২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দেশে রোগী সাড়ে ৬৬ হাজার : হাসপাতালে ভর্তি ৪ শতাংশ

সংক্রমণ কমায় চাপ কমেছে
-

এই মুহূর্তে সারা দেশে করোনা রোগী সাড়ে ৬৬ হাজার কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি আছে মাত্র ৪ শতাংশ। করোনার প্রকোপ অনেকটা কমে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি অনেকটা কমে গেছে। সাধারণ শয্যার রোগীরা যে হারে হাসপাতাল ছাড়ছে আইসিইউ শয্যায় ভর্তি হওয়ার রোগীগুলো সে তুলনায় হাসপাতাল ছাড়ার সংখ্যা কম। অন্যান্য বিভাগীয় শহরে আইসিইউ শয্যাগুলো খালি হলেও রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি হওয়ার অনুপাত কম।
মার্চের শুরু থেকে হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে আসছিল। ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়। এটাই ছিল বাংলাদেশে একদিনের করোনা সংক্রমণের সর্বোচ্চ সংখ্যা। গত বছর ২ জুলাই ছিল একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের দিন। সেদিন ৪০১৯ জন আক্রান্ত হয়েছিল। চলতি বছর ৭ মার্চের পর থেকে অবশ্য করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। গত ১৪ এপ্রিল (১ বৈশাখ) সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর দিন দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৫ হাজার ১৮৫ জন। এরপর থেকে ধীরে ধীরে কমে যায় করোনা সংক্রমণ। যেমন ২০ মার্চ একদিনে শনাক্ত হয় ৪ হাজার ৫৫৯ জন, ২৫ এপ্রিল শনাক্ত হয় ২ হাজার ৯২২ জন। ৩০ এপ্রিল সারা দেশে করোনা শনাক্ত হয় ২ হাজার ১৭৭ জন এবং ৫ মে ১ হাজার ৭৪২ জন শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৬৮২ জন। গতকাল করোনা আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৭ জন। চলতি মে মাসের মধ্যে গতকালই করোনায় সবচেয়ে কম মৃত্যুবরণ করল।
অপর দিকে করোনা শনাক্ত কমলেও দৈনিক করোনা নেগেটিভ হয়ে সুস্থ জীবন-যাপন করছে শনাক্তের চেয়ে দ্বিগুণ। যেমন গতকাল শুক্রবার করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ১৭৮ জন। গত বৃহস্পতিবার করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২২ জন কিন্তু করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৬৯৮ জন। গত বুধবার ৫ মে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৪২ জন কিন্তু করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এর দ্বিগুণ ৩ হাজার ৪৩৩ জন। ২৫ এপ্রিলের পর থেকে দৈনিক যত করোনা শনাক্তের চেয়ে করোনা থেকে নেগেটিভ হওয়ার সংখ্যা বেশি হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে নতুন রোগীর চাপ কমে গেছে। এটা লকডাউনের ফল বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
তবে ঈদ সামনে রেখে মানুষের চলাফেরা এবং কেনাকাটার কারণে আগামী ১০ দিনের মধ্যে আবারো করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি গত বৃহস্পতিবার প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের ভার্চুয়াল সভায় এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, সারা দেশে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল শয্যা রয়েছে ১২ হাজার ৪৮টি এবং আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১ হাজার ৭২টি। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীতে ৫ হাজার ৩৪২টি সাধারণ শয্যা রয়েছে করোনা চিকিৎসার জন্য। ঢাকা শহরে ১৫ সরকারি হাসপাতালে সাধারণ শয্যা রয়েছে ৩ হাজার ৪৪৪টি। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে শয্যা খালি ছিল ২ হাজার ৪৯৫টি। বেসরকারি ২৭ হাসপাতালে সাধারণ শয্যা ছিল ১ হাজার ৮৯৮টি। এর মধ্যে খালি শয্যা ছিল ১ হাজার ৫৯৬টি। চট্টগ্রামে সরকারি ৪ হাসপাতালে করোনার জন্য শয্যা ছিল ৪৩২টি এবং খালি ছিল ২৮৬টি। চট্টগ্রামের বেসরকারি ৪ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা রয়েছে ৩২২টি এবং গতকাল খালি ছিল ২০৪টি। এ ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় শহরে করোনা চিকিৎসার সাধারণ শয্যা আছে ৫ হাজার ৯৫২টি এবং গতকাল খালি ছিল ৪ হাজার ৮১৭টি।


আরো সংবাদ



premium cement