১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`
সংবাদ সম্মেলনে কাদের

বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে

-

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা ষড়যন্ত্রের একই ধারাবাহিকতা ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজশাহীর এক বিএনপি নেতার বক্তব্য তাদের খুনের রাজনীতির স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, আন্দোলন এবং নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে। এ ষড়যন্ত্রের জাল দেশে-বিদেশে বিস্তৃত। বিএনপি নেতার বক্তব্য লন্ডনের ছক অনুযায়ী গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ কি না তা খতিয়ে দেখা দরকার।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেছিলেন, আজ রাত, কাল আবার সকাল নাও হতে পারে। ’৭৫ মনে নাই? এ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বিএনপির এক নেতা দেশে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তাতে দেশবাসী বিক্ষুব্ধ। ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন। আমরা ভেবেছিলাম এটা ব্যক্তিগত কোনো বক্তব্য। কিন্তু গত তিন দিনেও বিএনপির দলীয় কোনো বক্তব্য না আসায় আমরা কী ধরে নেব এটা তাদের দলীয় বক্তব্য? যদি দলীয় বক্তব্যই হয় তাহলে আবারো বিএনপির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা, ষড়যন্ত্র ও খুনের রাজনীতির চরিত্র স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে। আমরা আবারো স্পষ্টভাবে জানতে চাই, বিএনপি নেতার প্রকাশ্য হুমকি, এটা তাদের দলীয় বক্তব্য কি না এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের অবস্থান জনগণ আশা করে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন সরকার নাকি নির্বাচিত নয়, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের পতন হবে। বিএনপির এসব হুমকি-ধামকি বছরের পর বছর দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির আন্দোলন ও সরকার পতনের ঘোষণার ইতোমধ্যে যুগপূর্তি হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণ কোনো আন্দোলন দেখতে পায়নি রাজপথে। তিনি বলেন, এখনো তাদের আন্দোলনের ডাক আসে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ক্ষমতা কেন্দ্র থেকে। আছে ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার বাসনা। বিএনপি ক্ষমতা ফিরে পেলে দেশকে আবারো সাম্প্রদায়িকতার নিকষ অন্ধকারে ডুবিয়ে দেবে। তাদের রাজনীতি বহু ধারায় বিভক্ত। আর এই বিভক্ত রাজনীতি জনগণের কল্যাণের চেয়ে হুমকি ডেকে আনবে।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে বিএনপির বিরোধিতার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের অন্ধ বিরোধিতা করছেন, কোনো আইনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এর সুষ্ঠু ও যথাযথ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না, এই বিষয়টির দিকে সরকার কড়া নজর রাখছে। প্রযুক্তির এ যুগে জনস্বার্থেই এ আইন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তাও প্রয়োজন। আইনের অপপ্রয়োগ যেন না হয় সে বিষয়ে উচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিএনপি এখন এ আইন নিয়ে মানবাধিকারের কথা বলছে অথচ পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার চাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement
পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে হতাহত ২২ বিল দখলের চেষ্টা, জেলা ছাত্রলীগ নেতাকে গণপিটুনি ‘শাহাদাতের তামান্নায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করলে বিজয় অনিবার্য’ কারাগারে নারী হাজতিকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন, প্রধান কারারক্ষীসহ ৩ জনের বদলি প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে ঢুকে আত্মঘাতী হামলার হুমকিদাতা গ্রেফতার প্রেম যমুনার ঘাটে বেড়াতে যেয়ে গণধর্ষণের শিকার, গ্রেফতার ৫ ‘ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের সাথে সরকারের এমপি-মন্ত্রী-সুবিধাবাদী আমলারা জড়িত’ ইরানের সাথে ‘উঁচু দরের জুয়া খেলছে’ ইসরাইল! অসুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে সালাম-মজনু গলাচিপায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু মসজিদের ভেতর থেকে খাদেমের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

সকল