পটুয়াখালীতে স্পিডবোট ডুবি ৫ লাশ উদ্ধার
- পটুয়াখালী ও রাঙ্গবালী সংবাদদাতা
- ২৫ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০
পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার ভোরে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে লাশ উদ্ধার করেন কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা। লাশগুলো হলোÑ রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনেস্টবল মো: মহিবুল হক (৫৭), বাহেরচর শাখা কৃষি ব্যাংকের পরিদর্শক মো: মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫), আশা ব্যাংকের খালগোড়া শাখার লোন অফিসার কবির হোসেন (৩১), এলজিইডির রাস্তার কাজে আসা শ্রমিক মো: হাসান মিয়া (৩০) ও মো: ইমরানের (৩২)।
স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় আগুনমুখা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। দুর্ঘটনাকালে নদী বন্দরে ২ নম্বর ও সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত জারি ছিল। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দুর্যোগপূর্ণ এ আবহাওয়ার মধ্যে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমেন-১ নামের স্পিডবোটটি কোড়ালীয়া থেকে পানপট্টির উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মাঝপথে আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোট উল্টে গেলে যাত্রীরা নদীতে পরে যায়। এ সময় সাঁতার কেটে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চালকসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধার হয়। অন্য পাঁচজন নিখোঁজ রয়ে যায়। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর আগুনমুখা নদীর কয়েকটি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। একজনের লাশ কোস্টগার্ড উদ্ধার করেছে। অন্য পাঁচজনের লাশ স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আলী আহম্মেদ জানান, নিহত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এ দিকে পটুয়াখালীর আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় মেরিন কোর্টে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে পটুয়াখালী নৌবন্দর কর্মকর্তা খাজা সাদিকুর রহমান বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় বোট পরিচালনাকারী ও চালককে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্পিড বোট চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা