২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু

তিন ফুট দূরত্বে থাকবে বেঞ্চ পাঁচ ফুট দূরত্বে শিক্ষার্থী

এক কক্ষে ১৫ জনের বেশি নয়; দ্ইু মাস নেয়া যাবে না পরীক্ষা
-

তিন ফুট দূরত্বে বসাতে হবে বেঞ্চ। আর পাঁচ ফুট দূরত্বে বসবে শিক্ষার্থী। একটি ক্লাসরুমে একসাথে বসতে পারবে মাত্র ১৫ জন শিক্ষার্থী। ক্লাসে প্রবেশের আগে থার্মোমিটার দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের শরীরে জ্বর আছে কি না। শিক্ষার্থীদের সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন বেশ কিছু শর্ত পালন করাসাপেক্ষে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ৩৯ পাতার একটি গাইডলাইনও দিয়েছে মাউশি। স্কুল খোলার দুই মাসের মধ্যে কোনো পরীক্ষা না দিতেও গাইডলাইনে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সূত্রমতে, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খোলার বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে মাউশি থেকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়, কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করতে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল বৈঠকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইড লাইন প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। এ গাইড লাইন অনুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অবশ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খোলার বাজেট তৈরিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জারি করা গাইড লাইন মেনে ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। একই সাথে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়ামাত্র শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার গাইড লাইনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তিন ফুট দূরত্বে ক্লাসরুমের বেঞ্চগুলোকে স্থাপন করতে বলা হয়েছে। পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যরে বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থী এবং ৫ থেকে ৭ ফুট দৈর্ঘ্যরে বেঞ্চে দু’জন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাইড লাইন অনুসারে ক্লাস করতে পারবে। স্কুলে প্রবেশের আগেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করার কথাও বলা হয়েছে। মাউশির ৩৯ পাতার গাইড লাইনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
গাইড লাইনে আরো বলা হয়েছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসতে পারবে। পুরো ক্লাসরুমে থাকবে সর্বোচ্চ ১৫ জন ছাত্রছাত্রী। প্রাথমিকভাবে চতুর্থ ও পঞ্চম এবং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলকে নির্দেশনা দেয়া হবে।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। পরবর্তীতে এ ছুটি কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। এ ছাড়াও করোনার কারণে স্কুল-কলেজে পাবলিক পরীক্ষায়ও সরকার কিছু পরিবর্তন আনে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলা হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে।

 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল