২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সাত মুসলিম দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বাতিল

ট্রাম্পনীতি বদলাতে প্রথম দিনেই কাজ শুরু বাইডেনের ; বাইডেনকে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা ; বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে প্রধান শিরোনাম যুক্তরাষ্ট্র
-

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ সাতটি দেশের ওপর সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০ জানুয়ারি বুধবার তিনি শপথ নেয়ার অল্প পরেই এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এ দিন তিনি কমপক্ষে ১৭টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এসবের তিনটিই করোনাভাইরাস মোকাবেলার বিষয়ে। দু’টি মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে আছে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন। খবর রয়টার্স, বিবিসি, এপি, সিএনএন ও এএফপির।
শপথ নেয়ার কিছু সময় পরে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ওভাল অফিসে ছুটে যান। সেখানে তার পাশে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ওভাল অফিসভর্তি সাংবাদিকদের সামনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু নীতি পরিবর্তনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, সঙ্কট মোকাবেলার ক্ষেত্রে অপচয় করার মতো কোনো সময় হাতে নেই। আমি আমেরিকার মানুষকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছি।
জো বাইডেন যে ১৭টি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তার তিনটিই করোনাভাইরাস মোকাবেলার বিষয়ে। দু’টি মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে। এর বাইরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর মধ্যে আছে জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিবাসন। ৩০ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ফেরানোর নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন তিনি। আরেক আদেশে কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা তথা সমতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে।
সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ট্রাম্পের দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন বাইডেন। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতায় এলে হোয়াইট হাউজে নিজের প্রথম দিনই এটি তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কিছু দিন পর সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। পরে সেটি মুসলিম নিষেধাজ্ঞা হিসেবে পরিচিত হয়। দেশ সাতটি হলোÑ সিরিয়া, ইরান, ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদান।
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে তহবিলের জন্য ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ডিক্লারেশনও বাতিল করেছেন বাইডেন। এর মাধ্যমে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কাজ স্থগিত করা হয়েছে।
বিতর্কিত কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইনের ক্ষেত্রে দেয়া অনুমোদনও প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের আদিবাসী আমেরিকান ও পরিবেশবাদীরা এক দশকেরও বেশি ধরে এ অনুমোদনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছিল। হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব জেন সাকি জানিয়েছেন, প্রথম বিদেশী নেতা হিসেবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে শুক্রবার ফোন করবেন বাইডেন, তখন কিস্টোন পাইপলাইনের বিষয়টি নিয়ে তার সাথে আলোচনা করবেন তিনি। প্রস্তাবিত পাইপলাইনটি বেসরকারি অর্থায়নে নির্মাণের কথা ছিল। এর ব্যয় ধরা হয়েছিল আট বিলিয়ন ডলার। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে কানাডার আলবার্টা থেকে দৈনিক আট লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল ভারী অপরিশোধিত তেল নেব্রাস্কায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ২০১৫ সালে এই পাইপলাইন নির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেস অনুমোদন দিলেও তাতে ভেটো দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, কিন্তু তার সিদ্ধান্ত উল্টে দিয়েছিলেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের দিক থেকে ট্রাম্প ও বারাক ওবামাÑ দু’জনকেই পেছনে ফেলেছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর দুই সপ্তাহ সময়ে আটটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন। আর বারাক ওবামা স্বাক্ষর করেছিলেন ৯টিতে।
এর আগে হোয়াইট হাউজে দেয়া অভিষেক ভাষণে পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ কিংবা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির মর্মমূলে আঘাত হানেন বাইডেন। দরিদ্র শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের ভোট জিততে বিভক্তির সূত্রে ট্রাম্প তাদের বিপরীতে শত্রু হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন মুসলিম অভিবাসী আর মেক্সিকানদের। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের সেই বিদ্বেষী রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করে বাইডেন বলেছেন, আমেরিকার ইতিহাসে বারবার বিভক্তির বিপরীতে ঐক্য জিতেছে।
ক্ষোভ, ঘৃণা, উগ্রবাদ, বিচারহীনতা, সহিংসতা, রোগ, বেকারত্ব আর হতাশা কাটিয়ে উঠতে আমেরিকার জনগণের ঐক্যের ওপর জোর দিয়েছেন জো বাইডেন। বলেছেন, ‘ঐক্যের মাধ্যমে আমরা মহৎ কিছু করতে পারি, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে পারি।’
২০১৬ সালের নভেম্বরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে বারাক ওবামার স্থলাভিষিক্ত হন ট্রাম্প। ট্রাম্প জমানার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে জো বাইডেন বলেছেন, তার পুরো হৃদয়জুড়ে ঐক্যের প্রতিধ্বনি। ‘জানি যে শক্তি আমাদের বিভক্ত করেছে তা গভীর আর সেগুলো বাস্তব। কিন্তু এ-ও জানি এগুলো নতুন নয়। আমাদের ইতিহাস হলো আমেরিকান আদর্শ হিসেবে পরিচিত আমাদের সমতার বোধ এবং আমাদের টুকরো টুকরো করে ফেলা বর্ণবাদ, স্বজনপ্রীতি, ভয় আর হুমকির মতো কঠোর বাস্তবতার মধ্যে চিরন্তন লড়াই,’ বলেন বাইডেন। তিনি আরো বলেন, ‘আজ, জানুয়ারির এই দিনে আমার সব আত্মাজুড়ে রয়েছে আমেরিকাকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, আমাদের জনগণের ঐক্য গড়তে হবে আর জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।’
