১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার আশঙ্কাজনক বিস্তার

মৃত্যু ৮৫ : শনাক্তের হার ২০.২৭ শতাংশ রাজধানীতে শনাক্ত ২০৬৪ জন
-

দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধিনিষেধ না মানলে চলমান করোনা পরিস্থিতি আরো আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যেতে পারে। দেশব্যাপী পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকেই বলা হচ্ছে। গতকাল বুধবার নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র জানান, রাজধানী ঢাকার সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়া ঠেকাতেই ঢাকার চারপাশে কঠোর লকডাউনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গতকাল সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৭২৭ জনের এবং একই সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮৫ জনের। গতকাল নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ২০.২৭ শতাংশ। গতকাল সারা দেশে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ হাজার ২৫৬টি। করোনা সংক্রমণ ঢাকা মহানগরীতেই করোনা সংক্রমণ চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সারা দেশের মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৬৪ জন শনাক্ত হয়েছে। ঢাকায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ২৪০টি। নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় এখানে সংক্রমণের হার ছিল ১৫.৫৯ শতাংশ। এত ঘনবসতি এলাকার জন্য ১৫.৫৯ শতাংশ সংক্রমণ হার খুবই আশঙ্কাজনক। সংখ্যার দিক থেকে ঢাকার বাইরে কেবল ফরিদপুরে সংক্রমণ বেশি। ফরিদপুরে গতকাল ৪৭০টি নমুনা পরীক্ষা করে ২১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফরিদপুরে সংক্রমণের হার ৪৫.১১ শতাংশ।
ঢাকার পরে খুলনা বিভাগে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। খুলনা বিভাগে গতকাল দুই হাজার ২৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এবং সেখানে ৯০৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ বিভাগের মধ্যে খুলনা নগরীতে ৭৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩০৫ জন অর্থাৎ শনাক্তের হার ৩৯.৫৬ শতাংশ। যশোরেও শনাক্ত ও সংক্রমণের হার বেশি। গতকাল যশোরে ৩৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং শনাক্ত হয় ১২১ জন। শনাক্তের হার ৩৫.২৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে এক দিনে করোনার শনাক্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ৭ হাজার ৬২৬। চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করোনা শনাক্ত ৬ থেকে সাড়ে সাত হাজারের ঘরে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৪ এপ্রিল থেকে এটি কমতে শুরু করে এবং ১৫ মে তারিখে এক দিনে শনাক্ত নেমে আসে ২৬১ জনে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, আমরা করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় না তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আছি এটা বিষয় নয়, বড়ো বিষয় হলোÑ সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকার চারপাশে লকডাউন দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে এখনো পর্যাপ্ত সংখ্যক করোনা প্রতিরোধী টিকা মজুদ নেই। সরকার টিকা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছে, চুক্তিও করেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে অনেকেই আশ^াস দিচ্ছেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত টিকার চালান আমাদের দেশে এসে না পৌঁছাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বলা যাবে না আমরা টিকা পেয়েছি। হাতে টিকা পেলে টিকার সঙ্কট কাটবে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুই কোম্পানির দুই ডোজ টিকা একজনকে দেয়া যাবে কি না সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। মিক্সড ডোজ টিকার ক্ষেত্রে চারপাশ থেকে আমরা যে তথ্য পাচ্ছি তা আশাব্যঞ্জক।
খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৩২ জনের মৃত্যু
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা বিভাগে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এখন প্রায় প্রতি দিনই মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯০৩ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের জেলাভিত্তিক তথ্যানুযায়ী, খুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৮ জন এবং শনাক্ত হয়েছেন ৩০৫ জনের। বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬০ জনের, মারা গেছেন তিনজন। সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬০ জন এবং মারা গেছেন একজন। যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১২১ জন ও মারা গেছেন একজন। নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১৯ জনের ও মারা গেছেন একজন। ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১৭ জন এবং মারা গেছেন সাতজন। কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ১২২ জন ও মারা গেছেন চারজন। চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৪ জন এবং মারা গেছেন পাঁচজন। মেহেরপুর জেলায় নতুন শনাক্ত ৩৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুইজনের।
রামেক হাসপাতালে আরো ১৬ জনের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাসে ও করোনা উপসর্গে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরো ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, মৃতদের মধ্যে আটজন করোনা পজিটিভ ছিলেন। আর সাতজন ভর্তি ছিলেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। এ ছাড়া করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে আটজন রাজশাহী জেলার। আর তিনজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের, দু’জন নাটোরের, দু’জন নওগাঁর এবং একজন ঝিনাইদহের। এ নিয়ে চলতি মাসের ২৩ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৪৫ জন।
রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। রাজশাহীর সাথে গোটা দেশের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এরপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে প্রতিদিনই গড়ে ১২ থেকে ১৩ জনের মৃত্যু হচ্ছে।
সাতক্ষীরায় তিন নারীসহ ৮ জনের মৃত্যু
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে তিন নারীসহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চারজন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং বাকি চারজন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। করোনা আক্রান্ত মৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নাজিরের ঘের গ্রামের তাহেরের ছেলে জেহাদ (৭০), একই উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে মামুন ইসলাম (৪৫), সদর উপজেলার জাহনাবাজ গ্রামের আফসার আলীর স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন (২১) ও একই উপজেলার আগরদাড়ি গ্রামের মৃত মোনতাজ উদ্দিনের ছেলে মনির উদ্দিন (৫৫)। অন্য দিকে করোনা উপসর্গে মারা গেছেন সাতক্ষীরা শহরের মধ্যকাটিয়া এলাকার মুছা করিমের স্ত্রী গোলজান বিবি (৭৭), সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের আফসার উদ্দিনের ছেলে আনছার উদ্দিন (৭৫), কালিগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী দোলেনা বিবি (৫০) ও তালা উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মৃত আইবুদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৬০)। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৬৬ জন। আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন অন্তত ২৮৭ জন। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক কুদরত-ই-খোদা এসব মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দু’টিই বেড়েছে
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আগের চার দিনের তুলনায় বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ২৩৬ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ২২ শতাংশ। গতকাল বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ৬৩৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় চট্টগ্রামে মারা গেছেন মোট ৬৬৫ জন। গত কয়েক দিন ধরে চট্টগ্রামে হু হু করে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, এখনই সতর্ক হয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে পরিস্থিতি আবার খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বগুড়ায় আরো ৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৬২
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো চারজনের মৃত্যু ও নতুন করে শনাক্ত হয়েছে আরো ৬২ জন। এ নিয়ে গত আট দিনে জেলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৮ জনের মধ্যে বগুড়ার ১২ জন, নওগাঁর ছয়জন, জয়পুরহাটের আটজন এবং গাইবান্ধা ও নাটোর জেলার একজন করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ছাড়া জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮২ নমুনার ফলাফলে নতুন করে ৬২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ১৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বুধবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ১৩ হাজার ৫৪ জন, মোট মৃত্যু ৩৫৭ জন এবং বর্তমানে করোনায় চিকিৎসাধীন আছেন ৪২৪ জন।
ঝিনাইদহে ৮ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১১৭
ঝিনাইদহ সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ১১৭ জন। সিভিল সার্জন ডা: সেলিনা বেগম জানান, বুধবার সকালে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ ল্যাব পরীক্ষা করা ২২৭টি নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে ১১৭ জনের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। আক্রান্তের হার ৫১ দশমিক ৫৪ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল তিন হাজার ৬৩৮ জনে। এ দিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলায় শুরু হওয়া লকডাউনের প্রথম দিনে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে ব্যাপক তৎপর দেখা যায়। লকডাউন কার্যকরে শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট ও অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পাবনার মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই ঈশ্বরদীর
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা জানান, পাবনায় মোট আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই ঈশ্বরদী উপজেলার। গত ২৪ ঘণ্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তারা মারা যান। মৃতরা হলেনÑ পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের সূর্য সরকারের ছেলে আব্দুর রশিদ সরকার (৫০) এবং আরিফপুর মহল্লার আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার (৩৮)। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: আইয়ুব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পাবনার সিভিল সার্জন মনির চৌধুরী জানান, করোনা সংক্রমণ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় এবং বিভিন্ন এলাকায় মানুষের নির্বিঘেœ চলাচলের কারণে পাবনাতেও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে। সবাইকে এ ব্যাপারে সচেতন হওয়ার কথাও বলেন তিনি। জেলার মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর প্রায় এক তৃতীয়াংশই পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের অবাধ চলাচল রয়েছে। ফলে ঈশ্বরদীতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে জেলার সার্বিক করোনা সংক্রমণে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল