২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশ মানছে না!

আলুর দাম সেই ৫০ টাকাই আছে; পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১১০ টাকায়; বেড়েছে রসুনের দামও
-

বাজারে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষিত! দফায় দফায় আলুর দাম নির্ধারণ করেও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না বাজার। পেঁয়াজের ব্যাপারে সব যেন চুপ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বেড়েছে রসুনের দাম। সবজির দাম সেই চড়াই আছে।
দুই দফায় আলুর দাম নির্ধারণ করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বাজার। এই মাসের শুরুতে হঠাৎ করেই আলুর দাম বেড়ে যায়। ১৮-২০ টাকার আলু এক লাফে ৫০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সরকার আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয়। গত ১৪ অক্টোবর প্রথম দফা আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। তিন পর্যায়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। কেজিপ্রতি খুচরা পর্যায়ে ৩০, পাইকারিতে ২৫ ও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা। দাম নির্ধারণের পর কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে দেশের সব জেলা প্রশাসককে এই ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু আলু ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত মোটেই গ্রাহ্য করেনি। আলু তারা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রিই অব্যাহত রাখে। এই পরিস্থিতিতে গত ২১ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় আবারো আলুর দাম নির্ধারণ করে সরকার। ভোক্তা পর্যায়ে কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় কেজি ৩৫ টাকা। সেই ক্ষেত্রে পাইকারি পর্যায়ে ৩০ টাকা এবং কোল্ডস্টোরেজে ২৭ টাকা কেজি নির্ধারণ করা হয়।
আলুর দাম পুনর্নির্ধারণের পর তিন দিন চলে গেছে, কিন্তু বাজারে সেই ৫০ টাকায়ই কেজি বিক্রি হচ্ছে আলু। কোথাও কোথাও কেজি ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে, তবে তার মান কিছুটা খারাপ। গতকালও রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র। মানিকনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে যত স্থায়ী দোকান আছে প্রতিটি দোকানে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে আলু। আর ভ্যান বা টং দোকানে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম সেই ৯০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যেই আছে। এখানে মানের ওপর নির্ভর করছে কম-বেশি। যেটা ভালো মানের তার দাম রাখা হচ্ছে ১১০ টাকা। আর নি¤œ মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এর মধ্যে গতকাল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তবে দোকানিরা বলেছেন, এই ১০ টাকা বাড়তি দামে তিন দিন ধরেই রসুন বিক্রি হচ্ছে। তিন দিন আগে বড় আকৃতির আমদানি করা রসুন বিক্রি হতো ৯০ টাকা কেজি, আর দেশীটার দাম ছিল ১০০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১০০ ও ১১০ টাকায়।
এ দিকে সবজির দাম সেই চড়াই রয়ে গেছে। মরিচের কেজি এখনো ২৫০-৩০০ টাকা। ৭০-৮০ টাকার নিচে ভালো কোনো সবজি মিলছে না বাজারে। গোপীবাগের সবজিবিক্রেতা কাইউম সরকার গতকাল জানান, এই যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে সবজির দাম আরো বাড়বে।
বাজারের এই পরিস্থিতি নিয়ে গতকালও বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হয়। তারা প্রত্যেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জুয়েল নামের এক ক্রেতা গতকাল বলেন, তারা কেবল শুনেই আসছেন বাজার মনিটরিং হচ্ছে। অথচ বাজারে তার ছিটেফোঁটাও প্রভাব নেই। জুয়েল বলেন, শুনেছেন আলুর কেজি সরকার ৩৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর আগে ৩০ টাকা নির্ধারণ করেছিল; কিন্তু বাজার থেকে তো ৫০ টাকায়ই আলু কিনতে হচ্ছে। বেশি রাখলে কার কাছে অভিযোগ জানাবেন। পুলিশের চোখের সামনেই তো বিক্রেতারা পণ্যের দাম বেশি রাখছে। জুয়েল বলেন, ক্রেতারা জানেও না কার কাছে অভিযোগ জানাতে হবে। অথচ তারা প্রতিটি জিনিসে বাড়তি টাকা গুনে যাচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement