২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নোয়াখালীতে চাচীকে ধর্ষণ : যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

দুই গৃহবধূ ও তিন ছাত্রীকে ধর্ষণ

-

সাতক্ষীরা, ডিমলা ও জয়পুরহাটে তিন ছাত্রী এবং নোয়াখালী ও সেনবাগে দুই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়েছে। নোয়াখালীতে চাচীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সেনবাগ (নোয়াখালী) সংবাদদাতা জানান, এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করার অভিযোগে নোয়াখালীর সেনবাগের ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে কিশোরগ্যাংয়ের তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলোÑ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের পূর্ব ছাতারপাইয়া এলাকার আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে জোবায়ের হোসেন শুভ (১৯), ছাতারপাইয়া বদর বাড়ির আলমগীরের ছেলে মাইনুল হাসান (১৯), আব্দুল হকের ছেলে আরমান হোসেন রকি (২০)। গতকাল সকালে ভুক্তভোগী গৃহবধূ আটজনকে নামীয়, অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করলে আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বেলা পৌনে ২টার দিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। এর আগে, উপজেলার পূর্ব ছাতারপাইয়া গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ তাদের আটক করে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৯ অক্টোবর রাতে চাচাতো দেবর ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষকের সহযোগীরা ওই গৃহবধূকে ধর্ষকের পাশে বসিয়ে মুঠোফোনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। পরে ইন্টারনেটে ভিডিও ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ ও তার স্বামীর কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে ধর্ষক পারভেজ ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলার আলোকে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
নোয়াখালীতে এবার চাচীকে ধর্ষণ করে নগ্ন ছবি ধারণ : ৮ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর একলাশপুরে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের রেশ কাটতে না কাটতে জেলার চাটখিলে বসতঘরে ঢুকে জোরপূর্বক চাচীকে ধর্ষণ করে নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগে ৮ মামলার আসামি, শরীফ বাহিনীর প্রধান ও নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান শরীফকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ (২৯) ধর্ষক মজিবুর রহমান শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিতা গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। তার স্বামী কাতার থাকে বলে জানা গেছে। আটক মজিবুল রহমান শরীফ উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে এবং নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। আটক শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ ৮টি মামলা রয়েছে।
মামলা ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শরীফ তার দূর সম্পর্কের ভাসুরের ছেলে। গতকাল ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শরীফ সুকৌশলে গৃহবধূর টিনশেড ঘরে প্রবেশ করে ছয় বছরের শিশুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদি হয়ে চাটখিল থানায় মামলা করেছেন। মামলার আলোকে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাকে বেলা ৩টার দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ইয়াছিন বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি আরো বলেন, গৃহবধূ মামলায় উল্লেখ করেছেন ধর্ষণের সাথে ফোনে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে শরীফ। শরীফকে আটক করলেও ওই ফোন এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ফোনটি উদ্ধারে তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবে। বৃহস্পতিবার তাকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। এ দিকে এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ দিন থেকে একটি মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে শরীফ গড়ে তুলেছে এলাকায় বিশাল বাহিনী। তার নির্দেশে এ বাহিনী এলাকায় মাদক, ইয়াবা ও নারী নির্যাতন ও চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধে করে আসছে। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এর পূর্বেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এলাকার জনগণ তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী শরীফ বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
নলছিটিতে পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
ঝালকাঠি সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে গৃহবধূর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকাবস্থায় আটক পরকীয়া প্রেমিক মহিদুল হাসান হিরণের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল সকালে নলছিটি প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমিক-প্রেমিকা উভয়কে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় ‘মিথ্যা ধর্ষণ’ মামলাটি প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান মানববন্ধনে অশংগ্রহণকারীরা।
নলছিটির সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধনে হিরণের বন্ধু, সহপাঠী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, নলছিটি উপজেলার কাঠিপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী নলছিটি থানারপুল এলাকার অবিবাহিত যুবক মহিদুল হাসান হিরণের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। তারা দুই দফায় পালিয়ে গিয়ে পাঁচ-ছয় মাস বাসা ভাড়া করেও থাকে। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সন্তানের কথা বিবেচনায় মীমাংসা করে দেয়া হয়। স্বামীর কাছে ওই গৃহবধূকে তুলে দেয়া হয়। এর পরেও পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক রয়ে যায়। গত ১৭ অক্টোবর রাতে রাতে পরকীয়া প্রেমিক ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে গেলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে পুলিশে তুলে দেয়। পরদিন সকালে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে হিরণের নামে মামলা দায়ের করে। বক্তারা বলেন, পরকীয়ার ঘটনায় প্রেমিক হিরণ অপরাধ করলে সমান অপরাধী প্রেমিকাও। তাকেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় মামলাটি প্রত্যাহার করে হিরণের মুক্তির আহ্বান জানান বক্তারা।
