২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জুলাইয়ের শেষেও কমছে না মৃত্যু

১ দিনে শনাক্ত ১৫ হাজার ২৭১ : মৃত্যু ২৩৯ জন
-

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এসে জুলাইয়ে বড় ধরনের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। গত ১৪ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেছিলেন, জুলাই মাসটি হবে অত্যন্ত কঠিন। তিনি সে সময়েই বলেছিলেন, জুনে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল, আর জুলাইয়ের ১৪ দিনে আমরা এত রোগী পেয়ে গেছি। এই মাসের আরো ১৬ দিন বাকি আছে। যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া না হয় হয়, দুই সপ্তাহ পর্যন্ত টানা এভাবে চলতে পারে। আর মৃত্যু তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এভাবে চলতে পারে।
অধ্যাপক রোবেদ আমিনের ধারণা অমূলক হয়নি। বরং প্রায় পুরো মাস ধরে কঠোর লকডাউন থাকার পরও এ মাসে বারবার রেকর্ড হয়েছে শনাক্ত ও মৃত্যুতে। ৩১ দিনের জুলাই মাসের একদিন বাকি থাকতেই করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন তিন লাখ ১২ হাজার ৯৯৫ জন আর মোট মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশ পাওয়া গেছে এই মাসে। জুলাইতে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৭৫২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩৯ জন। তাদের নিয়ে সরকারি হিসাবে মোট মারা গেলেন ২০ হাজার ২৫৫ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ২৭১ জন। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৬ জন। তাদের নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হলেন ১০ লাখ ৫০ হাজার ২২০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৩ জন, আর নারী ১১৬ জন। আর বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃতদের মধ্যে ৯১-১০০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ৪৩ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৬৫ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ৫৭ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ২৬ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ১১-২০ বছরের মধ্যে তিনজন এবং শূন্য-১০ বছর বয়সীর মধ্যে রয়েছে একজন। মারা যাওয়া ২৩৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ৭৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৭ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, খুলনা বিভাগের ৪৫ জন, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৪ জন করে, রংপুর বিভাগের ১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন ৯ জন।
রংপুর বিভাগে আরো ১১ জনের মৃত্যু
রংপুর অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ১১ জন। এ নিয়ে এই বিভাগে করোনায় মারা গেলেন ৮৯৩ জন। এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৮ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: মোতাহারুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার বেলা ১টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় মারা গেছে ১১ জন। এদের মধ্যে রংপুর ও দিনাজপুরে ৫ জন করে, কুড়িগ্রামে ২ জন এবং লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও ও গাইবান্ধায় ১ জন করে মারা গেছেন। রংপুর বিভাগের আট জেলায় করোনার শুরু থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪২ হাজার ৯৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮৯৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩২ জন।
ময়মনসিংহ মেডিক্যালে আরো ১৬ জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় তিনজন ও উপসর্গ নিয়ে আরো ১৩ জন মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪২৭ জনে। করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা: মহিউদ্দিন খান জানান, ময়মনসিংহ জেলার ৯ জন, শেরপুরে তিনজন, নেত্রকোনার দুইজন ও টাঙ্গাইলের দুইজন মারা গেছে। এদিকে ময়মনসিংহ জেলায় ১ হাজার ৬৬০ জনের নমুনা পরীক্ষায় আরো ৪৫৮ জনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্ত ১৪ হাজার ৮৫ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৭০৫ জন।
রামেক হাসপাতালে ১৭ জনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাস ও করোনা উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও করোনা উপসর্গে ১২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও আটজন নারী ছিলেন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৭ জনের মধ্যে রাজশাহী জেলার চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের তিনজন, নওগাঁর একজন, বগুড়ার একজন, পাবনার পাঁচজন ও কুষ্টিয়ার দুইজন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীর দুই ল্যাবে মোট ৬১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬০ জনের করোনা পজিটিভ ফল আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বরিশালে একদিনে শনাক্ত ৬৫৬, মৃত্যু ২০
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের ১৬ মাস পর আবারও সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগের কয়েকটি জেলায়। গত বছর এসব জেলায় সংক্রমণের হার নিম্নমুখী থাকলেও চলতি জুলাই মাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারে গত ১৬ মাসের রেকর্ড ভেঙেছে। নতুন করে ‘হটস্পট’ হয়ে ওঠা বিভাগের তিনটি জেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েই চলেছে। গত এক মাসে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু দেখা দিয়েছে বিভাগের বরিশাল, বরগুনা ও ভোলা জেলায়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র মতে, গত ৫ জুলাই বরিশাল জেলায় শনাক্তের হার ছিল শতকরা ২৭%। ক্রমেই তা বেড়ে হয়েছে ৫৩ শতাংশ। ভোলা ও বরগুনায় গত তিন সপ্তাহ আগে থাকা ২১% বেড়ে এখন ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এসব জেলায় চলতি মাসের প্রথম থেকেই সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও বর্তমানে তা বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে ৬৫৬ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। যা নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ৮৪ জনে। একই সময়ে বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ৯ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত তিনজনসহ বিভাগে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় মৃতদের মধ্যে বরিশাল জেলায় দুইজন, পটুয়াখালীতে দুইজন, ভোলার একজন, পিরোজপুরে একজন, বরগুনার দুইজন এবং ঝালকাঠি জেলায় তিনজন রয়েছেন। যা নিয়ে বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: বাসুদেব কুমার দাস।
খুলনায় আবার মৃত্যু বেড়েছে
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনার চার হাসপাতালে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে করোনায় সাতজন, বেসরকারি গাজী হাসপাতালে পাঁচজন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় ৭৬৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয় ১৮০ জনের। শনাক্তের হার ২৩ শতাংশ। এ পরিস্থিতিতে খুলনায় সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এখন তিনটি সরকারি ও দুইটি প্রাইভেট হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য মোট বেড সংখ্যা ৫৬৫টি। আইসিইউ বেড সরকারি দুই হাসপাতালে ৩০টি এবং প্রাইভেট দুই হাসপাতালে ১৯টি। গতকাল সকালে এসব সাধারণ বেডে ৩৪৪ জন রোগী থাকলেও আইসিইউ বেড সবগুলো পূর্ণ ছিল।
