২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সিরাগঞ্জের কাউন্সিলর হত্যাকারী আটক

-

সিরাজগঞ্জে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মো: তরিকুল ইসলামের মূল হত্যাকারী জাহিদুল ইসলামকে (২০) ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত জাহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে নিহত বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুলের প্রতিপক্ষ শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থক এবং সাহেদনগর ব্যাপারিপাড়া মহল্লার টিক্কা ব্যাপারির ছেলে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সিরাজগঞ্জ সদর থানায় পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম (বিপিএম) প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সুপার জানান, কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ডিএমপি পিবিআইয়ের সহযোগিতা নেয়া হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় জাহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক জাহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান।
সিরাজগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: স্নিগ্ধ আখতার বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় কাউন্সিলর তরিকুলের মূলহত্যাকারী জাহিদুল ইসলামকে রাতেই আটক করে সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, আটককৃত জাহিদুল ইসলাম পৌর নির্বাচনে শাহাদত হোসেনের বুদ্দিন সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনের তিন দিন আগে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ার জন্য ঢাকা থেকে সাহেদনগর ব্যাপারিপাড়া নিজ বাড়িতে আসেন এবং দুই দিন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন। নির্বাচনের আগের দিন রাতে এক আসামির বাড়িতে তার উপস্থিতিতে এজাহার নামীয় ও অন্য আসামীরা নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তরিকুল ইসলাম খানের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এজাহার নামীয় একজন আসামি তাকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি দেয়। এ ছাড়াও ওই আসামির বাড়িতে রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র মজুদ রাখা হয়।
ফলাফল ঘোষণার সময় অন্য আসামিদের সাথে সে ছুরি নিয়ে শহিদগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে উটপাখি মার্কা প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিন ও তার সমর্থকদের সাথে উপস্থিত হয়। সন্ধ্যা ৭টার কিছু আগে ফলাফল ঘোষণায় ডালিম প্রতীকের প্রার্থী তরিকুল ইসলাম বিজয়ী হলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অন্য আসামিদের সহযোগিতায় সে তরিকুলের পেটে ছুরিকাঘাত করে এবং তারা একযোগে স্থান ত্যাগ করে। এরপর ছুরিটি নিজ বাড়িতে লুকিয়ে রেখে স্ত্রীসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুর এলাকার ভাড়া বাসায় চলে যায় জাহিদুল। পরদিন নিহত তরিকুল ইসলামের ছেলে একরামুল হাসান হৃদয় বাদি হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০ জন আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো: তরিকুল ইসলাম জানান, হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।


আরো সংবাদ



premium cement
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়ন করা হলে হামাস অস্ত্র ছাড়তে রাজি শনিবার থেকে শুরু গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা, প্রস্তত জবি ক্যাম্পাসগুলোতে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেন বাইডেন: মুখপাত্র নোয়াখালীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব থাকবে বান্দরবানে বৃষ্টির চেয়ে চোখের পানি ফেলে বিশেষ নামাজ চকরিয়ায় যুবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৭ উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি বাগাতিপাড়ায় ইসতিসকার নামাজ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন : বাকৃবি অধ্যাপক বৃষ্টির জন্য হাকাকার, সাভারে ইসতিসকার নামাজ আদায়

সকল