এ দিকে মামলার বাদি ওই গৃহবধূ জানায়, তাকে ধর্ষণের ঘটনার পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন দু’জনকে একসাথে বসিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বাবারবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এখন তাকে গ্রহণ করতে চায় না তার স্বামী। এতে মানসিকভাবে সে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলেও জানায়।
সাতক্ষীরা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় খেলা করার সময় ডেকে নিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পঞ্চম শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিমুলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত ছাত্রের নাম শিহাব সরদার (১২)। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের শহিদুল সরদারের ছেলে। এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
সাতক্ষীরা সদর থানায় ওসি আসাদুজ্জামান জানান, খেলা করার সময় প্রতিবেশী দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এক শিশুমেয়েকে পাশের বাড়িতে ডেকে নিয়ে নির্জনে তাকে ধর্ষণ করে। তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে শিহাব পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করেন। ঘটনার পরপরই ধর্ষিতার পরিবার শিশুটিকে সদর থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ তাৎক্ষণিক ধর্ষিতার মেডিক্যাল সম্পন্ন করতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। একই সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এলাকাবাসী শিহাবকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ব্যাপারে ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে শিহাবকে আসামি করে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর ডিমলায় ১০ বছরের এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহাজামাল (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের আমির হামজার ছেলে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত শাহাজামালকে নীলফামারী কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ১৯ অক্টোবর সোমবার বিকেলে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের ১০ বছরের এক শিশুছাত্রীকে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে একই গ্রামের প্রতিবেশী আমির হামজার ছেলে শাহাজামাল। শিশুটি ওই গ্রামের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে আসামি শাহাজামালকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ডিমলা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট সংবাদদাতা জানান, জয়পুরহাটে ৯ বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দাদা জামাল উদ্দিনের (৫৫) বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার পর সদর উপজেলার ভাদসা পার্বতীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকেলে গ্রাম পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় থানা মামলা দায়ের হয়েছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ভাদসা পার্বতীপুর গ্রামের নার্সারি পড়–য়া শিশুছাত্রী বাড়ির পাশে সহপাঠীদের সাথে খেলা করছিল। এ সময় একই গ্রামের প্রতিবেশী দাদা জামাল উদ্দিন, তার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীটির হাত ধরে টেনে নিজ বাড়িতে টয়লেটের ভিতরে নিয়ে গিয়ে পরনের কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির সময় তার মা দেখেন প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের বাড়ি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে। পরিবারের লোকজন শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলে শিশুটি ভিতু হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে ঘটনার কথা। পরে পরিবারের লোকজন ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। স্থানীয় ভাদসা ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার হোসেন স্বাধীন বলেন, সোমবার দুপুরে শিশুটির পরিবার আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। ঘটনা শুনে দেখলাম শিশু নিপীড়নের বিষয়। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ অভিযোগ নেয়া হয়নি। যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে তাদের থানায় গিয়ে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি।
জয়পুরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহা: শাহ্রিয়ার খান বলেন, এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে ও আসামি গ্রেফতারের জোর তৎপরতা চলছে।
নোয়াখালীতে চাচীকে ধর্ষণ করে নগ্ন ছবি ধারণ,
৮ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
নোয়াখালী সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর চাটখিলে বসতঘরে ঢুকে চাচীকে ধর্ষণ করে নগ্ন ছবি ধারণের অভিযোগে ৮ মামলার আসামি নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতিকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ (২৯) ধর্ষক মজিবুর রহমান শরীফ (৩২) বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন। নির্যাতিত গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। আটক মজিবুল রহমান শরীফ উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াতির বাড়ির রফিকুল ইসলাম খোকনের ছেলে এবং নোয়াখলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। আটক শরীফের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ আটটি মামলা রয়েছে। মামলা ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শরীফ তার দূর সম্পর্কের ভাসুরের ছেলে। বুধবার ভোর ৫টার দিকে ওই গৃহবধূ তার নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শরীফ সুকৌশলে গৃহবধূর টিনশেড ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে চলে যায়।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দুলাল মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাদি হয়ে চাটখিল থানায় মামলা করেছে। মামলার আলোকে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাকে বেলা ৩টার দিকে নোয়াখলা ইউনিয়নের ইয়াছিন বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গৃহবধূ মামলায় উল্লেখ করেছেন ধর্ষণের সাথে ফোনে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে শরীফ। শরীফকে আটক করলেও ওই ফোন এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ ফোনটি উদ্ধারে তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement