২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কমেছে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত

-

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন। এ সময় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫১৫ জন। গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। আগের দিন সোমবার করোনায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৬০২ জনের। ফলে গতকাল করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত রোগী উভয় ক্ষেত্রেই আগের দিনের তুলনায় সংখ্যা কমেছে।
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জনের মৃত্যু নিয়ে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা আট হাজার ৫৫ জন। অন্য দিকে নতুন শনাক্ত ৫১৫ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত পাঁচ লাখ ৩২ হাজার ৯১৬ জন। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪৪৭ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ চার লাখ ৭৭ হাজার ৪২৬ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, শনাক্ত বিবেচনায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রতি ১০০ নমুনায় তিন দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় প্রতি ১০০ জনে সুস্থ হয়েছে ৮৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং মারা গেছে এক দশমিক ৫১ শতাংশ। গতকাল করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জন পুরুষ এবং দুইজন নারী। এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ছয় হাজার ১০৭ জন পুরুষ এবং এক হাজার ৯৪৮ জন নারী মারা গেছেন। গতকালের মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ষাটোর্ধ্ব বয়সী ১০ জন, ৫১-৬০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৩১-৪০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন। অন্য দিকে বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রামে চারজন, খুলনা ও ময়মনসিংহে একজন করে দুইজন রয়েছেন। ১৪ জন হাসপাতালে মারা গেছেন।
চট্টগ্রামে শনাক্ত ৬৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ জন নগরের ও ১০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩২ হাজার ৭৩৮ জন। এদের মধ্যে ২৫ হাজার ৫৪৬ জন নগরের ও সাত হাজার ১৯২ জন উপজেলাপর্যায়ের বাসিন্দা। অন্য দিকে এ পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৪২০ জন। এখন পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছেন মোট ৩৬৯ জন। এর মধ্যে ২৬৮ জন নগরের ও ১০১ জন উপজেলার বাসিন্দা। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।
খুলনায় প্রথম ধাপে পাঁচ হাজার জনকে দেয়া হবে টিকা
খুলনা ব্যুরো জানায়, খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে পাঁচ হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকা করা হয়েছে। তারা প্রথম ধাপে করোনার টিকা পাবেন। এ দিকে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে প্রথম ধাপে কী পরিমাণ টিকা দেয়া হবে তা জানা যাবে আজ বুধবার।
খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকালে করোনা ভ্যাকসিন টিকা কমিটির সভা আছে। সভার পর বিস্তারিত জানা যাবে। টিকাগুলো নগরীর শেরেবাংলা রোডের নগর স্বাস্থ্য ভবন, তালতলা হাসপাতাল, খালিশপুর লাল হাসপাতাল এবং নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য দফতরে রাখা হবে।
এ দিকে খুলনার নয়টি জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে প্রথম ধাপে করোনা টিকা প্রদানের তালিকা করা হয়েছে। এ-পর্যায়ে পাঁচ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকা দেয়া হবে। উপজেলাগুলোতে ১৮টি টিম টিকা দেয়ার কাজ করবে। প্রত্যেক উপজেলায় দু’টি টিম থাকবে। প্রত্যেক টিমে সদস্য থাকবে ছয়জন করে। সরকারের কাছ থেকে টিকা পাওয়ার পর সেটি স্কুল হেলথ ক্লিনিকে রিজার্ভ রাখা হবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টিকা পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতে পাঠানো হবে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, তালিকা এখনো হাতে আসেনি। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে জানতে পারব। প্রথম ধাপে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অ্যাপসের মাধ্যমে যারা আবেদন করবেন তাদের টিকা দেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে বয়স্কদের দেয়া হবে। তৃতীয় ধাপে আবার প্রথম ধাপে টিকা যারা নিয়েছেন তাদের দেয়া হবে। কারণ প্রত্যেকের টিকা দুইবার নেয়া লাগবে। প্রথমবার নেয়ার ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় তাকে নিতে হবে। তিনি বলেন, করোনা টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেয়া হবে। তাই এটা নিয়ে বাণিজ্য করার সুযোগ নেই।
রাজশাহীতে প্রথম ধাপে টিকা পাবেন ৭ লাখ মানুষ
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী বিভাগে প্রথম ধাপে সাত লাখ ২০ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন। এ টিকা প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে কেন্দ্র। তবে ভারত থেকে আসা উপহারের টিকা পাচ্ছে না রাজশাহী বিভাগ। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: হাবিবুল আহসান তালুকদার সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের যে টিকা সরকার কিনছে সেখান থেকে প্রথম ধাপে রাজশাহী বিভাগের জন্য মোট ৬০ কার্টন টিকা আসছে। প্রতিটি কার্টনে মোট এক হাজার ২০০ ভায়াল (বোতল) টিকা থাকবে। একটি ভায়ালে ১০ জনকে টিকা দেয়া সম্ভব। ফলে রাজশাহী বিভাগের মোট ৬০ কার্টনে সাত লাখ ২০ হাজার মানুষকে টিকা দেয়া যাবে। প্রথম ডোজ প্রয়োগের দুই মাস পর প্রত্যেককে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, রাজশাহী জেলার জন্য বরাদ্দ ১৫ কার্টন। বিভাগীয় শহর হিসেবে রাজশাহীতে আসবে আরো অতিরিক্ত চার কার্টন। রাজশাহী জেলার ১৯ কার্টনে দুই লাখ ২৮ হাজার মানুষকে টিকা প্রয়োগ করা হবে। এ টিকা প্রয়োগের জন্য কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। দু’টি বুথে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে চারটি টিকা প্রয়োগকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো হলোÑ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনের নগর ভবন, রাজশাহী পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল এবং রাজশাহী সেনানিবাস হাসপাতাল। এর মধ্যে প্রথমে শুধু রামেক হাসপাতাল কেন্দ্র চালু করা হবে। সেখানে আছে দু’টি বুথ।
টিকা আসার পর কেন্দ্রটি উদ্বোধন করা হবে। রামেক হাসপাতালে দু’জন নার্স টিকা প্রয়োগ করবেন। যারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন, পর্যায়ক্রমে তাদের ডেকে টিকা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।


আরো সংবাদ



premium cement
জামালপুরে সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাজার হাজার অবৈধ গাড়ি কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগে বিভেদ শরীয়তপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভুট্টার আবাদ মিরসরাইয়ে ৩ দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আলুতে দাম বেড়েছে ১০ টাকা ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান ২৩ এস্কেভেটর ও ৮ ট্রাক ফেলে পালালো বালুদস্যুরা বরগুনায় দুই সাংবাদিকসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা গলাচিপায় নির্বাচনী মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে শোকজ হোসেনপুরে গ্রামের গ্রাহকরা দিনে এক ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না ঈদগাঁওতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ৭ প্রার্থীকে জরিমানা গাজীপুরে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম উদ্বোধন

সকল