২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫
`

অক্সিজেন দিতে হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

-

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতেই আছেন তিনি। অক্সিজেনও দেয়া হচ্ছে তাকে।
গতকাল মঙ্গলবার বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ বলেন, ‘ম্যাডামের অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ। উনার (খালেদা জিয়া) পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব রিপোর্ট নিয়ে ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড বসছেন। এসব পর্যালোচনা করে সব কিছু জানানো যাবে। তবে এ খবর লেখা পর্যন্ত মেডিক্যাল টিম ও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
গত সোমবার সকালের দিকে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে বিকেলে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
গত ২৭ এপ্রিল গুলশানের ওই হাসপাতালে ভর্তির পর দিনই তার জন্য ১০ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়।
এ দিকে দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবার দেশের বাইরে নিতে চায়। এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন বলেও জানায় সূত্রটি। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে এ বিষয়ে এখনো কিছু গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
তবে এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। বিদেশ যেতে হলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া যে সাজা ভোগ করছিলেন পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা স্থগিত রেখে বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার সুবিধা করে দিয়েছেন। আমরা যতটুক জানি তিনি এখন রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন এ পর্যন্ত আমাদের জানা।’
এ দিকে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিদেশে গিয়ে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তবে তার বিরুদ্ধে মামলার কারণেই তাকে আদালতে আসতে হতে পারে। তিনি আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিদেশ যাবার ব্যাপারে সরকার বিবেচনা করবেন। আইন অনুযায়ী যদি প্রয়োজন হয় তবে আদালতে আসবে সরকার। কারণ এটা সরকারের আদেশ। বাতিল করতে হলে সরকারকে করতে হবে।’
প্রসঙ্গত গত ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের নমুনা জমা দেয়া হলে ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার পজিটিভ আসে। এরপর ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় নমুনা জমা দেয়ার পর আবারও ফল পজিটিভ আসে। পরে গত মঙ্গলবার রাতে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে ভর্তি করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement