১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগানিস্তানে শান্তিচুক্তি না হলে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে : ইমরান খান

-

কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমাধান না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছেড়ে গেলে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশ্বকে সতর্ক করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এইচবিও এক্সিয়াসের সাথে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে মার্কিন সংবাদিক জোনাথন সোয়ানের এক প্রশ্নের জবাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এ সতর্ক করেছেন। সাক্ষাৎকারটি সোমবার প্রকাশ হয়েছে। দ্য নিউজ ও আলজাজিরা।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। বিষয়টি উল্লেখ করে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পাকিস্তানে সিআইএ’র ঘাঁটি স্থাপনের অনুমতি দেয়া হবে না বলে নিজের অবস্থান পুনরাবৃত্তি করেছেন ইমরান খান। তিনি বলেন, এখনো পাকিস্তান ৩০ লাখ আফগান শরণার্থীর ভরণপোষণ দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া আফগান-মার্কিন যুদ্ধে কমপক্ষে ৭০ হাজার পাকিস্তানি প্রাণ দিয়েছে। এই যুদ্ধে আমরা যে কারো থেকে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা শুধু শান্তি চাই, কোনো সঙ্ঘাতে সম্পৃক্ত হতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘মার্কিনিদের আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার আগে অবশ্যই দেশটিতে রাজনৈতিক সমাধান দিয়ে যেতে হবে’। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময় এই মন্তব্য করেছেন যখন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ বাইডেনের : এ দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ২৫ জুন হোয়াইট হাউজে আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ আশরাফ গনি এবং হাই কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল রিকন্সিলিয়েশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে আমন্ত্রণ জানাবেন। দেশটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া অব্যাহত থাকার মধ্যেই তিনি এ আমন্ত্রণ জানাবেন। হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র জেন পিসাকি রোববার এ কথা জানান। এক বিবৃতিতে পিসাকি বলেন, ‘সৈন্য প্রত্যাহার অব্যাহত থাকায় এ সফরকালে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।’
তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আফগান জনগণের পক্ষে সহযোগিতা করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে আফগানিস্তান আর কখনো যাতে নিরাপদ স্বর্গে পরিণত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন কাবুলের সাথে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার প্রেক্ষাপটে তারা এই সফর করতে যাচ্ছেন। গত এপ্রিলে বাইডেন ঘোষণা দেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ২০তম বার্ষিকী পালনের দিন ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। আর এ হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া মার্কিন সামরিক বাহিনী এ মাসের গোড়ার দিকে জানায়, তারা ইতোমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি সৈন্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement