১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনার টিকা দেশেই হবে

-

গত বুধবার করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহ ও বিতরণবিষয়ক আন্তঃমন্ত্রালয় সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির সভায় দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য তিনটি ওষুধ কোম্পানির সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরদিনই (বৃহস্পতিবার) টিকাবিষয়ক কোর কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। পরে তাদের প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ৩ মে পরামর্শক কমিটির সভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে সভাপতি করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের পরিচালক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে সদস্য করা হয়। এই কমিটি কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিনের চাহিদা যাচাই, নিরাপদ ও কার্যকর টিকা নির্বাচন, টিকা সংগ্রহ, বিতরণ ও টিকার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করবে। বাংলা ট্রিবিউন।
কোম্পানি তিনটি হচ্ছে, ইনসেপটা, পপুলার ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। তবে টিকাবিষয়ক কোর কমিটির বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বাদ পড়ে যাবে বলে সূত্র জানায়।
দেশে করোনাভাইরাসের জাতীয় টিকাদান কার্যক্রমে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন হলেও আশঙ্কা করছেন না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এই কোম্পানিগুলো টিকা তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাদের সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে কেবল। টিকা উৎপাদনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়নি।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের টিকাবিষয়ক কমিটির এক সূত্র বলেন, দেশে কতগুলো কোম্পানির ভ্যাকসিন তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটা আমাদের জানা আছে। ভ্যাকসিন তৈরির অবকাঠামো ও অভিজ্ঞতা যাদের রয়েছে তাদেরই এ তালিকায় রাখা হয়েছে। টিকা বা ওষুধ তৈরির জন্য যখন কেউ অনুমতি চায়, তখন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে ওই কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়। এটাকে বলা হয় গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি)। এরপর সুনির্দিষ্ট করে ওই পণ্য তৈরির ক্ষমতা কেমন রয়েছে, সেটা যাচাই করে অনুমোদন দেয়া হয়।
কোম্পানিগুলোকে কিসের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হলো জানতে চাইলে ওই সূত্র জানায়, ‘পাঁচটি ইনডিকেটর তথা সূচক রয়েছে, কোম্পানিগুলো কত দ্রুত উৎপাদনে যেতে পারবে, টিকা উৎপাদনের পরিমাণ কত হবে, টিকার মান কেমন হবে, কোম্পানির অভিজ্ঞতা এবং পরিশেষে তাদের জনবল বা অবকাঠামো কতটা আছে।’
তিনি বলেন, ‘এই বিবেচনায় হেলথ কেয়ারের অভিজ্ঞতা নেই। তারা আগে টিকা উৎপাদন করেনি। তাই হয়তো এটি বাদ যেতে পারে। বাকি থাকে ইনসেপটা ও পপুলার। এরপর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ সিদ্ধান্ত নেবে।’
টিকা উৎপাদনের প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইলে ইনসেপটার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, এটা নিয়ে এখনো কথা বলতে পারবো না। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলা হবে।
এ দিকে, গত ১৮ মার্চ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেডের ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।
সেদিন তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ইনসেপটা ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট ইতোমধ্যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্র্যাকটিস (জিএমপি) মান অনুযায়ী ভ্যাকসিন উৎপাদনে বিশ্বমানের সক্ষমতা অর্জন করেছে। সুতরাং আমি মনে করি, অন্য দেশগুলোও ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য এই প্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারে। প্ল্যান্টটি প্রতি বছর ১৮ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষমতা রাখে।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, ‘বাংলাদেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালস ইনসেপটা, পপুলার ও হেলথ কেয়ার ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে। ইনসেপটা ইতোমধ্যে এ নিয়ে কথা বলেছে রাশিয়ার সাথে।’
আমাদের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যাল বর্তমানে ১৪টি ভ্যাকসিন তৈরি করছে। সেগুলো রফতানিও হচ্ছে।’


আরো সংবাদ



premium cement
শিবপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারীর নিহত চকরিয়ায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩ গাজা মানবিক নরকে পরিণত হয়েছে : জাতিসঙ্ঘ প্রধান রাফা হামলার পরিকল্পনা ইসরাইলের ত্যাগ করা উচিত : চীন গাজা যুদ্ধে নতুন যে কৌশল অবলম্বন করল ইসরাইল হাসপাতালের শৌচাগারে মিলল নবজাতক শিশু ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিসিডিপি গঠন করা হবে : পরিবেশমন্ত্রী অননুমোদিত জমি ভরাট কার্যক্রমের সন্ধান পেলে দ্রুত ব্যবস্থার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা ইসরাইলকে পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাতের ব্যাপারে সতর্ক করলো আইআরজিসি

সকল