২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চুক্তি স্বাক্ষর

ইসলামোফোবিয়া রুখতে ঐক্যবদ্ধ তুরস্ক-পাকিস্তান-আজারবাইজান

-

বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসালামোফোবিয়ার বিস্তার ঠেকাতে একটি সম্মিলিত কর্মপরিকল্পনা তৈরির ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক, পাকিস্তান ও আজারবাইজান। এ চুক্তিতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদসহ সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার কথাও রয়েছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মওলুদ কাভুসোগলু, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি ও আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেহুন বায়রামভের উপস্থিতিতে দেশ তিনটির মধ্যে দ্বিতীয় ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। আনাদোলু ও টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
বৈঠকে শান্তি, নিরাপত্তা, ব্যবসা, বিনিয়োগ, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক খাতগুলোয় ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে দেশ তিনটি। জম্মু ও কাশ্মিরে ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ইসলামোফোবিয়া বৃদ্ধির ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়ে তারা ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে একমত হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ১৯ বছরের সঙ্ঘাতের পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে চলমান আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার বিষয়েও আলোচনা করেন তিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এতে আরো বলা হয়, বৈঠকে করোনাভাইরাস মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব উত্তরণে পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আজারবাইজানের বায়রামভ কারাবাখ বিরোধ সমাধানে তুরস্ক ও পাকিস্তানের সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সম্প্রতি আর্মেনিয়ান দখল থেকে মুক্ত হওয়া কারাবাখ অঞ্চলকে পুনর্গঠনে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানি ও তুর্কি সংস্থাগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, ‘তারা ন্যায়বিচার পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের কণ্ঠস্বর উত্থাপন করেছিল এবং আমরা তুরস্ক ও পাকিস্তানের এই নীতিগত অবস্থানের অত্যন্ত প্রশংসা করি’।
একই সাথে আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান ও তুরস্ককে তাদের সদ্য স্বাধীনকৃত অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তানি ও তুর্কি সমকক্ষদের সাথে একটি সংবাদমাধ্যম ব্রিফিংয়ে আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমরা আজাদকৃত অঞ্চলগুলোতে পুনর্গঠনের জন্য পাকিস্তান ও তুরস্ককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তিনি উভয় দেশকে আজারবাইজানের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত অঞ্চল পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। আজারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুদ্ধের সময় নাগরনো-কারাবাখকে সমর্থন করার জন্য পাকিস্তান ও তুরস্ককে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ তিন দেশের ধর্ম ও সংস্কৃতির একটি ঐক্য রয়েছে। আমরা কাশ্মিরি জনগণের সংগ্রামকে সমর্থন করি।’

 


আরো সংবাদ



premium cement