বাইডেন ও কমলাকে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। একই সাথে দেশটির ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন কমলা হ্যারিস। শপথ নেয়ার পর থেকেই তাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা। এ তালিকায় রয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অবরাডোর, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পোপ ফ্রান্সিসসহ আরো অনেকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন। জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্ব অত্যন্ত গভীর। সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেন, বাইডেন ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিলেন। আমি তার জন্য মঙ্গল কামনা করছি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে অভিনন্দন। বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং অঞ্চল ও এর বাইরে শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসকে অভিনন্দন জানিয়ে বেশ কিছু টুইট করেছেন।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল দু’জনের প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন টুইটারে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের জন্য জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে তাদের ঐতিহাসিক অভিষেকের জন্য অভিনন্দন। জলবায়ু পরিবর্তন থেকে শুরু করে কোভিড পর্যন্ত যেসব বিষয় আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেসব ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।
ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ভিডিওবার্তা পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বাইডেনের উদ্দেশে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন এ অঞ্চল ও সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা এক সাথে কাজ করব বলে প্রত্যাশা করছি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি অবশ্য এতটা উষ্ণতা প্রকাশ করেননি। তিনি আমেরিকান গণতন্ত্রকে ব্যঙ্গ করে বলেছেন, নির্বাচনের ফল যাই হোক, আমেরিকান প্রশাসনে রাজনৈতিক, নাগরিক ও নৈতিক সব পর্যায়ে নিশ্চিত স্খলন খুবই স্পষ্ট।
এ ছাড়াও বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ প্রমুখ। এক টুইটবার্তায় ম্যাক্রোঁ বলেন, বর্তমানের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। আসুন একসাথে কাজ করি।
এ দিকে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলো জো বাইডেন জিতেছেন এমন সংবাদ প্রকাশের সাথে সাথেই এ খবর ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। বিশ্বের মানুষ একটি ফলের জন্য রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করছিলেন। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি থেকে শুরু করে ব্রাজিলের ফলহা ডি সাও পাওলো সংবাদপত্র সর্বত্র শিরোনাম একটিই। বিশেষ করে এবারের নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বে তুমুল আগ্রহ ছিল।
বাইডেনকে ‘খুবই উদার চিঠি’ লিখেছেন ট্রাম্প : যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার আগে ‘খুবই উদার চিঠি’ লিখে রেখে গেছেন বলে জানিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর বাইডেন হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে প্রথম সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় এ কথা জানান। তবে ট্রাম্প চিঠিতে কী লিখেছেন তা জানাতে চাননি বাইডেন। বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওই চিঠির বিষয়বস্তু প্রকাশ করবেন না তিনি। বাইডেন কেবল বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট খুবই উদার চিঠি লিখেছেন। এটি ব্যক্তিগত। এ কারণে তার সাথে কথা বলা ছাড়া আমি এ নিয়ে কিছু বলব না, তবে এই চিঠি উদার।’
জেরুসালেমে মার্কিন দূতাবাস রাখা নিয়ে ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা : মার্কিন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেনের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ফিলিস্তিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছেন, তিনি পবিত্র আল-কুদস বা জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী মনে করেন। মঙ্গলবার সিনেটের এক শুনানিতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী মনে করেন কি না এবং ট্রাম্পের বিদায়ের পর জেরুসালেম শহরেই মার্কিন দূতাবাস রাখা হবে কি না। জবাবে ব্লিংকেন দুইবার হ্যাঁ বলেন।
দীর্ঘ দিনের অনুসৃত নীতি উপেক্ষা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেম শহরে স্থানান্তর করেন। ট্রাম্পের বিদায়ের পর সেই ধারা অব্যাহত থাকবে কি না তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল, সেই প্রশ্নের অবসান ঘটালেন ব্লিংকেন। তার এই ঘোষণার পর ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক যেসব আইন ও প্রস্তাবের মাধ্যমে জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলের হাতে দখল হয়ে যাওয়া শহর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ব্লিংকেনের বক্তব্য তার সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এটি সমস্ত আরব জাতির জন্য আরেকটি প্রকাশ্য অপমান।
এ দিকে পশ্চিম তীরের আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ বলেছেন, এটি স্মরণ রাখা দরকার যে, ১৯৯৫ সালে মার্কিন কংগ্রেস আল-কুদস শহরকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্প কেবল সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন এবং তার উত্তরসূরি জো বাইডেন কংগ্রেসের সিদ্ধান্তকে উল্টে দিতে পারবেন না। আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ পূর্ব বায়তুল মুকাদ্দাস শহরকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সেখানে মার্কিন কনসুলেট অফিস খোলার আহ্বান জানান, যাতে আমেরিকার সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করা যায়।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল