২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজধানীতে ভাস্কর্য বিরোধী মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ

ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম থেকে তৌহিদি জনতা বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে : নয়া দিগন্ত -

রাজধানীতে ভাস্কর্যবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুসল্লিরা। পুলিশের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারোমের উত্তর গেট ও সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম থেকে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর যাওয়ার সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মিছিলকারীদের ২০-২২ জনকে আটক করে।
ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশব্যাপী উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। হেফাজতসহ ইসলামী দলগুলোর নেতারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ সারা দেশে যেকোনো প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছেন। অপর দিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, বামপন্থী সংগঠন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ভাস্কর্যের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। এ উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে রাজধানীতে অনুমতি ছাড়া মিছিল-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ কারণে সম্মিলিত ইসলামী দলগুলো গতকাল বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিতব্য তাদের নির্ধারিত বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করে। তাদের কর্মসূচির পাল্টা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চও শাহবাগে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। তবে গতকাল জুমার নামাজের পর হঠাৎ করেই একদল মুসল্লি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা সিঁড়িতে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও’ সেøাগান দেন তারা। কর্মসূচিতে কোনো সংগঠনের ব্যানারে ছিল না। তবে বিক্ষোভকারী একজন মুসল্লির হাতে ‘বাতিলের আতঙ্ক বাংলার বাঘ ফয়জুল করিম, মামুনুল হক’ লেখা একটা প্লাকার্ড ছিল।
এ দিকে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা দিলেও যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। বায়তুল মোকাররমের আশপাশের সব সড়ক, পল্টন মোড়, বিজয়নগর, কাকরাইল, শাহবাগসহ প্রতিটি এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বায়তুল মোকাররমে ছাত্ররা সেøাগান দেয়া শুরু করলে পুলিশ হ্যান্ডমাইকে তাদের চলে যেতে বলে। কয়েক মিনিট সেøাগান দেয়ার পর সিঁড়ি থেকে নেমে রাস্তায় আসার পথে মসজিদের গেটে এক দফা লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে উত্তর গেট দিয়ে বের হয়ে পল্টন মোড় হয়ে তারা বিজয়নগরের দিকে যেতে থাকে। এ সময় পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ছাড়া ২০-২২ জনকে আটক করে পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
পুলিশের মতিঝিল জোনের এডিসি এনামুল হক মিঠু সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া যেকোনো সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরও নামাজের পর কিছু লোক বিক্ষোভের জন্য দাঁড়িয়ে যায়। আমরা তাদের সরে যেতে বলেছি। পরে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। তারা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা কারা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ তারা কোনো ব্যানার নিয়ে আসেনি।’


আরো সংবাদ



premium cement
চীনা কোম্পানি বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মৃত মায়ের গর্ভে জন্ম নিলো নতুন প্রাণ দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ সমাবেশে কেউ মারা যায়নি : পুলিশ সুপার হামাসকে কাতার ছাড়তে হবে না, বিশ্বাস এরদোগানের জাহাজভাঙা শিল্পে শ্রমিক নিরাপত্তার উদ্যোগ ভালো লেগেছে : সীতাকুন্ডে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১০ দেশের অংশগ্রহণে সামরিক মহড়া শুরু করল আরব আমিরাত গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের পর ২ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ ৯ বছর পর সৌদি আরবে আসছে ইরানি ওমরা কাফেলা দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা : প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের হামলার নিন্দা হেফাজতে ইসলামের ভর্তি পরীক্ষায় জবিতে থাকবে ভ্রাম্যমাণ পানির ট্যাংক ও চিকিৎসক মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশীরা কারা?

সকল