খারাপের দিকে যাচ্ছে চট্টগ্রামের পরিস্থিতি
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, জেলার করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি কোন হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই। করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৭ জন। এর মধ্যে আটজন নগরের ও ৯ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা। এ সময়ে তিন হাজার ৫১৫ নমুনা পরীক্ষা করে রেকর্ড এক হাজার ৩১৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫৮ জন নগরের এবং ৪৫৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত মোট ৯৪৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মারা গেছেন। অন্য দিকে এখন পর্যন্ত মোট ৭৯ হাজার ৭৫১ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় এসব তথ্য জানায়।
বগুড়ায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই কমেছে
বগুড়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়ায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু কমে এসেছে। গতকাল জেলায় করোনায় এবং উপসর্গ নিয়ে আরো আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে করোনায় তিনজন এবং উপসর্গে পাঁচজন মারা গেছেন। একই সময় জেলায় ৫০২ নমুনায় নতুন করে আরো ১১২ জন শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ২২ দশমিক ৩১ শতাংশ। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন গতকাল এসব তথ্য জানান। জেলায় এ পর্যন্ত ১৮ হাজার ৬১৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে, ৫৫৪ জন মারা গেছে এবং চিকিৎসাধীন আছে এক হাজার ৮১৪ জন।
পাবনার ১০ জনের মৃত্যু
পাবনা সংবাদদাতা জানান, করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনার ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পজিটিভ হয়ে পাবনার দু’জন এবং উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পাবনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, একই সময়ে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৭৫৬ জন।
কুষ্টিয়ায় ১১ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২২টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৫৪ ভাগ। জেলায় এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৮১ জন। মারা গেছেন ৫৫০ জন।
আমতলী হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু
আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টার ব্যবধানে বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের একজন যুবক অন্যজন বৃদ্ধা। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনায় এক অজ্ঞাত যুবক ও এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন।
হাতিয়ায় করোনায় প্রথম মৃত্যু
হাতিয়া (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, বুধবার রাতে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মো: জাহাঙ্গীর হোসেন (৭০) নামে এক ব্যক্তি। মৃত জাহাঙ্গীর হোসেন হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত মো: হোসেনের ছেলে। হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পারসন ডাক্তার মাহতাব উদ্দিন আহম্মেদ জানান, জাহাঙ্গীর গত মঙ্গলবার তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। গত তিন দিনে তার অক্সিজেন লেভেল ছিল খুবই নিম্নমুখী। তাকে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন (সেন্ট্রাল অক্সিজেন) দেয়ার প্রয়োজন ছিল। আমাদের হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা ছিল না। আমরা রোগীর আত্মীয়দেরকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম।
ঝালকাঠিতে মৃত্যু ২ ও আক্রান্ত ৪৮
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, জেলায় করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় গত বৃহস্পতিবার দুইজনের মৃত্যু ও ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। ঝালকাঠিতে রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলিয়া বেগম (৪৫) ও কাঁঠালিয়া শৌলজালিয়া গ্রামের মোশারেফ হোসেন মামুনের (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৩৯৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছে।
নোয়াখালীতে ২২৮ জন শনাক্ত, মৃত্যু ৭ জনের
নোয়াখালী অফিস জানায়, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় এ ফল পাওয়া যায়। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৩১ জন। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এই নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৫ জনে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: ইফতেখার হোসেন ও নোয়াখালী কোভিড হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা: নিরুপম দাশ।
নেত্রকোনায় শনাক্ত ১০৯, মৃত্যু ৩
নেত্রকোনা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৯ জন শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে সর্বমোট ৩২৯৩ জন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭৯২ জন।
মানিকগঞ্জে সংক্রমণের হার ৫০ শতাংশ
মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মানিকগঞ্জে ৪১০টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০৩ জন। আক্রান্তের হার ৪৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন এবং উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে দুইজন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয় এবং জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরায় বেড়েছে সংক্রমণের হার
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা উপসর্গে নিয়ে পাঁচ নারীসহ আরো ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় ২৮ জুলাই বুধবার পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৪ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৩৩ জন। এ দিকে সাতক্ষীরায় ফের বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ১৯৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ১৫ শতাংশ। সাতক্ষীরা সদর হাসপতালের মেডিক্যাল অফিসার ও জেলা করোনাবিষয়ক তথ্য কর্মকর্তা ডা: জয়ন্ত কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
ফেনীতে ১৩৬ জনের করোনা শনাক্ত
ফেনী অফিস জানায়, ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩৬ জন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৫২১ জন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
পাঁচবিবিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু স্পেশাল অলিম্পিকে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, প্রশংসিত দেওয়ানগঞ্জের রবিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরো ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা থাই-মিয়ানমার সীমান্ত শহরের কাছে আবারো সংঘর্ষ শুরু : থাই সেনাবাহিনী পাঁচবিবিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল চুয়াডাঙ্গায় ১৪০তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো বার্বাডোস সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে : রিজভী কুষ্টিয়ায় অস্ত্রসহ যুবলীগ নেতা আটক পাকিস্তানে একসাথে ৬ শিশুর জন্ম, সবাই সুস্থ ৪০ বছর ধরে মুসল্লিদের ফ্রি চা খাওয়ানো মদিনার সেই বৃদ্ধের ইন্তেকাল

সকল