২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বুধবার একজন নার্সকে প্রয়োগ করে করোনার টিকাদান শুরু

-

আগামী বুধবার (২৭ জানুয়ারি) একজন নার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান টিকা শুরু হওয়ার এ তথ্য জানান। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত এ টিকা বাংলাদেশে প্রথম গ্রহণ করবেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্স। পরবর্তীতে আরো চারটি হাসপাতাল এবং আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে। সে দিনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে যুক্ত থেকে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন।
স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আগামী বুধবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে অন্যান্য পেশার মানুষও থাকবেন। সেখানে আরো ২৪ জনসহ মোট ২৫ জনের একটি প্রতিনিধিত্বশীল গ্রুপ থাকবে। সেই তালিকায় চিকিৎসক, নার্স, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, সাংবাদিকসহ অন্য পেশার মানুষ যুক্ত থাকবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী জেনারেল হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েও টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এই চার হাসপাতালের ৪০০ থেকে ৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ‘তাদের টিকা দেয়ার পর এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে এবং পরে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।’ আবদুল মান্নান অবশ্য বলেন, এই পরিকল্পনা পরিবর্তনও হতে পারে। অন্য হাসপাতালেও টিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু করা হতে পারে। কিন্তু যে হাসপাতালেই হোক সেখানে প্রথম দিনে সিভিল সোসাইটির বিভিন্ন স্তরের ২০ থেকে ২৫ জনকে টিকা দেয়া হবে।
এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের পর্যবেক্ষণ করা হবে, তাদের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না দেখা হবে। গত ২০ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে প্রাপ্ত সেরামের তৈরি কোভিশিল্ড নামক টিকাটি দেশে এসে পৌঁছায়। অন্য দিকে বাংলাদেশ সরকারের কিনে নেয়া তিন কোটি ডোজ টিকার ৫০ লাখ আসবে এ মাসের মধ্যেই। এই ৭০ লাখ টিকার মধ্যে ৬০ লাখ টিকা দেয়া হবে প্রথম মাসে, দ্বিতীয় মাসে দেয়া হবে ৫০ লাখ, তৃতীয় মাসে দেয়া হবে প্রথম মাসে যারা প্রথম দিয়েছিলেন এমন ৬০ লাখকে।
ভারত থেকে টিকা এনে বেক্সিমকো ফার্মা তাদের টঙ্গী ফ্যাক্টরির ওয়্যার হাউজে সংরক্ষণ করবে। পরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তালিকা অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন অফিসের কোল্ডস্টোরেজে টিকাগুলো বেক্সিমকোর তত্ত্বাবধানে পৌঁছানো হবে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা সংরক্ষণ করতে হয় ৪ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। এটি সাধারণ ফ্রিজারের মধ্যেও সংরক্ষণ করা সম্ভব। ইতোমধ্যে করোনা টিকার জন্য প্রয়োজনীয় সিরিঞ্জসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। টিকাদানকারীদের প্রশিক্ষণও শেষ পর্যায়ে, আগামী ৩০ জানুয়ারি এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে।


আরো সংবাদ



premium cement