২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভিন্নমতে হামলাকারীদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

বাইডেন প্রশাসনের নতুন নীতি ঘোষণা
-

বিদেশী কোনো সরকারের হয়ে ভিন্নমতাবলম্বী, অধিকারকর্মী বা সাংবাদিকদের ওপর হুমকি কিংবা হামলা চালানোর দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ‘খাশোগি নিষেধাজ্ঞা’ নামে নতুন এক নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যায় সৌদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান জড়িত ছিলেন বলে মার্কিন এক গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর সৌদির ৭৬ জন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সৌদি আরবের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাটি প্রথম কার্যকর করা হলেও পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও এটি প্রয়োগ করা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
গত শুক্রবার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ‘খাশোগি নিষেধাজ্ঞা’ নামে নতুন এই নীতি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, অন্য কোনো দেশের সরকারের পক্ষে কাজ করা অপরাধীরা নির্বাসিতদের টার্গেট করে হামলা চালিয়ে কিংবা এ উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ঢুকতে পারবে না। আমাদের সীমান্তের মধ্যে সবার নিরাপত্তার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেবল যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে তারাই নন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও এই ভিসা বিধিনিষেধের প্রয়োগ দেখা যেতে পারে।
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। আগামীতে এ ধরনের প্রতিবেদনে খাশোগি নিষেধাজ্ঞা নীতির আওতায় পড়ে এমন কর্মকাণ্ড তুলে আনার নির্দেশ দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কোনো সরকার শুধু মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার জন্য দেশের মধ্যে বা বাইরে কাউকে ‘টার্গেট’ করলে সেই সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখবে বলে তিনি জানান। নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর সেসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে, যারা কোনো দেশের সরকারের পক্ষে নির্বাসিত বা নির্বাসিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন সাংবাদিক, অধিকারকর্মী বা ভিন্নমতালম্বীকে নিপীড়ন, হয়রানি, নজরদারি, হুমকি বা ক্ষয়ক্ষতিসহ গুরুতর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন বা দেশের বাইরে গিয়ে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, ওই প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিভিন্ন দেশের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রভাব রাখে বিধায় এটাকে গুরুত্ব দেয় সবাই। এর আগে গত শুক্রবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে আটক কিংবা হত্যার পরিকল্পনা অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। তবে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত সাংবাদিক খাশোগিকে খুনের সাথে সম্পৃক্ততার কথা জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছেন যুবরাজ সালমান। সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সাথে যেন কাজের সম্পর্ক বজায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করতে তার ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেয়া পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্পর্কের পুনর্মূল্যায়ন, ফাটল ধরানো নয়।
এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর টেলিফোন আলাপ করেছেন সৌদি বাদশাহর সাথে, ক্রাউন প্রিন্সের সাথে নয়। ফোনালাপে তিনি মানবাধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ক্রাউন প্রিন্স সালমানকে সৌদি আরবের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জামাল খাশোগি যুবরাজ সালমানের কঠোর সমালোচক ছিলেন। তিনি স্ত্রীর জন্য কাগজপত্র ঠিক করতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনসুলেটে গেলে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য না করলে এ বছরই রাশিয়ার কাছে হারতে পারে ইউক্রেন : সিআইএ প্রধান রাশিয়ার সামরিক শিল্পক্ষেত্রে প্রধান যোগানদার চীন : ব্লিংকন ইরাকে সামরিক ঘাঁটিতে 'বিকট বিস্ফোরণ' শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ববাসীকে সোচ্চার সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মৃত্যু নীলফামারীতে তিন হাজার ১৭০ চাষির মাঝে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ বিতরণ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু উজ্জ্বল হত্যার বিচার দাবিতে সরিষাবাড়ীতে মানববন্ধন পাবনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২১ খাবারের সন্ধানে বসতবাড়িতে হরিণ, মহামায়ায় অবমুক্ত

সকল