২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাগযুদ্ধ

আঞ্চলিক রাজনীতির শিকার আমি : ড. কলিমুল্লাহ; বেরোবি ভিসির বক্তব্য অসত্য : শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ৪৫ অভিযোগ তদন্তে নামছে ইউজিসি; ক্যাম্পাসে ভিসিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
-

নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে একটি রাজনৈতিক অপকৌশল বলে দাবি করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। বিশেষ করে খোদ শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেই অসৎ উদ্দেশ্যে আনা নানা অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক অপচেষ্টা বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। নিজেকে অনিয়ম আর দুর্নীতিমুক্ত দাবি করে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে একজন কাজপাগল মানুষ। দায়িত্বে অবহেলা আমার চরিত্রে নেই।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের জন্য শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনিকে দোষারোপ করেন বেরোবি ভিসি। তিনি বলেন, সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো জায়গা থেকে এমন অভিযোগ তোলা রাজনৈতিক অপকৌশল মাত্র। এ সময় তিনি নিজের এলাকার সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গও তোলেন।
অধ্যাপক কলিমউল্লাহ আরো বলেন, বাংলাদেশের যে প্রান্তেই থাকি না কেন আমি বেরোবির ভিসি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী, ভিসির পদ আবাসিক নয়, রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব আবাসিক। তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি আমার সাথে আঞ্চলিক রাজনীতি করছেন। আমি তার রাজনীতির শিকার। তিনি বলেন, আমি যে অঞ্চল থেকে এসেছি সে অঞ্চলের একটা রাজনীতি এখানে কাজ করছে। চাঁদপুরের স্থানীয় রাজনীতি এখানে প্রচ্ছন্নভাবে কাজ করেছে। আমি মনে করি, এ ধরনের প্রতিহিংসার রাজনীতি শিক্ষাঙ্গনে করা মোটেও ঠিক নয়।
ভিসি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। সকাল ১০টার প্রোগ্রামে তিনি এসেছিলেন বিকেল ৪টায়। আমাদের পুরো দিন তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। সেটা খুবই অসৌজন্যমূলক একটি কাজ হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনোই এমনটি ঘটেনি।’বেরোবি ভিসি বলেন, যতবার আমরা রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে শিডিউল বা ক্রোড়পত্রের জন্য বাণী চেয়েছি, পাইনি। উপমন্ত্রীর কাছে যতবার বাণী চেয়েছি, পেয়েছি। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী বাণী নিয়ে কখনো কার্পণ্য করেননি; কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর বাণী কখনো পাইনি। আমি খোলামেলা কথা বলার মানুষ। আজ কিছু অপ্রিয় সত্য কথা বলতে এখানে এসেছি এবং পরিণতি বিবেচনা করেই এসেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই যা অপপ্রচার, অপবাদ হয়েছে সব শিক্ষামন্ত্রীর আনুকূল্যে হয়েছে। আজকে লুকিয়ে-ছাপিয়ে কথা বলব না। সব খোলাসা করতে এসেছি। আমি দীর্ঘ দিন ধরে মিডিয়া ও নির্বাচন নিয়ে কাজ করি। সে জন্য আমি পরিষ্কার করে কথা বলতে পছন্দ করি। আমি কোনো দিন সত্য কথা বলতে পিছপা হইনি, আজো হবো না। নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা শিক্ষামন্ত্রীর আশ্রয়, প্রশ্রয় ও আশকারায় হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আগের ভিসির সময় একটি বিশেষ এলাকা থেকে অনেককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তারাই মূলত অবরোধ আন্দোলন করে আসছেন। আমাকে ঘেরাও করতেই ক্যাম্পাসে পাওয়া যায় না। এ ছাড়া আগের শিক্ষামন্ত্রীর সময়ও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
বেরোবি ভিসি বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ, আমাকে পাওয়া যায় না, আমি নিখোঁজ হয়ে যাই, আমি ঢাকা থাকি। তিনি উল্লেখ করেন আমি প্রতিদিন ২০-২২ ঘণ্টা কাজ করি। ঢাকায় থাকলে লিয়াজোঁ অফিসে কাজ করি। রংপুরে থাকলে বাসায় থেকে কাজ করি। দায়িত্ব গ্রহণের পর স্বাভাবিকভাবেই সব চলছিল; কিন্তু মিথ্যা ও অসংলগ্ন যেসব তথ্য সংবাদমাধ্যমে দেয়া হচ্ছে, তা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরকে মিথ্যাথও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। বেরোবি ভিসি বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এখনো আমরা পাইনি। এর আগেই গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বেরোবি ভিসির বক্তব্য অসত্য : শিক্ষা মন্ত্রণালয়
এ দিকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লøাহ গতকাল সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বলছে, ভিসি সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করেছেন। বেরোবি ভিসির সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বক্তব্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে নানা ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাবর তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। ইউজিসি তাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণে তদন্ত সম্পন্ন করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন প্রেরণ করে।
ইউজিসি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিধায় এ প্রক্রিয়ার কোনো পর্যায়ে মন্ত্রণালয় বা মন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই। ফলে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর অভিযোগ অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ সরাসরি শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বক্তব্য রেখেছেন, যা নিতান্তই অনভিপ্রেত। তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে যে সভাটিতে মন্ত্রীর দেরিতে উপস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন, সেই সভাটি গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সময় পরিবর্তন করে বিকেলে নেয়া হয়। ওই একই দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অভিন্ন ন্যূনতম নির্দেশিকা প্রণয়নসংক্রান্ত আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সভা থাকায় এবং সেই সভাটি ভিসিদের সঙ্গে আলোচনার আগে হলে ভালো হয়; বিবেচিত হওয়ায় ভিসিদের সঙ্গে সভাটির সময় পরিবর্তন করা হয়েছিল। শিক্ষক নিয়োগের অভিন্ন ন্যূনতম নির্দেশিকার সভাটি নির্ধারিত সময়ের চেয়েও অনেক প্রলম্বিত হওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী, সচিব এবং ইউজিসির চেয়ারম্যানসহ প্রতিনিধিদের ভিসিদের সেই সভায় যোগ দিতে দেরি হয়।
শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত সবার কাছে অনিচ্ছাকৃত এই বিলম্বের জন্য বিশেষভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। মন্ত্রীর সময়ানুবর্তিতার বিষয়টি সবার কাছে সুবিদিত। তিনি সময় মতো সব সভায় অংশ নেন। সে দিনের সভায় অনিচ্ছাকৃত বিলম্বকে নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কলিমুল্লাহ যে বক্তব্য রেখেছেন, তা শুধু অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনকই নয় নিতান্তই রুচি বিবর্জিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকাশনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর বাণী একবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাওয়া হয়েছিল। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বড় ধরনের ছাত্র আন্দোলন চলছিল। সে পরিস্থিতিতে মন্ত্রী বাণীটি দেয়া সমীচীন মনে করেননি। এরপরে গত এক বছরে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মন্ত্রীর কাছে আর কোনো বাণী চাওয়া হয়নি।
নাজমুল আহসান কলিমুল্লøাহ উপরের বিষয়সমূহের বাইরেও মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার কথা উল্লেøখ করে রাজনীতিকে জড়িয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। যার সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কোনো বিষয়ের কোনো ধরনের সংশ্লিøষ্টতা না থাকায় এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছে। একই সঙ্গে কলিমুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যেসব বক্তব্য রেখেছেন, সেসব বিষয়েও এ মুহূর্তে মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকছে। কলিমুল্লøাহ কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত অন্যান্য বক্তব্য সম্পর্কে মন্ত্রণালয় প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও বিবেচনার পর যথাযথ প্রক্রিয়ায় বক্তব্য উপস্থাপন করবে বলে উল্লেখ বিজ্ঞপ্তিতে করা হয়।
৪৫ অভিযোগ তদন্তে নামছে ইউজিসি
রংপুর অফিস জানায়, রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, নিয়োগবাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতাসহ ৪৫টি অভিযোগ তদন্তে নামছে বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। আগামী ১৪ মার্চ ইউজিসির তদন্ত দল আসবে ক্যাম্পাসে।
ইউজিসির সিনিয়র সহকারী সচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভিসি কলিমউল্লাহর বিরুদ্ধে ৪৫টি অভিযোগ এনে তা তদন্তের দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কমলেশচন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমানসহ শিক্ষক। অভিযোগকারী অন্য শিক্ষকরা হলেন পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গাজী মাজহারুল আনোয়ার, রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এইচ এম তারিকুল ইসলাম, ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল কবির, লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বীর আহমেদ ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেলাল উদ্দিন। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ৪৫টি অভিযোগ আনা হয়। এতে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনা অমান্য করে ক্যাম্পাসে ধারাবাহিক অনুপস্থিতি, ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি ধামাচাপা দেয়া, ইউজিসির নির্দেশনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ, শিক্ষক ও জনবল নিয়োগে দুর্নীতি-অনিয়ম, নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হয়েও অনুপস্থিত থাকা, নিরাপত্তাহীন ক্যাম্পাস, ইচ্ছামতো পদোন্নতি, আইন লঙ্ঘন করে একাডেমিক প্রশাসনিক পদ দখল ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় নীতিমালা লঙ্ঘন এবং সবক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগেরই তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। ইউজিসির পত্রে আগামী ১৪ মার্চ বেলা ১১টায় তদন্ত অভিযোগকারী সাত শিক্ষককে দলিল নিয়ে ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
ভিসির একান্ত সচিব আমিনুর রহমান জানান, ইউজিসির তদন্ত কমিটি পাঠানো চিঠি পাওয়া গেছে।
ভিসিকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা : এদিকে রাজধানীতে মিথ্যাচার ও শিক্ষামন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। গতকাল ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহসভাপতি এইচ এম তরিকুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফসহ শিক্ষকরা।
ভিসির অপসারণ দাবি : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ভিসি প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ যে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন এবং নিজের অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকার যে চেষ্টা করেছেন তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অধিকার সুরক্ষা পরিষদ। পরিষদ ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে দ্রুত অপসারণ করে বিচারের দাবি জানায়।


আরো সংবাদ



premium cement
মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল লিবিয়ায় নিয়ে সালথার যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ১ মনুষ্য চামড়ায় তৈরি বইয়ের মলাট সরানো হলো হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আওয়ামী লীগকে বর্জন করতে হবে : ডা: ইরান

সকল