১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গণহারে নিয়োগ দিয়ে রাবি ভিসির ক্যাম্পাস ত্যাগ

বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভিসির শেষ কার্যদিবসে নিয়োগ নিয়ে মহানগর ছাত্রলীগের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংঘর্ষ; ইনসেটে ভিসি : নয়া দিগন্ত -

মেয়াদের শেষ দিনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গণহারে নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ছাড়েন তিনি। ক্যাম্পাস ত্যাগের আগে অ্যাডহকে নিয়োগ দেয়া বেশির ভাগই সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের সদস্য বলে জানা গেছে। নিয়োগের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান ২০১৭ সালে ৭ মে ভিসি হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ পান। নিয়োগ যোগ্যতা শিথিল করে মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ, বক্তব্যে জয় হিন্দ বলাসহ নানা বিতর্কিত কাজের জন্য মেয়াদের বেশির সময় ছিলেন আলোচনায়। সর্বশেষ বিদায় দিনের বিতর্কিত অ্যাডহক নিয়োগের ফলে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
‘দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করেছি’ : ক্যাম্পাস ছাড়ার মুহূর্তে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদায়ী ভিসি বলেন, আমি আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছি বলে আমার বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, গবেষণা খাত, সংস্কৃতি চর্চায় যথেষ্ট অবদান রেখেছি। সেটি আপনারা মূল্যায়ন করবেন। কতজন নিয়োগ দিলেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে পরে জানতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উত্তেজনা, প্রশাসন ভবনে তালা : ভিসির বিদায়কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে তার বাসভবনের আশপাশে অবস্থান নেন চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভিসির বাসভবনের পাশে চাকরিপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সকাল ৯টার দিকে ভিসির বাসভবনের পাশে অবস্থান নেন দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা। ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে শোডাউন করে মহানগর ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।
এ দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল প্রশাসন ভবনে তালা লাগানো হয়। সকাল ১০টার দিকে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষকবৃন্দ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকরা প্রশাসন ভবনে আসেন। বিভিন্ন দফতরে কর্মরত কর্মকর্তাদের বের করে দেন তারা। পরবর্তীতে প্রশাসন ভবনের গেটের গার্ডকে তালা দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন।
মহানগর ও রাবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষ : দুপুরে নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিশ্ববিদ্যালয় ও মহানগর শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন পদে নিয়োগের খবর পেয়ে সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও চাকরিপ্রত্যাশীরা অবস্থান নেয়ার সময়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার মামুনুর রশীদ ১২২ জন চাকরিপ্রত্যাশীর নিয়োগ নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে ভিসির বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসার খবর পেয়ে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরে মারধর করেন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ। পরে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করে। ফলে হামলাকারী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান চঞ্চল, হবিবুর হলের সেকশন অফিসার আবদুল্লাহ আল মাসুদসহ আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহত সবার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
রাবির শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী পরিচালক কামরুজ্জামান চঞ্চল জানান, বৃহস্পতিবার রাবি ভিসি আবদুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। তিনি চাকরিপ্রত্যাশী ১২২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রচার হলে মহানগর ছাত্রলীগের চাকরিপ্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। এ সময় তারাও চাকরি দাবি করে। এ নিয়ে সেকশন কর্মকর্তাদের সাথে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা হামলা চালায়। এ সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও লাঞ্ছিত করে।
জানতে চাইলে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি ভিসি অবৈধভাবে ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে মতানৈক্য হওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজ বলেন, ‘রোজার দিন আমাদের কোনো কাজ ছিল না, তাই ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম ঘুরতে। সেখানে গিয়ে দেখি গণ্ডগোল।’ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘ক্যাম্পাসে চাকরিপ্রত্যাশী ও মহানগর ছাত্রলীগের মধ্যে গ্যাঞ্জাম হয়েছে। এর সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান মন্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, আমরা এখন ব্যস্ত। সামগ্রিক বিষয় জেনে ডিসক্লোজ করা হবে।
সার্বিক বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেজিস্ট্রারকে অব্যাহতি : এ দিকে সকাল থেকে ক্যাম্পাসে খবর ছড়িয়ে পড়ে ভিসি অধ্যাপক এম আবদুস সোবহান অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম স্বাক্ষর করতে রাজি না হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় এবং সহকারী রেজিস্ট্রার মামুনকে রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
অব্যাহতির বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, বুধবার সকালে ভিসি মহোদয় আমাকে ফোন করে বলেন, তিনি গাড়ি পাঠাচ্ছেন, আমি যেন আসি। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। কারণ আমার কাছে গাড়ি আছে। তখন আমি খবর নিয়ে জানতে পারি অ্যাডহক নিয়োগের জন্য আমাকে ডাকা হচ্ছে। তখন আমি ফোন অফ করে অন্যত্র চলে যাই। গাড়ি এসে ফিরে যায়। অফিসে না যাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কি না, সেটি অবগত নয় বলে জানান অধ্যাপক আবদুস সালাম।
