২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার হলমার্ক কর্মকর্তার নারীসঙ্গ

জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার

-

গাজীপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দী হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদের সাথে এক নারীর একান্তে অবস্থানের সুযোগ করে দেয়ার ঘটনায় এবার ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকে রোববার প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ নিয়ে কারাবিধি ভঙ্গ করে অনৈতিক সুবিধা দেয়ার ওই ঘটনায় মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদেরকে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, অর্থ কেলেঙ্কারির মামলায় হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ বন্দী রয়েছেন। তিনি হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদের ভায়রা। গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে সালোয়ার কামিজ পরা এক নারী বাইরে থেকে কারাগারে আসেন। এ সময় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় ও ডেপুটি জেলার সাকলাইন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে অপর দুই যুবকের সাথে ওই নারী কারাগারের কর্মকর্তাদের কক্ষ এলাকায় প্রবেশ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি জেলার সাকলাইন। ওই নারী সেখানে প্রবেশ করার পর অফিস থেকে বেরিয়ে যান ডেপুটি জেলার সাকলাইন। আনুমানিক ১০ মিনিট পর কারাগারে বন্দী তুষার আহমদ ওই কক্ষে প্রবেশ করেন। কারাবিধি ভঙ্গ করে তারা ওই কক্ষে প্রায় ৪৫ মিনিট একান্তে অবস্থান করেন। কারাগারের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত এ ভিডিও চিত্রটি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হলে তা ভাইরাল হয়ে ওঠে। এ দিকে, করোনাকালীন কারাগারের বন্দীদের সাথে কোনো দর্শনার্থীর সাক্ষাৎও নিষিদ্ধ রয়েছে।
এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালামকে প্রধান করে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা ফারজানা ও ওয়াসিউজ্জামান চৌধুরীকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এ ছাড়াও ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেনকে প্রধান করে উপসচিব (সুরক্ষা বিভাগ) আবু সাঈদ মোল্লাহ ও ডিআইজি (ময়মনসিংহ বিভাগ) জাহাঙ্গীর কবিরকে সদস্য করে আরো একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য সাত কর্মদিবস সময় দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ১৮ জানুয়ারির এক আদেশনামায় সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো: মাইন উদ্দিন ভূইয়া তিনজনকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদেরকে প্রশাসনিক কারণে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-১ থেকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করার কথা আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলাইন, সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর মো: আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো: খলিলুর রহমান। এরপর একই ঘটনায় ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় ও জেলার নুর মোহাম্মদ মৃধাকে গতকাল রোববার প্রত্যাহার করা হয়। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক আবরার হোসেন জানান, এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিরা শাস্তি পাবেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, কারাগারের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজটি আমরা দেখেছি। এ ঘটনায় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। রোববার পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলারসহ পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে : আইজিপি সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল

সকল