২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

চেকপোস্টে পিজির চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগ

ডাক্তার-পুলিশের বাগি¦তণ্ডা
-

করোনার বিস্তার রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিনে পুলিশ চেকপোস্টে পরিচয়পত্র দেখা নিয়ে এক নারী চিকিৎসককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ওই নারী চিকিৎসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সহযোগী অধ্যাপক ডা: শান্তা শওকত জেরিন।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরিচয়পত্র চাওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্য ও ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে বাগি¦তণ্ডায় জড়িয়েছেন ওই নারী চিকিৎসক। বাগি¦তণ্ডার সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে পুলিশ চেকপোস্টে ওই নারী চিকিৎসকের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চায় পুলিশ। এতে উত্তেজিত হয়ে উঠেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের কয়েকজন বলছেন আপনার আইডি কার্ডটা চাচ্ছি। তখন ওই নারী চিকিৎসক বলেন, আমি আইডি কার্ড নিয়ে আসি নাই।
এ সময় সাদা পোশাকে ইন করা একজন বলেন, আপনি আইডি কার্ড নিয়ে আসেননি, এমনভাবে কথা বলছেন ক্যান? আপনার মুভমেন্ট পাস দেখান। তখন নারী চিকিৎসক তার গাড়ির লাগানো বিএসএমএমইউর স্টিকার দেখান এবং বলেন, এই দেখেন। তখন ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি তো ওটা দেখতে চাইনি। আমি আপনার মুভমেন্ট পাস চাইছি। এ সময় ওই নারী চিকিৎসক প্রশ্ন রেখে বলেন, ডাক্তারের মুভমেন্ট পাস! হাউ টু! ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী পুলিশকে বলেছেন, ‘করোনায় জীবন গেছে কয়জন ডাক্তারের, আর আপনারা কতজন মরছেন। আমার কাছে আবার চান মুভমেন্ট পাস।’
তখন ওই কর্মকর্তা ওই নারী চিকিৎসককে ধমক দিয়ে বলছেন, আপনি আমায় ধমক দিচ্ছেন কেন। আপনার আইডি কার্ড দেখান। নারী চিকিৎসক বলেন, একশ’বার ধমক দেবো। আমি বীর বিক্রমের মেয়ে। ওই কর্মকর্তা বলেন, আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা। আমরা কি এমনে এমনে ভেসে আসছি নাকি।
নারী চিকিৎসক বলেন, ডাক্তার হয়রানি বন্ধ করতে হবে। আমি শান্তা শওকত জেরিন। শওকত আলী বীর বিক্রমের মেয়ে। আমি ডাক্তার, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, একজন সেক্রেটারি। ওনাকে সরি বলতে বলেন। না হয় এখনই বিএসএমএমইউ থেকে ১০০ ডাক্তার চলে আসবে আন্দোলন করতে। আমি সেক্রেটারি, সেক্রেটারি কি আইডি কার্ড নিয়ে ঘোরে। আমি নাকি ভুয়া, আমার গাড়ি নাকি ভুয়া। উনাকে সরি বলতে হবে তারপর আমি যাবো। ডাক্তার বড় না পুলিশ বড়। ডাক্তারদের এত হয়রানি করছে যে সব ডাক্তারই অতিষ্ঠ।
‘আমি বিএসএমএমইউ প্রফেসর, বীর বিক্রমের মেয়ে। আমাকে আপনারা হয়রানি করতে পারেন না।’ পরে পুলিশের আরেক সদস্য বলেন, ‘আপা আপনাকে তো হয়রানি করা হচ্ছে না। আপনার কাছে পরিচয়পত্র চাওয়া হচ্ছে।’
এর পরে নিজ গাড়িতে ওঠে যান ওই নারী চিকিৎসক। তখন পুলিশের এক সদস্য ওই নারীকে বারবার বলেন, ‘আপনি আমাকে তুই তুই করে বলছেন কেন?’ একপর্যায়ে পুলিশকে তিনি হয়রানি করলে আন্দোলনের হুমকি দেন। পুলিশ জবাবে বলেছে, ‘আমাদের আন্দোলনের ভয় দেখাচ্ছেন।’
‘আর আমি কে, সেটি এখন তোদের দেখাচ্ছি হারামজাদা।’ এই কথা বলে এক ‘মন্ত্রীকে’ ফোন করেন তিনি। ফোনে তাকে হয়রানি করার কথা বলেই পুলিশ সদস্যের হাতে তার ফোন তুলে দেন কথা বলার জন্য। তারপরও পুলিশকে পরিচয়পত্র দেখাননি তিনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ক্রিমিয়া সাগরে বিধ্বস্ত হলো রুশ সামরিক বিমান জর্ডান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী বিচারক এবারের আইপিএলে কমলা ও বেগুনি টুপির লড়াইয়ে কারা সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সন্ত্রাসনির্ভর হয়ে গেছে : রিজভী রাশিয়ার ৯৯টি ক্ষেপণাস্ত্রের ৮৪টি ভূপাতিত করেছে ইউক্রেন আওয়ামী লীগকে ‘ভারতীয় পণ্য’ বললেন গয়েশ্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে দাগনভুঞার যুবক নিহত কাশ্মিরে ট্যাক্সি খাদে পড়ে নিহত ১০ অবশেষে অধিনায়কের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছল পাকিস্তান

সকল