দেখা অনেক মানুষকে মাস্ক ছাড়াই বাজারে চলে এসেছেন। আবার শুক্রবার জুমার নামাজেও দেখা যায় অনেককে মাস্ক ছাড়াই আসতে। চিকিৎসকরা বলছেন, যত দিন ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় না আনা যাচ্ছে, তত দিন মানুষকে বাইরে বেরোবার সময় মাস্ক পরেই চলাফেরা করতে হবে। মাস্ক টিকার মতো করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে।
করোনায় গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২১২ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৬২ জন। গত বছর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশে ২০ হাজার ৪৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৪০ হাজার ১১৫ জন। এ দিন সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৭৫ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ জন।
ঢাকা মহানগরীতেই প্রতিদিনই মোট মৃত্যু ও সংক্রমণের একটি বিশাল অংশ থাকে। গতকাল যে ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতেই মারা গেছেন ৩৭ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৩৯৭ জন। মোট সংক্রমণের ২৪.৫০ শতাংশই ঢাকা শহরে। ঢাকার বাইরেও প্রতিটি জেলায় মোট করোনা সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিনই।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৫৬৮টি। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৪টি। এখন পর্যন্ত ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৯১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ ও নারী ৯৩ জন। এখন পর্যন্ত পুরুষ ১৩ হাজার ৮৬৯ জন এবং নারী মারা গেছেন ছয় হাজার ৫৯৮ জন। বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায় যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৫৩ জন, রাজশাহীতে ১৩ জন, খুলনায় ৩৬ জন, বরিশালে ১১ জন, সিলেটে ১৭ জন, রংপুরে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে আটজন। ২৪ ঘণ্টায় সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৫৪ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৮ জন, বাসায় ৯ জন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা গেছেন একজন।
রংপুর বিভাগে কমেছে মৃত্যু ও শনাক্তের হার
রংপুর অফিস জানায়, চার দিন পর আবারো রংপুর বিভাগে কমেছে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ছয় জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রংপুরে তিনজন, ঠাকুরগাওয়ে দু’জন, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে একজন করে মারা গেছেন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৯৫৪ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: মোতাহারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনার শুরু থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দুই লাখ ১৬ হাজার ৫৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৩ হাজার ৯৪০ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৯০২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৬৭৬ জন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে আরো ১৮ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১০ জন মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৪৫ জনে। করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা: মহিউদ্দিন খান জানান, মৃতদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ১০ জন, জামালপুরে তিনজন, শেরপুরে দু’জন, নেত্রকোনার একজন ও টাঙ্গাইলের দু’জন রয়েছে। ৬৬ জন নতুন ভর্তিসহ চিকিৎসাধীন রয়েছে ৪৭২ জন। আইসিইউতে আছেন ২২ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহ জেলায় ১৪৪ জন, জামালপুরে ৮২ জন, নেত্রকোনায় ৭৯ জন ও শেরপুরে ৭০ জন মারা গেছে। এ দিকে ময়মনসিংহ জেলায় এক হাজার ৬৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরো ৪৪৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
রামেক হাসপাতালে ১৩ জনের প্রাণহানি
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে সাতজন ও করোনা উপসর্গে ছয়জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন ও নওগাঁর তিনজন ছিলেন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্য দিকে জেলার দুই ল্যাবে মোট ৬৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৮ জনের করোনা পজিটিভ ফল আসে। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চলতি জুলাইয়ের ৩০ দিনে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত মোট ৫২২ জনের মৃত্যু হলো। গত জুনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৪০৫ জন রোগী।
চট্টগ্রামে সংক্রমণ বাড়ছে ভয়ঙ্কর গতিতে
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে করোনা এগিয়ে চলেছে ভয়ঙ্কর গতি নিয়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের সব রেকর্ড ভেঙে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত হয় রেকর্ড এক হাজার ৪৬৬ জনের শরীরে। আগের দিনের ১৭ মৃত্যুর পর চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যান আরো ৯ জন।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের তিন হাজার ৯২৩ নমুনা পরীক্ষায় রেকর্ড এক হাজার ৪৬৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৮৫ জন নগরের এবং ৩৮১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ে মারা গেছেন ৯ জন করোনা রোগী। এর মধ্যে নগরের পাঁচজন ও উপজেলার চারজন। চট্টগ্রামে এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৫৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর।
বগুড়ায় তিন হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনায় ৯ জন এবং উপসর্গে আটজন মারা গেছেন। জেলার তিন হাসপাতালে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়। একই সময়ে জেলায় ৪৯৭ নমুনায় নতুন করে আরো ১৩৯ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফারজানুল হক নির্ঝর শুক্রবার অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৭৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৭৮জন এবং মারা গেছেন ৫৬৩ জন এবং এক হাজার ৭১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বরিশাল বিভাগে এক দিনে শনাক্ত ৭৩৮, মৃত্যু ১৬
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল বিভাগে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে আটজন মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৩৮ জন। শনাক্তের হার ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে আটজন এবং করোনায় আক্রান্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া আটজনের মধ্যে পটুয়াখালীর পাঁচজন, পিরোজপুরে দু’জন ও বরগুনায় একজন রয়েছেন। সব মিলিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬১ জনে। বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৮২২ জনে।
কুষ্টিয়ায় আটজনের মৃত্যু
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ অব্যাহত রয়েছে। আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২১৪ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কমলেও কুষ্টিয়া জেলায় সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫০টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৪৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ১৯৮। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৩৪৪ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৫৮ জন।
সাতক্ষীরায় দুই নারীসহ চারজনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে দুই নারীসহ আরো চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫৩৬ জন। এ দিকে সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ১৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৫ শতাংশ। সাতক্ষীরা সদর হাসপতালের মেডিক্যাল অফিসার ও জেলা করোনাবিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা: জয়ন্ত কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
চুয়াডাঙ্গায় আরো পাঁচজনের প্রাণহানি
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে নতুন করে আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে দু’জন ও উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা যান। গতকাল জেলায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরো ৪৩ জনের শরীরে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৯৯৪ জনে। গতকাল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করে। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জনের। এর মধ্যে জেলায় আক্রান্ত হয়ে জেলার হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে মৃত্যু হয়েছে ১৫৯ জনের। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় আক্রান্ত অন্য ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলার বাইরে।
নোয়াখালীতে স্বামী-স্ত্রীসহ ৩ জনের মৃত্যু
নোয়াখালী অফিস জানায়, জেলার সেনবাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, সেনবাগ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদপুর মৌলভী বাড়িতে করোনার উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার স্ত্রী শাহানাজ বেগমের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পর স্বামী আবদুল মতিনের মৃত্যু হয়েছে। একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্য দিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ করোনার স্যাম্পল দিয়ে আসার ৪ ঘণ্টা পর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মো: আবদুল খালেক (৬৫) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা ডা: নির্ময় পাল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নীলফামারীতে চীনা নাগরিকসহ শনাক্ত ৯৬
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৯৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার নীলফামারী সিভিল সার্জন ডা: জাহাঙ্গীর কবির জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭২ নমুনা পরীক্ষায় ৯৬ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। সংক্রমণে জেলার গড় হার ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। পাশাপাশি সুস্থ হয়েছেন ৫০ জন।
হাতিয়ায় আরেকজনের মৃত্যু
হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় নোয়াখালীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত হয়ে আনোয়ারা বেগম (৮০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড শূন্য চর এলাকার করিমুল মোস্তফার স্ত্রী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মো: নাজিম উদ্দিন জানান, হাতিয়ায় এ পর্যন্ত এক হাজার ৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার মধ্যে ২০৬ জন সুস্থ হয়েছেন।
মারা গেলেন ভূঞাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় ঢাকার শ্যামলী স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি মারা যান। গত ৪ জুলাই চেয়ারম্যান আবদুল হালিম ও তার স্ত্রী বেগম নার্গিস আক্তারসহ তার পুরো পরিবার করোনায় আক্রান্ত হন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে তিনি পরপর দু’বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সোনারগাঁওয়ে ২ শিশুসহ ৩৪ জন আক্রান্ত
সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে দুই শিশুসহ নতুন করে আরো ৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জনের ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪৪ শতাংশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: পলাশ কুমার সাহা এ তথ্য জানান। এ নিয়ে সোনারগাঁওয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৮২ জন। মারা গেছেন ৪৭ জন এবং সুস্থতা লাভ করেন এক হাজার ৫৫২ জন।
ফেনীতে করোনায় মৃত্যু ১০০ ছুঁই ছুঁই
ফেনী অফিস জানায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার নতুন করে করোনায় আক্রান্ত দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ৯৯। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ৬৪১ জন। শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা