২০২০ সালে ০.৫ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে

কোভিড-১৯ কারণে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি গত বছর (২০২০) শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।
জাতিসঙ্ঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে কাজ করা বিভাগ ইউএন ডেসার (ইউনাইটেড ন্যাশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল অ্যাফেয়ার্স) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরে ২০২০-২০২১) অর্থবছরে তা পাঁচ দশমিক এক শতাংশ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট দশমিক দুই শতাংশ ধরলেও পরে তা সাত দশমিক চার শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
ইইএন ডেসার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে চার দশমিক তিন শতাংশ, ভারতের কমে হয়েছে পাঁচ দশমিক সাত শতাংশ, পাকিস্তানের এক দশমিক দুই শতাংশ, ভুটানের শূন্য শতাংশ, নেপালের শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ।
জাতিসঙ্ঘের প্রতিবেদন বলছে, চলতি অর্থবছরে অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ঘুরে দাঁড়াবে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে পাঁচ দশমিক এক শতাংশ, ভারতের সাত শতাংশ, পাকিস্তানের শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ, ভুটানের তিন দশমিক পাঁচ শতাংশ, মালদ্বীপের নয় দশমিক নয় শতাংশ, আফগানিস্তানের চার দশমিক চার শতাংশ এবং শ্রীলঙ্কার তিনি দশমিক এক শতাংশ। বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে অনেক দেশ ঘুরে দাঁড়ালেও ঝুঁকি রয়েছে। কোভিড-১৯ বিশ্বকে কিভাবে আক্রান্ত করবে তার ওপর প্রবৃদ্ধি নির্ভর করছে।
মহামারীর কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি প্রায় ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। দারিদ্র্য ও বৈষম্য দ্রুত গতিতে বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে ইউএন ডেসা
উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসের শুরু বিশ্ব¦ব্যাংকের পক্ষ থেকে পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে এক দশমিক ছয় শতাংশ এবং আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরে তা বেড়ে হবে তিন দশমিক চার শতাংশ।
অন্য দিকে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ছয় দশমিক আট শতাংশ। এক মাস পর গত বছরের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে চার দশমিক চার শতাংশ। আগামী অর্থবছরে তা বেড়ে হবে সাত দশমিক ৯ শতাংশ।