১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হাসপাতালে সিট নেই : রাস্তায় ঘুরছে করোনা আক্রান্তরা

-

করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ পর্যায়ে হাসপাতালে দেখা দিয়েছে ‘সিট-সঙ্কট’। সাধারণ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা সরকারি হাসপাতাল। খরচের কারণে তারা বেসরকারি হাসপাতালে যেতে চান না। সরকারি ঘোষণায় হাসপাতালে করোনা ইউনিটে এখনো কিছু ‘সিট’ খালি থাকার কথা বললেও বাস্তবে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। আইসিইউ বেড তো এখন সোনার হরিণ। কিছু থাকলেও তা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগরীর ১৬টি সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি ছিল মাত্র ৯টি। এই ৯টি আইসিইউ বেডের মধ্যে মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে চারটি, মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিনটি, জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে একটি এবং মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি। এর বাইরে ১২টি হাসপাতালের কোথাও আইসিইউ বেড খালি ছিল না। গত মঙ্গলবারেও ঢাকা মহানগরীতে ২২টি আইসিইউ খালি ছিল। সারা দেশে এক হাজার ৩১৯টি আইসিইউ বেডের মধ্যে গত মঙ্গলবার ২১৭টি বেড খালি থাকলেও গতকাল বুধবার সারা দেশে আইসিইউ বেড খালি ছিল ১৯১টি। খালি যেগুলো ছিল সেগুলো বেশির ভাগই ঢাকা মহানগরীর বাইরে।
অন্য দিকে আইসিইউ বেড নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবেও গরমিল রয়েছে। গত মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর সারা দেশে মোট এক হাজার ৩১৯টি বেড থাকার কথা বললেও গতকাল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সারা দেশে আইসিইউ বেড রয়েছে এক হাজার ১২১টি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীতে করোনার চিকিৎসার জন্য গতকাল বুধবার সাধারণ বেড ছিল তিন হাজার ৮১২টি। খালি ছিল এক হাজার ৭৮টি। এর আগের দিন গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগরীতে সাধারণ বেড খালি ছিল এক হাজার ৮৭টি।
সাধারণ বেড এত খালি থাকার পরও সাধারণ মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স করে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হচ্ছে। বেড খালি নেই বলে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে। তবে রোগীদের স্বজনরা বলছেন, কিছু বেড খালি আছে। চিকিৎসকরা এর খোঁজ রাখেন না অথবা খোঁজ রাখলে তারা এ ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ থাকেন। এই বেডগুলো নিয়ন্ত্রণ করে একটি সিন্ডিকেট। দালালদের মাধ্যমে এ বেডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে প্রবেশ করলেই কিছু লোক এসে রোগীর স্বজনদের নিজে থেকেই জানায়, ‘হাসপাতালে এভাবে গেলে তো আপনি সিট পাবেন না। আপনাদের রোগীকে দেখে মনে হচ্ছে, রোগীর অবস্থা খারাপ। কিছু খরচ করলে আপনি খুব সহজে সিট পেয়ে যাবেন; কিন্তু এ ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখতে হবে। কিছু আগে দেবেন এবং অবশিষ্ট পরে দেবেন ভর্তি হলে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই কারো সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারবেন না।’ ওই দালালদের অর্থের বিনিময়ে ভর্তির ব্যাপারটি চূড়ান্ত হলে পরে শর্ত দেয়া হয়, ‘কোনোভাবেই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে পারবেন না। আমরা কোনো অভিযোগ শুনতে পেলেই আপনার রোগী বের করে দেবো। বের করতে না পারলে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে যাবে।’ এ ধরনের শর্তে রোগী অথবা রোগীর স্বজনরা বেশ ভড়কে যান। রোগীর সুস্থতার স্বার্থে স্বজনরা আর কারো সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন না। আর যারা অর্থ খরচ করতে পারছেন না, তারা অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
এসব ঘটনা বেশি ঘটে থাকে ঢাকার বাইরে থেকে আসা যেসব রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের বেলায়। বাইরের রোগীরা ঢাকার হাসপাতালের অনেক কিছুই জানেন না। তা ছাড়া কারো সাথে পরিচিত না থাকায় তারা বাধ্য হয়ে দালালদের মাধ্যমেই যোগাযোগ করে রোগী ভর্তি করে থাকেন। দালালদের মাধ্যমে রোগী ভর্তির ব্যাপারটি হাসপাতাল প্রশাসন অনেকসময় জেনেও চুপ থাকেন নানা কারণে।


আরো সংবাদ



premium cement
কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল! অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে সালাম-মজনু গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার মোরেলগঞ্জে সৎভাইকে কুপিয়ে হত্যা দুবাই পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণ কি কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো? এ দেশের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : ডাঃ শফিকুর রহমান

সকল