২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউপি নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

-

আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম যে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অন্তত সরকার সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার ব্যবস্থা করবেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদসহ পৌরসভা-উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে যা হয়েছেÑ এত ফ্রাসট্রেটিং যে, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি আমরা দলীয়ভাবে।
ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের বিশ্বাস করে বলেই চরম প্রতিকূল অবস্থায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সাম্প্রতিক অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করবার যোগ্য নয়। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই এই নির্বাচন কমিশনের কাজ।
আগামীতে সব নির্বাচনেই অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন কি না প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে। এখন পর্যন্ত আমাদের পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমরা আর দলগতভাবে যাচ্ছি না। ইউনিয়ন পরিষদে আমাদের দলের কাউকে মনোনয়ন আর দিচ্ছি না। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। গতকাল দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে মহাসচিব ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল এ সময় আরো বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে জনগণের সাংবিধানিক অধিকারÑ অন্যায়ের প্রতিবাদ করা বা তাদের মতকে প্রকাশ করা এসবকে তারা চরমভাবে ক্ষুণœ করছে বা আক্রমণ করছে। এর জন্য যতগুলো আইন করেছে তার মধ্যে নিকৃষ্টতম আইন হচ্ছে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট। এই অ্যাক্টের মধ্য দিয়ে সরকার চরমভাবে একনায়কতান্ত্রিক একটি সরকারে পরিণত হয়েছে, যারা কোনোভাবেই জনগণের যে ন্যূনতম যে সাংবিধানিক অধিকার আছে, তাকে সম্মান দিতে তারা রাজি নয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঘোষিত কর্মসূচি বিক্ষোভ সমাবেশ করতে না দেয়া এবং পুলিশি লাঠিচার্জের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাটিচার্জ, টিয়ার শেল এবং শর্টগান ব্যবহার করে প্রায় শতাধিক ছাত্র দলের নেতাকর্মীকে আহত করেছে। এখন অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে এবং এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হামলা থেকে আবারো প্রমাণিত হলো সরকার মত প্রকাশের কোনো স্বাধীনতা দিতে নারাজ। তারা গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোকে হরণ করে নিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছেলে হারা মা সাথিয়ার কান্না যেন থামছেই না বৃষ্টির জন্য নারায়ণগঞ্জে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চান হাইকোর্ট আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরো ৪৬ বিজিপি সদস্য উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কক্সবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

সকল