কাবুলে স্কুলে বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৫৮
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১০ মে ২০২১, ০১:১৯
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গত শনিবারের বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ জন। আফগান কর্মকর্তারা এ খবর জানিয়েছেন। গত শনিবার কাবুলের শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দাশতে বারচি মহল্লায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত ১৫০ জন আহত হয়েছেন। আলজাজিরা ও রয়টার্স।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাত্র সাত-আটজন বাদে হতাহতদের সবাই স্কুলছাত্রী, যারা ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছিল। বিস্ফোরণস্থল থেকে রোববারেও উদ্ধার কাজ চালানো হয়েছে। কিছু পরিবার তাদের নিখোঁজ স্বজনের সন্ধানে হাসপাতাল ও মর্গে খোঁজ নিচ্ছে। হামলার জন্য এখনো কোনো গোষ্ঠীই দায়িত্ব স্বীকার করেনি।
এ দিকে হামলার ঘটনায় আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনিকে তালেবানকে দায়ী করে এক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তালেবান তাদের অবৈধ যুদ্ধ ও সহিংসতা বাড়াতে আরেকবার দেখিয়ে দিলো তারা শান্তিপূর্ণ ও ভিত্তিগতভাবে বর্তমান সঙ্কটের সমাধান করতেই শুধু অনাগ্রহী নয়, বরং পরিস্থিতি জটিল করে তুলছে।’ তবে তালেবান এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে এবং এর সাথে তাদের দায়িত্বকে অস্বীকার করেছে।
আলজাজিরার সংবাদদাতা কাবুল থেকে জানান, হামলার পর পুরো কাবুল শহর স্তব্ধ হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টায় স্কুল থেকে ছাত্রীদের ফেরার সময় ওই মহল্লায় পরপর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। আতঙ্কিত ছাত্রীরা এই সময় ছোটাছুটি শুরু করে। হামলার ঘটনায় আফগানিস্তানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশন এক টুইট বার্তায় নিন্দা জানিয়েছে। টুইট বার্তায় হামলার ঘটনাকে ‘জঘন্য সন্ত্রাসমূলক কাজ’ বলে উল্লেখ করা হয়। অপর দিকে আফগানিস্তানে জাতিসঙ্ঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) এক বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় তাদের ‘চরম ঘৃণা’ জানানো হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যহার করার কথা ঘোষণা করার পর থেকে কাবুলে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। আফগান কর্মকর্তারা দাবি করছেন, মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণায় তালেবান সারা দেশে তাদের আক্রমণ জোরদার করেছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার জেরে ওই বছর ৭ অক্টোবর আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন আগ্রাসন চালায়। ২০ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘ আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক নিরপত্তা সহায়ক বাহিনীর অবস্থানের অনুমোদন করলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের অংশীদার ৪৩টি দেশের সৈন্য দেশটিতে অবস্থান নেয়।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ আলোচনার পর কাতারের রাজধানী দোহাতে এক দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তির অধীনে তালেবান সহিংসতা ছেড়ে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণে সম্মত হয়। বিনিময়ে দেশটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব বিদেশী বাহিনীকে এই বছর ১ মে সময়সীমায় প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে গত ১৪ এপ্রিল হোয়াইট হাউজে এক ঘোষণায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নতুন করে এই সময়সীমা ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ান। বাইডেনের ঘোষণা অনুসারে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য ৩৫টি দেশের ৯ হাজার ৫৯২ সৈন্য প্রত্যাহারের কথা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা