২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল

-

মহামারী করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি ছাড়া) চলমান ছুটি আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে কয়েক ধাপে ছুটি বাড়ানোর পর শেষবার ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়েছিল। সেই ছুটি এবার ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল, কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলছে। বর্তমানে অফিস-আদালতের কার্যক্রম ধীরে ধীরে চালু হয়ে গেলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খুলে দেয়া হয়নি। তা ছাড়া গত বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে সরকার। এ দিকে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের ছুটিও বাড়ানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে জারিকৃত নির্দেশনা ও অনুশাসনসমূহ শিক্ষার্থীদের মেনে চলতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাসস্থানে অবস্থানের বিষয়টি অভিভাবক নিশ্চিত করবেন এবং স্থানীয় প্রশাসন তা নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করবে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রাধান শিক্ষকরা তাদের নিজ নিজ শিক্ষার্থীরা যাতে বাসস্থানে অবস্থান করে নিজ নিজ পাঠ্যবই অধ্যয়ন করে সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সে জন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজে জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স-২০২০ এবং সশস্ত্রবাহিনী যুদ্ধ কোর্স-২০২০-এর স্নাতক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, ‘আমরা আশা করি ভবিষ্যতে ভালো দিন আসতে পারে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার কোভিড-১৯-এর জন্য স্কুল খুলতে পারছে না এবং অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়।


আরো সংবাদ



premium cement