২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাংলাদেশে বেশি সংক্রামক দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন

এক দিনে ৭৪ মৃত্যুর রেকর্ড : টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু
-

যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলÑ এ তিনটি দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের তিনটি ধরন (ভ্যারিয়েন্ট) সবচেয়ে বেশি সংক্রামক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ববাসীকে বেশি ভোগাচ্ছে এই তিন ধরন। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটিই হঠাৎ করে বাংলাদেশে বেশি ছড়াচ্ছে। অতি সংক্রামক এই ধরনটিই মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি), সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ গবেষণায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
এ দিকে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল এক দিনে ৭৪ জনের মৃত্যুর হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যায় দেশে এটি রেকর্ড। এ ছাড়া দেশে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু করেছে সরকার।
গত বুধবার আইসিডিডিআর,বির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা গবেষণার হালনাগাদ ফলে বলা হয়েছে, ঢাকায় সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা ধরনের প্রভাব বেশি পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় করোনাভাইরাসের সব ধরনের তুলনায় প্রাধান্য বিস্তার করছে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি।
এতে বলা হয়, গত ১৮ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ৫৭ জন করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন শনাক্ত হয়েছে, যা গবেষণায় মোট শনাক্তের ৮১ শতাংশ। সাতজনের শরীরে শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য থেকে ছড়ানো করোনার ধরন। বাকি চারজনের শরীরে করোনার অন্য ধরন শনাক্ত হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে (১২ থেকে ১৭ মার্চ) ৯৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিশ্লেষণ করে ৬৪ জনের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন শনাক্ত হয়েছিল। ওই সময় যুক্তরাজ্যের ধরন শনাক্ত হয়েছিল ১২ জনের শরীরে। বাকিদের করোনার অন্য ধরন শনাক্ত হয়।
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রথম দেশে যুক্তরাজ্যের করোনা ধরন শনাক্ত করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিআইএসএইড) তথ্য অনুযায়ী, দেশে ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকেই এ ধরন ছড়িয়েছে। আইসিডিডিআর,বির গবেষকরা জানান, মার্চের প্রথম সপ্তাহে ১৩ জেলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনা সিকোয়েন্সিং করা হয়। এ সময়ে কোনো দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন দেখা যায়নি। এরপর থেকেই মূলত দক্ষিণ আফ্রিকান দরনের উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি করোনার দক্ষিণ আফ্রিকার ধরনটি দেশে প্রথম শনাক্ত হয় বলে জানায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি। তাদের গবেষকরা জানান, ঢাকার বনানীর ৫৮ বছর বয়সী এক নারীর শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় করোনার এই ধরনের উপস্থিতি মেলে। জিনোমিক রিসার্চ ল্যাবরেটরি জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার এই ধরন ‘এন৫০১ওয়াই’ নামের একটি মিউটেশন (রূপান্তর) বহন করে, যা এটিকে আরো সংক্রমণ বা ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। এ ভাইরাসের আরেকটি মিউটেশন ‘ই৪৮৪কে’ আরো ভয়াবহ। এটি মানুষের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে ধোঁকা দিয়ে টিকার কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফলে করোনার এ ধরন যত ছড়িয়ে পড়বে, ততই সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। এ দিকে দেশে করোনাভাইরাসের পরিবর্তন ও গতিপ্রকৃতি নজরদারির জন্য চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিএইচআরএফ) এখন পর্যন্ত ভাইরাসের ১৮৫টি নমুনার জিনোম বিশ্লেষণ করেছে। একই সাথে নেক্সটস্ট্রেইন ওয়েবসাইটে বাংলাদেশভিত্তিক একটি উন্মুক্ত নজরদারি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে। এই প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশে সিকুয়েন্স করা প্রায় সব করোনাভাইরাস অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
তবে সংস্থাটি বলছে, গত তিন মাসে বাংলাদেশ থেকে নগণ্যসংখ্যক নমুনা করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের উন্মুক্ত তথ্যভাণ্ডার জিএসএআইডি ডেটাবেইসে জমা হয়েছে, এটা উদ্বেগজনক। করোনার জিনোম বিশ্লেষণ কমে গেলে দেশে এটির গতিপ্রকৃতি নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যেতে পারে। এতে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নীতিনির্ধারকদের জন্য জনস্বাস্থ্যবিষয়ক পদক্ষেপ নেয়া কঠিন হতে পারে।
গবেষকরা জানান, নতুন নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিভাবে বাড়ানো যায়, সেটি নিয়ে কাজ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা আশ্বস্ত করে বলছেন, নতুন ধরন নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বরং সবাইকে বেশি বেশি স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে হবে। নতুন যে ধরনই আসুক, তার বিরুদ্ধে বাঁচার উপায় একটাইÑ মাস্ক পরতে হবে, হাত ধোয়ার অভ্যাস চালু রাখতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
করোনায় এক দিনে ৭৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড : এ দিকে দেশে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৭৪ জন। দেশে করোনা হানা দেয়ার পর এটিই এ পর্যন্ত এক দিনে দেশে সর্বোচ্চ মৃতের সংখ্যা। এর আগে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল ৬৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৮৫৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৬৬ হাজার ১৩২ এবং মারা গেছেন ৯ হাজার ৫২১ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৩৯১ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৩০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং মৃত্যু হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৮ জন পুরুষ এবং নারী ২৬ জন। দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত সাত হাজার ১৩০ জন পুরুষ এবং দুই হাজার ৩৯১ জন নারী মারা গেছেন।
বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব বয়সী ৪৬ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ২১-৩০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
অন্য দিকে বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই মারা গেছেন ৪৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে সাতজন, বরিশাল বিভাগে চারজন এবং সিলেট বিভাগে রয়েছেন দুইজন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে মারা গেছেন ৭০ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন চারজন।
দেশে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু : এ দিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। প্রথম ডোজ দেয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার কর্মসূচি শুরু হয়। সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল, তারা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসেন। একই সাথে যারা টিকা নেননি তাদেরকে প্রথম ডোজ দেয়ার কার্যক্রমও অব্যাহত ছিল। গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সুলতানা কামালসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান-নিটোরেও সকাল থেকে টিকাদান শুরু হয়েছে। সেখানে টিকা নিতে আসা মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে সকাল থেকেই আগ্রহীদের ভিড় দেখা গেছে। টিকা নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মেহেদী হাসান জানান, প্রথমবার একটু ব্যথা পেয়েছিলাম। এবার কোনো ব্যথা নেই। তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি গণটিকাদান শুরুর পর গত বুধবার পর্যন্ত ৫৫ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৩ জন টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। তাদেরই দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ টিকার জন্য এসএমএস পাঠানো শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকেই। এসএমএসে দেয়া তারিখ অনুযায়ী আগের টিকাদান কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে হবে। উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত এই টিকার দু’টি ডোজ দুই মাসের ব্যবধানে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশে।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। গত এক দিনে জেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে দুই হাজার ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরীর ৩৯০ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৮৩ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, এইদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামে আটটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৪৩ হাজার ১৮৮ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪০৬ জন।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাতের বিভিন্ন সময়ে তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে আইসিইউতে একজন এবং ২৯ ও ৩০ নম্বর করোনা ওয়ার্ডে মারা গেছেন চারজন। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা: সাইফুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃতরা হলেনÑ আবুল হোসেন (৫০), মিলন (৬৬), আবদুল কুদ্দুস (৭৩), আবদুল মালেক (৬৮) ও শরিফুল ইসলাম (৭২)।
চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান শুরু হয়েছে হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডা: এ এস এম মারুফ হাসান। পরে তিনি নিজে দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেন।
বগুড়া অফিস জানায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আফসার আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি গত বুধবার মারা গেছেন। তিনি বগুড়া সদরের লতিফপুর কলোনির বাসিন্দা। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে বগুড়া জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২৬৬ জনে দাঁড়াল। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার দু’টি পিসিআর ল্যাবে ৩০১টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯১ জন। এসব তথ্য জানিয়ে জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বুধবারের নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্তের হার ২১ শতাংশ।
চাঁদপুর সংবাদদাতা জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর থেকে এ চাঁদপুরে হু-হু করে বাড়ছে করোনা রোগী সংখ্যা। দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টা করোনায় মারা গেছেন তিনজন। এর মধ্যে শাহরাস্তির দুইজন ও কচুয়ার একজন। গত বুধবার চাঁদপুর জেলায় আরো ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জন ডা: সাখাওয়াত উল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন আক্রান্তসহ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে তিন হাজার ৪৫৯ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে। সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৮৯১ জন।
নোয়াখালী অফিস জানায়, নোয়াখালী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরো ৭১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪০২ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৫২৫ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। নতুন আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৪০%। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা: মাসুম ইফতেখার।


আরো সংবাদ



premium cement