২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
বৈদেশিক ঋণের নীতিমালা শিথিল

অনুমোদন ছাড়াই পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা যাবে

-

বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে মূল্য ফেরতের নিশ্চয়তা (রিপেমেন্ট গ্যারান্টি) ১০ হাজার ডলারের ওপরে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এখন বৈদেশিক ঋণ নিয়ে যেকোনো অঙ্কের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে সব ক্ষেত্রে মূল্যফেরতের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এ-সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, বিদেশ থেকে এক বছরের কম সময়ের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণ নেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়। দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশী ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে বিদেশেই ক্রেতাদের পরিশোধ করে থাকেন। এটাকেই ব্যাংকিং ভাষায় ব্যায়ার্স ক্রেডিট বলা হয়। বর্তমানে বেসরকারি খাতে এ বায়ার্স ক্রেডিটের পরিমাণ এক হাজার কোটি ডলারের ওপরে, যা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৬ হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের নীতিমালায় এসব ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না। বিশেষ করে পণ্যের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। অগ্রিম মূল্য হলো বিদেশী কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেউ পণ্য আমদানি করবেন। এ ক্ষেত্রে পণ্য দেশে আসার আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করতে হয়।
সাধারণত পণ্য আমদানিতে ১০ হাজার ডলারের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এর কারণ হিসেবে ওই সূত্র জানিয়েছে, পণ্য দেশে আসার আগেই অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করা হলো, কিন্তু পণ্য দেশে এলো না বা সরবরাহকারী পণ্য সরবরাহ করল না, অথচ বৈদেশিক মুদ্রায় দায় সৃষ্টি হলো, এ অসুবিধা দূর করতেই পণ্য অগ্রিম মূল্য ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। সাধারণত ১০ হাজার ডলারের ওপরে হলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হতো। এতে সময় ক্ষেপণ হলেও বৈদেশিক মুদ্রার দায় বাড়ানোর ঝুঁকি অনেক কমে যেত। কিন্তু ব্যবসায়ীরা ব্যবসা সম্প্রসারণের দাবি তুলে এ নীতিমালা শিথিল করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, নতুন এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গতকাল কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দেয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিদেশী ঋণের মাধ্যমে পণ্য আমদানির অগ্রিম মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না। তবে সব অঙ্কের অগ্রিম মূল্য পরিশোধের আগে মূল্য ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা নিতে হবে। কখনো বিদেশী সরবরাহকারী পণ্য সরবরাহ না করলেও অর্থ ফেরত পাওয়ায় নিশ্চয়তা থাকেÑ এ জন্যই নতুন এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিযেছে, স্থানীয় মুদ্রাবাজার থেকে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে ঋণ। বিশেষ করে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পণ্য আমদানির দায় পরিশোধ করা সমস্যা হচ্ছে না। এর পরও একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বিদেশী ঋণের দিকেই ঝুঁকে পড়ছেন। তারা বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশী কোম্পানিকেই পরিশোধ করছেন।
বিপরীতে নির্ধারিত মেয়াদ শেষে সুদে আসলে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। এতে দেশে কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা মুনাফা আকারে চলে যাচ্ছে। অথচ স্থানীয় বাজার থেকে ঋণ নিলে এর বিপরীতে পরিশোধকৃত মুনাফা দেশেই থেকে যেত।


আরো সংবাদ



premium cement
ঈদের ছুটিতে ঢাকায় কোনো সমস্যা হলে কল করুন ৯৯৯ নম্বরে : আইজিপি সিরাজগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ৬ দাবিতে উত্তাল বুয়েট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মোরেলগঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু আল-আকসায় কোনো ধরণের সহিংসতা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় জুমআর জামাত ‘পেশাগত স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবব্ধ হতে হবে’ গাজাবাসীর প্রধান কথা- ‘আমাদের খাবার চাই’ অধিকার প্রতিষ্ঠায় দেশপ্রেমিক জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই : ডা: শফিকুর রহমান সোনাগাজীতে জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেল ২২ কিশোর গফরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা : আমিনুল

সকল