২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলনায় মৃত্যুর রেকর্ড শনাক্ত ৩১ শতাংশ

দেশে আক্রান্ত সামান্য কমলেও মৃত্যু বেড়ে ৮২
-

করোনায় গত এক দিনে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। গতকাল রোববার সকাল ৮টার আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৮২ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৬৪১ জন। সারা দেশে ২২ হাজার ২৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে একই সময়ে শনাক্তের হার ছিল ১৬.৩৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে প্রতি ১০ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ হাজারের সামান্য একটু বেশি। এদিকে সীমান্তবর্তী রাজশাহীর পর বর্তমানে খুলনা বিভাগে মহামারীর ভয়াবহতা চলছে। গতকাল ওই বিভাগে ২৮ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া শনাক্তের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.১০ শতাংশ। এ অবস্থায় গতকাল বিকেলে খুলনায় জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউনে খুলনা জেলা ও মহানগরের মধ্যে বাইরের কোনো বাস ও ট্রেন ঢুকতে পারবে না এবং বেরও হতে পারবে না। এ ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল ও হাটবাজার বন্ধ থাকবে।
গত শনিবার সকাল ৮টার পর থেকে গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে এবং যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের রিপোর্টটিই দেয়া হয়েছে। মূলত শনিবার সারা দিন যারা করোনা পরীক্ষা করাতে এসেছেন তাদের রিপোর্টটাই এখানে দেয়া হয়েছে। সাধারণত সরকারি ছুটির দিন নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ কম থাকে।
করোনায় ঢাকা বিভাগে সবসময় বেশি সংক্রমণের ধারা অব্যাহত আছে। তবে রাজধানী বাদ দিলে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোতে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর মতো সংক্রমণ বর্তমানে তুলনামূলক কম। গতকাল পর্যন্ত রাজধানীতে নতুন আক্রান্ত হয়েছে ৮২২ জন। ঢাকা বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৪৫ জন। রাজধানী ছাড়া ঢাকা বিভাগের ১২ জেলায় গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২২৩ জন। ঢাকা বিভাগে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণ ৯.৫৮ শতাংশ। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ২২৭টি এবং সংক্রমণ শনাক্ত ৮.৫৪ শতাংশ। রাজধানীর বাইরে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক হাজার ২৯৫টি এবং রাজধানীর বাইরের ১২ জেলায় সংক্রমণের হার ১৭.২২ শতাংশ।
অপর দিকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গতকাল সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ২৩ জন। রাজশাহী মহানগরী ও জেলায় মোট আক্রান্ত ৩৭৭ জন। রাজশাহী বিভাগে গতকাল নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে চার হাজার ৫৮৫টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা সংক্রমণ ২২.৩১ শতাংশ। অন্য দিকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় গতকাল পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭৬৩ জন। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দুই হাজার ৪৫৩টি। নমুনা পরীক্ষা সাপেক্ষে খুলনা বিভাগে সংক্রমণের হার ৩১.১০ শতাংশ।
মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৮ জন মানুষ মারা গেছেন খুলনা বিভাগে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে মারা গেছেন মোট ১৩ হাজার ৫৪৮ জন। সর্বশেষ খুলনায় ২৮ জন, ঢাকায় ২১ জন, রাজশাহীতে ১২ জন, চট্টগ্রামে ৯ জন এবং ময়মনসিংহে চারজন মারা গেছেন। এছাড়া সিলেটে দুইজন এবং রংপুর ও বরিশালে একজন করে মারা গেছেন। অন্য দিকে দেশে মোট শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল আট লাখ ৫১ হাজার ৬৬৮ জন।
গতকাল সংবাদ বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক মো: নাজমুল ইসলাম বলেছেন, গত সাত দিনে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ শতাংশে পৌঁছেছে। এর আগের সাত দিনে এ হার ১২ শতাংশ ছিল। তিনি বলেন, কেবল জুন মাসেই ৪৭ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। দেশে করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু দুইয়েরই হার গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, বিশেষ করে সীমান্ত-সংলগ্ন ১৫ জেলায়। জুন মাসের ৪ তারিখের পর থেকে সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংক্রমণ বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশে লকডাউন বা চলাচলে বিধিনিষেধ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা বিভাগে গতকাল করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর আগের দিনের রেকর্ড ভেঙেছে। শনাক্তের সংখ্যাও বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বিভাগে ২৮ জনের মৃত্যুর কথা সরকারিভাবে জানানো হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়া জেলায় সর্বোচ্চ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে ৭৬৩ জনের করোনা পজেটিভ হয়েছে ১৯৪ জন।
গতকাল দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় সাতজন, খুলনায় দুইজন, বাগেরহাটে দুইজন, সাতক্ষীরায় দুইজন, যশোরে চারজন, নড়াইলে একজন, মাগুরায় একজন, চুয়াডাঙ্গায় পাঁচজন এবং ঝিনাইদহে চারজন মারা গেছেন। এর আগে গত শনিবার বিভাগে সর্বোচ্চ ২২ জনের মৃত্যু হয়। আর বৃহস্পতিবার ১৮ জন মারা যান। মাঝখানে গত শুক্রবার আটজনের মৃত্যু হয়েছিল। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, খুলনায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ২২৩ জন। এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮২১ জন। মারা গেছেন ২০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৯২ জন।
বাগেরহাটে নতুন শনাক্ত ৬৮ জন। মোট শনাক্ত দুই হাজার ৫৫০ জন। মারা গেছেন ৬৫ জন। সাতক্ষীরায় নতুন করে শনাক্ত ১৪ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। যশোরে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৭৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত ৯ হাজার ৪৮০ জন। মারা গেছেন ১০৮ জন। নড়াইলে নতুন শনাক্ত ৪৪ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত দুই হাজার ২৭২ জন। মারা গেছেন ৩১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মাগুরায় নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি। জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৩৮৫ জন। এ সময় মারা গেছেন ২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২২০ জন। ঝিনাইদহে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৩৯৬ জন। মারা গেছেন ৬৬ জন। কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬৪ জন। জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৩৩৮ জন। মারা গেছেন ১৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার আটজন। চুয়াডাঙ্গায় আরো শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ জন। জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৯১ জন। মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৩৮ জন। মেহেরপুরে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১৯ জন। জেলায় মোট শনাক্ত এক হাজার ৩৩৩ জন। মারা গেছেন ৩৩ জন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাসে ও উপসর্গে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে একজন করোনা পজিটিভ এবং অপর ৯ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় হাসপাতালের আরো একটি সাধারণ ওয়ার্ডকে কোভিড ওয়ার্ডে রূপান্তর করার কাজ চলছে। করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডটিতে এখন অক্সিজেন সরবরাহ লাইনের কাজ চলছে। গতকাল সকালে রামেক হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ দিকে ভারত সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহীতে গত ১১ জুন থেকে চলছে ‘বিশেষ লকডাউন’। এর পরও রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা কমছে না। একই সাথে করোনা সংক্রমণে বাড়ছে রোগীর সংখ্যাও। রাজশাহীতে প্রতিদিন গড়ে ১০ জনের মৃত্যু হচ্ছে। রামেক হাসপাতালের মৃত্যুর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত শনিবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল রোববার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রাজশাহী জেলার সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দুইজন ও নওগাঁ জেলার একজন রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২০ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২০৩ জন।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে অবশেষে কঠোর বিধিনিষেধ ফর্মুলাতেই যেতে হলো প্রশাসনকে। টাঙ্গাইল সদর ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় আগামী মঙ্গলবার থেকে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করল জেলা প্রশাসন। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক ড. আতাউল গনি সভায় সভাপতিত্ব করেন। জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে টাঙ্গাইল সদর ও এলেঙ্গা পৌর এলাকায় ২২ থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত সাত দিনের সর্বাত্মক কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। এসব এলাকায় কাঁচাবাজার ও ওষুধের দোকান ছাড়া হোটেল, মার্কেটসহ সবই বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবাহী ট্রাক ছাড়া গণপরিবহন, রিকশা, ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ সব যানবাহন বন্ধ থাকবে। এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় টাঙ্গাইলে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো দু’জন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ৯৮ জন। এ ছাড়া ১৫৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরো ৪৭ জনের দেহে শনাক্ত হয় এ ভাইরাস। আক্রান্তের হার ৩০ দশমিক ৭১ ভাগ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে ফের লাফিয়ে বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার। এবার চট্টগ্রামের আটটি ল্যাবে এক দিনেই ২১ শতাংশের বেশি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ারে করোনা শনাক্ত হয় ৫৬ শতাংশের বেশি নমুনায়। এক দিন আগে করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মোট ৬৪২টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৩৬ জনের। এর মধ্যে নগরে ৬৭ জনের ও বিভিন্ন উপজেলায় ৬৯ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামে মোট ৬৫৭ জন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, করোনা সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবার চুয়াডাঙ্গা সদর পৌরসভা ও আলুকদিয়া ইউনিয়ন এলাকায় লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সকাল ৬টা থেকে এ লকডাউন কার্যকর হয়। পরবর্তী সাত দিন পর্যন্ত এ লকডাউন বলবৎ থাকবে। এ সময় সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তবে জরুরি পরিষেবার আওতাধীন পরিবহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। একইসাথে ওই এলাকায় সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চালু থাকবে। লকডাউনের প্রভাবে কর্মহীনদের মধ্যে সরকারিভাবে খাদ্যসহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ (সমাকে) হাসপাতালে এক নারীসহ আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গত শনিবার বেলা দেড়টা থেকে রাত পৌনে ৯টার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তিরা হলেনÑ সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গ গ্রামের মৃত ফকির চাঁদের ছেলে নাজির উদ্দীন (৬৫), দেবাহাট উপজেলার আশকারপুর গ্রামের দাউদ আলীর স্ত্রী সাহিদা খাতুন (৫) ও পাটকেলঘাটা থনার চৌগাচা গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে আবদুল মান্নান (৭৫)। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মোট ২৭১ জন এবং করোনা আক্রান্ত মোট ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ দিকে বৃষ্টির মধ্যে চলছে তৃতীয় দফা লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। লকডাউন ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ হাটবাজারে ভিড় করছেন। স্বাস্থ্যবিধি কিছুতেই মানতে চাচ্ছেন না।
পঞ্চগড় সংবাদদাতা জানান, পঞ্চগড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ছয়জন, তেঁতুলিয়ায় দু’জন এবং দেবীগঞ্জে একজন। ৪৭টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ১৪ শতাংশ। চলতি মাসে এ পর্যন্ত মোট ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা: মো: ফজলুর রহমান রোববার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement