২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বাণিজ্যবাধা দূরীকরণে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক

-

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উভয় দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য সচিব ড. মো: জাফর উদ্দীন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প সচিব মি. অনুপ ধাওয়ান।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র, শিল্প, বস্ত্র ও পাট ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিএসটিআই, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দফতরের প্রতিনিধি অংশ নেন।
সূচনা বক্তব্যে উভয় দেশের দলনেতা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব ড. মো: জাফর উদ্দীন তার বক্তব্যে মুজিববর্ষ, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বন্ধুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার তুলে ধরেন। পরে উভয় দেশের মধ্যকার বাণিজ্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে গত বছরের ১৫-১৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত উভয় দেশের বাণিজ্যসচিব পর্যায়ের সভার সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা, বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বিষয়ে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের ১৩তম সভার অগ্রগতি, দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, কিছু বাংলাদেশী পণ্যের ওপর ভারত সরকার আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং; দুই দেশের মধ্যে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিইপিএ) স্বাক্ষরের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়।
আলোচনায় আরো ছিল- বর্ডার হাটের সংখ্যা সম্প্র্রসারণ ও সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি; বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বন্দর সুবিধা সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন; বাংলাদেশ ও ভারতের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামকে অধিকতর কার্যকর করা, অন্যান্য বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এ তথ্য জানানো হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement