১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মার্কিন নির্বাচনে দুই বাংলাদেশীর বিজয়

-

বাংলাদেশী প্রবাসী আবুল খান (৬০) আমেরিকায় চতুর্থবারের মতো রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নিউহ্যাম্পশায়ারের হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি। ৫৮ বছর বয়সী আবুল খান টানা ৪০ বছর ধরে আমেরিকার নিউহ্যাম্পশায়ারের সিবরুকে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। আমেরিকা প্রবাসী আবুল খান পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌর শহরের সম্ভ্রান্ত খান বাড়ির মরহুম মাহাবুব উদ্দিন খান কাঞ্চন ও মরহুম শাহানারা বেগমের বড় ছেলে। জানা গেছে, আবুল খান একমাত্র বাংলাদেশী, যিনি আমেরিকার নিউহ্যাম্পশায়ারে রিপাবলিকান পার্টির সদস্য হয়ে নির্বাচনে টানা চারবার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৬ সাল থেকে কয়েক দফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ভোটে জিতে আসছেন তিনি। তিনি সেখানে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা, জননিরাপত্তা ও পরিবেশ উন্নয়নে একজন বাংলাদেশী হিসেবে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। আমরিকায় বসবাসরত দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিক হিসেবে আবুল খানই প্রথম ব্যক্তি, যিনি নিউহ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি ১৯৬০ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তারা দুই ভাই দুই বোন। পরিবারের সবাই আমেরিকা প্রবাসী। তবে ছোট বোন রোজী খান অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ভাইবোনদের মধ্যে তিনি সবার বড়। আবুল খান ১৯৮১ সালের ১০ জানুয়ারি আমেরিকায় যান। এর আগে ঢাকার মুসলিম গভ. হাইস্কুল থেকে ১৯৭৬ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৭৮ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হয়ে তিন বছর পড়ার পর স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গিয়ে আর ফেরেননি। আমেরিকায় বসবাসরত অবস্থায় ১৯৮৪ সালে নিজ জেলা পিরোজপুরের মর্জিয়া হুদা খানকে বিয়ে করেন। এ দম্পতির ঘরে ছেলে আতিক খান ও মেয়ে নূসরাত জাহান আমেরিকা প্রবাসী।
সিনেটর পদে জয়ী শেখ রহমান : এ দিকে শীর্ষনিউজ জানায়, জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের স্টেট সিনেটর পদে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শেখ রহমান চন্দন।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। গত ৯ জুন হওয়া দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কেউ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। একই সাথে সিনেট ডিস্ট্রিক্ট আসন-৫ এ কোনো রিপাবলিকান প্রার্থী নেই। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি নির্বাচিত হন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেছে জর্জিয়া নির্বাচন বোর্ড।
কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান সব প্রবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা এবং মাতৃভূমি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। শেখ রহমান বলেন, সবার আশীর্বাদে বহু জাতিক একটি সমাজে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার মধ্যে অন্যরকমের একটি আনন্দ রয়েছে, যা আমাকে আরো সামনে এগোতে সহায়তা করবে।
শেখ রহমান আরো বলেন, স্টেট পার্লামেন্টে থাকলেও জাতীয়ভিত্তিক যে সংযোগ রয়েছে ইউএস সিনেট এবং ক্যাপিটল হিলে, তাকে অবশ্যই বাংলাদেশী আমেরিকান ও বাংলাদেশের সামগ্রিক কল্যাণে কাজে লাগানোর প্রয়াস অব্যাহত রাখব।

 


আরো সংবাদ



premium cement