গণহারে নিয়োগদান : বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পরপরই অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভিসির বাসভবনে গিয়ে কাজে যোগদান করেন। অ্যাডহকে কতজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ এ নিয়ে মুখ খুলছেন না। তবে একটি জানিয়েছে বিদায়ের আগ মুহূর্তে ভিসি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে অ্যাডহক ভিত্তিকে ১৪১ চাকরিপ্রত্যাশীকে নিয়োগ দিয়ে গেছেন। এর মধ্যে ৮৫ জন উচ্চমান সহকারী, ৯ জন শিক্ষক ও তৃতীয় শ্রেণীসহ ৪৭ জন কর্মচারী রয়েছে।
ভিসি স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭২ এর ১২ (৫) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অস্থায়ী ভিত্তিতে (অ্যাডহক) ছয় মাসের নিয়োগ দেয়া হলো। অবিলম্বে এ নিয়োগ কার্যকর করা হোক। তবে ইস্যুকৃত নিয়োগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষর করেননি। তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে।
নিয়োগের বিষয়ে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকা অবৈধ নিয়োগসংক্রান্ত কোনো বিষয়ের সাথে আমার সম্পর্ক নেই। নিয়োগ হয়েছে কি না তাও আমার জানা নেই। কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সাথে থাকব না বলেই অজ্ঞাতবাসে আছি।’ চাকরি পাওয়া ব্যক্তিদের নিয়োগপত্রে তারিখ ৫ মে উল্লেখ করা হয়েছে। নিয়োগপত্রে ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইউসুফ আলীর স্বাক্ষর রয়েছে বলেও জানা গেছে।
অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন : ২০১৭ সালের ৫ মে দ্বিতীয়বারের মতো চার বছরের জন্য ভিসি পদে নিয়োগ পান প্রফেসর আবদুস সোবহান। ভিসি পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। নিয়োগবাণিজ্য, নিজ মেয়ে-জামাতাকে নিয়োগ, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতিতে জড়ান ভিসি এম আবদুস সোবহান। সেই অভিযোগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের একাংশ আন্দোলন শুরু করে; যা ইউজিসি, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত গড়ায়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি প্রশাসনের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্তসহ ৩০০ পৃষ্ঠার একটি অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুদক ও ইউজিসিসহ চার দফতরে জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের একাংশ।
পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তদন্ত শেষে ৭৩৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয় ইউজিসি গঠিত তদন্ত কমিটি। গত বছরের ২০ অক্টোবর দেয়া ওই প্রতিবেদনে ভিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২৫টি অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এর মধ্যে ভিসি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরকে (রাষ্ট্রপতি) অসত্য তথ্য দেয়া, শিক্ষক নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও আর্থিক লেনদেন, নিয়োগ নীতিমালা শিথিল করে নিজের মেয়ে ও জামাতাকে নিয়োগ, বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ৩৪ জন অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রমাণ মেলে ইউজিসি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে। এসব কেন্দ্র করে গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নিলীমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রাবিতে সব ধরনের নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ ছাড়া ভিসি ডুপ্লেক্স বাড়ি ১৮ মাস ধরে দখলে রাখার অভিযোগে পাঁচ লাখ ৬১ হাজার ৬০০ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে দিতে নির্দেশ দেয় ইউজিসি।
দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের বক্তব্য : ভিসির বিদায়বেলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অ্যাডহক নিয়োগের আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিলেন রাবির দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এ নিয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হয়েছে। পাশাপাশি সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের মুখপাত্র অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম টিপু বলেন, এ নিয়োগের ফলে পরবর্তীতে যে প্রশাসন আসবে তাকে এর মাশুল দিতে হবে। ইউজিসি যদি অ্যাডহকের বেতন দিতে অস্বীকৃতি জানায় তখন ক্যাম্পাসে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হবে।
ভিসির শেষ দিনের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ভিসি এম আবদুস সোবহান তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, এই অবৈধ জনবল নিয়োগের বৈধতার সুযোগ নেই। এ জন্য এই অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটির সদস্যরা হলেন- ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মো: আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো: জাকির হোসেন আখন্দ এবং সদস্যসচিব ইউজিসির পরিচালক (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়) মোহাম্মদ জামিনুর রহমান। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটি অবৈধ নিয়োগ ও অনিয়মের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে সুপারিশ করবে।
কমিটি গঠনের আদেশে বলা হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী ভিসি আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে ইতোমধ্যে ইউজিসি তদন্ত করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ কার্যক্রমসহ আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিতও হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে ভিসিকে অনুরোধ করেছিল; কিন্তু তা উপেক্ষা করে ভিসি তার মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে বিভিন্ন পদে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূতভাবে জনবল নিয়োগ করেছেন বলে মন্ত্রণালয় জানতে পেরেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ফরিদপুরের গণপিটুনিতে নিহত ২ নির্মাণশ্রমিক জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সদস্যপদ লাভের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো তীব্র তাপপ্রবাহে বাড়ছে ডায়রিয়া হিটস্ট্রোক মাছ-ডাল-ভাতের অভাব নেই, মানুষের চাহিদা এখন মাংস : প্রধানমন্ত্রী মৌসুমের শুরুতেই আলু নিয়ে হুলস্থূল মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে মূল্যস্ফীতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এত শক্তি প্রয়োগের বিষয়টি বুঝতে পারেনি ইসরাইল রাখাইনে তুমুল যুদ্ধ : মর্টার শেলে প্রকম্পিত সীমান্ত বিএনপির কৌশল বুঝতে চায় ব্রিটেন ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট আজ নিষেধাজ্ঞার কারণে মিয়ানমারের সাথে সম্পৃক্ততায় ঝুঁকি রয়েছে : সেনাপ্রধান

সকল