১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মৃত্যুতে রেকর্ড ১০২

১০০ ছাড়াল টানা ৩ দিন : আক্রান্তরা দ্রুত মারা যাচ্ছে
-

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে গতকাল। এ নিয়ে টানা তিন দিন শতাধিক করে মানুষের মৃত্যু হলো করোনা সংক্রমণে। সরকারি হিসাবে এ নিয়ে করোনায় ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হলো। এর আগে শনি ও শুক্রবার ১০১ জন করে মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এ দিকে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা আগের তুলনায় দ্রুত মারা যাচ্ছে। একইসাথে করোনা মহামারীর প্রভাব পড়েছে মানসিক স্বাস্থ্যেও।
গত ৩১ মার্চ ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু কখনোই ৫০ এর নিচে নামেনি। গত ২৪ ঘণ্টায় আরো তিন হাজার ৬৯৮ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর জানানো হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জনে দাঁড়াল।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ছয় হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে আসছিল। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। কিন্তু এরপর করোনা টেস্ট কমে যাওয়ায় শনাক্তও কমে আসে। করোনা শনাক্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ছয় হাজার ১২১ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১৪ হাজার ৯৩৬ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা ছয় লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৯ মার্চ। এর ঠিক ১৬ দিন পর ১৪ এপ্রিল সাত লাখ ছাড়ায় মোট শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বছর ৩১ মার্চ তা ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরো এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হলো।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৮তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৫৭টি ল্যাবে ১৯ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫১ লাখ ৭০ হাজার ৬৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪১০টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৬৫৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ আর নারী ৪৩ জন। তাদের ৯৭ জন হাসপাতালে এবং পাঁচজন বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৬৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং দুইজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ৬৮ জন ঢাকা বিভাগের, ২২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, তিনজন রাজশাহী বিভাগের, একজন খুলনা বিভাগের এবং চারজন করে বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মধ্যে সাত হাজার ৬৯৪ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৬৯১ জন নারী।
গত জুন থেকে আগস্টÑ এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নি¤œমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৯ মার্চ বেশ কিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। এর মধ্যে ঘরের বাইরে গেলে মাস্কের ব্যবহার অন্যতম। কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
করোনা আক্রান্তরা আগের চেয়ে দ্রুত মারা যাচ্ছে : করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা আগের তুলনায় দ্রুত মারা যাচ্ছে। একইসাথে করোনা মহামারীর প্রভাব পড়েছে মানসিক স্বাস্থ্যেও। রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় আরো বলা হয়েছে, গত বছরের চেয়ে এবার আক্রান্ত ও মৃত্যু হার অনেক বেশি। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন এদের ৫২ শতাংশকেই উপসর্গ শুরুর পাঁচ দিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। ২৬ শতাংশ ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এবং ১২ শতাংশ উপসর্গ শুরুর ১১ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তারা বলেছেন, এখন রোগের তীব্রতাও বেশি। প্রতিবেদনটি গত শনিবার প্রকাশিত হয়েছে।
আইইডিসিআর বলেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে মারা গেছেন ৪৮ শতাংশ এবং পাঁচ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মারা গেছেন ১৬ শতাংশ রোগী। আইইডিসিআর বলছে, আগের চেয়ে বর্তমানে করোনা রোগের তীব্রতাও বেশি হয়েছে।
আইইডিসিআর বলেছে, গত মার্চে দেশব্যাপী করোনায় মারা গেছে, ৬৩৮ জন এবং চলতি মাসের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯৪১ জন। এপ্রিলের ১৫ দিনে মৃত্যু সংখ্যা বেড়েছে ৩২.২ শতাংশ। এতে বলা হয়েছে এপ্রিলের ১৫ তারিখের মধ্যে আগের বছরের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি মৃত্যু হচ্ছে।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের সাথে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কেউ মারা যাননি, মার্চে মারা গেছেন পাঁচজন আর এপ্রিলে মারা যান ১৬৩ জন। সেখানে চলতি বছরের এই তিন মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে ২৮১, ফেব্রুয়ারিতে ৬৩৮ এবং এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছে ৯৪১ জন।
এ বছরের ২৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তথ্য পর্যালোচনা করে আইইডিসিআর জানিয়েছে, এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ৪৪ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, ৩৩ শতাংশ রোগী প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন, ১৭ শতাংশ রোগী বাড়িতে এবং ৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত অন্যান্য উপায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে গত একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া পাঁচজন চট্টগ্রাম নগরীর এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা। একই সময়ের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ২৫২ জন। চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতির ব্যাপারে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল সকালে গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ৯৫৮ নমুনা পরীক্ষা করে ২৫২ জনের কোভিড পজেটিভ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের ২২৫ জন। আর অন্যান্য উপজেলার ২৭ জন।
এ দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দী এক হাজতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান। সাড়ে ৭ হাজার বন্দী থাকা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে করোনায় হাজতির মৃত্যুর খবরে বন্দীদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মারা যাওয়া কারাবন্দীর নাম আব্দুর রহমান শুক্কুর। তিনি ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার শাহবাজপুর গ্রামের আব্দুর রহমান দুলালের ছেলে। চট্টগ্রাম নগরের বন্দর থানার একটি মাদক মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠান আদালত।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতের বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) একজনের আর বাকি দু’জনের করোনা ওয়ার্ড ২৯ ও ৩০-এ মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: সাইফুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আইসিইউতে মারা যাওয়া ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর করোনা পরীক্ষার আগেই ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে দু’জন মারা গেছেন। মৃত্যুর পর এই দু’জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো তিনজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন, শহরের শোভারামপুর মহল্লার সানোয়ার ব্যাপারী (৮৫), বায়তুল আমানের মোসলেমউদ্দিন (৭৫) ও বোয়ালমারী উপজেলার সেকেলা বেগম (৬০)। ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত জেলায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৬০১ জন। সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৩৭ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় ১৪৪ জনের মৃত্যু রেকর্ড করল স্বাস্থ্য বিভাগ।
গাজীপুর মহানগর সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজীপুরে ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হয়েছে ৫১ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে আরো তিনজনের। এ পর্যন্ত গাজীপুরে শনাক্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৩৩১ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬৫ জনের। গতকাল সিভিল সার্জন মো: খায়রুজ্জামান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘সর্বাধিক কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে সদরে (মহানগর) ৬ হাজার ১৪৯ জন। এ ছাড়াও কালিয়াকৈরে ৯৩০, শ্রীপুরে ৮৯০ জন, কালীগঞ্জে ৭৩৯ জন এবং কাপাসিয়ায় ৬২৩ জন।’
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়া জেলায় করোনা সংক্রমণ রেকর্ড গড়েছে। বিগত এক বছরেও এত সংখ্যক করোনা শনাক্ত হয়নি। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ৩৮দশমিক ৮১ ভাগ।
এ দিকে করোনা চিকিৎসায় চালু করা সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে বেড থাকলেও কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে গুরুতর অসুস্থরা ভর্তি হতে পারছেন না। আবার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে বেড নেই। একমাত্র বেসরকারি টিএমএসএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেড থাকলেও সেখানে বিপুল ব্যয়ের কারণে সাধারণ রোগী ভর্তি হতে পারে না।


আরো সংবাদ



premium cement