২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

করোনা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে মাঠে আ’লীগ

যুবলীগের টেলি মেডিসিন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু
-

বৈশ্বিক মহামারী করোনা আবারো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। লাফিয়ে লাফিয়ে চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। যদিও ইতোমধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে মানুষের চলাফেরার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। করোনার এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দেশবাসীকে সচেতন করা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসাসেবা চালুসহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে ফের মাঠে নেমেছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিতরণ করা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবানসহ বিভিন্ন সুরক্ষা সামগ্রী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পৃথকভাবে টেলি মেডিসিন সেবা চালু করেছে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটি এবং সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো সময় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে দ্রুত এ সেবা নেয়া যাবে। এ প্রসঙ্গে যুবলীগের টেলি মেডিসিন সেবা কার্যক্রম সমন্বয়ক ও যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: হেলাল উদ্দিন নয়া দিগন্তকে বলেন, করোনার এই পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবারো আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা টেলিমেডিসিন সেবা চালু করেছি, এটা ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে। তিনি বলেন, মাস্ক বিতরণ, পোস্টারের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা, ত্রাণ বিতরণসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পালন করতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে জেলা-উপজেলায় নির্দেশনা পৌঁছে গেছে। এই সঙ্কটকালে নেতাকর্মীরা গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে রয়েছেন। কেন্দ্রীয়ভাবেও এসব সামাজিক সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
করোনার এই পরিস্থিতিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। গত মঙ্গলবারও জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সেগুনবাগিচা এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা চালান দফতর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় মাইকে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি মাস্ক বিতরণ করেন তারা। রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে এরকম সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে আসছি। মতিঝিল, পল্টন, জিরো পয়েন্ট, সচিবালয় ও প্রেস ক্লাব এলাকায় আমরা মাইকিং করার পাশাপাশি মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছি। সারাদিনে অন্তত তিন হাজার মাস্ক বিতরণ করেছি, কারো মুখে মাস্ক না থাকলে পরিয়ে দিয়েছি। করোনার প্রথম ধাপেও আমরা রাজধানীর গরিব অসহায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ছিলাম। এ ছাড়াও রাজধানীর মাতুয়াইল, কোনাপাড়া, সাইনবোর্ড মিলন চত্বর, শাহজালাল রোড, দরবার শরিফ রোড, ধার্মিক পাড়া, রায়েরবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে নেতাকর্মীরা পথচারী ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে বিনামূল্যে মুমূর্ষু রোগী ও লাশ বহনের জন্য ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর কলাবাগান মাঠে দশটি ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স ও দু’টি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। এর আগের দিন স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে ধানমন্ডিতে ফ্রি মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ নয়া দিগন্তকে বলেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে গত বছরের মতো এবারো আমরা ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছি। ভুক্তভোগী যে কেউ আমাদের হটলাইন নম্বরে কল করলে জরুরি ভিত্তিতে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পেয়ে যাবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা গরিব অসহায় মানুষের মাঝে রান্না করা খাবারও বিতরণ করেছি। করোনাকালে স্বেচ্ছাসেবক লীগ বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে। কৃষক লীগও কৃষকের ধানকাটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে থাকে। কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র নয়া দিগন্তকে বলেন, সামনে আমাদের সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মাসব্যাপী সচেতনমূলক কর্মসূচি পালন করব।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। গত বছর লকডাউনের পর থেকে আমরা ফ্রি চিকিৎসাসেবা, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করেছিলাম। দুস্থ, গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তিনি বলেন, অতীতের মতো এবারো দুর্যোগের সময় আমাদের এখন কাজ হচ্ছে দুস্থ অসহায় ও গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। খেটে খাওয়া মানুষের দুঃসময়ে আমরা সর্বোতভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement